জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে যারা ছিলেন না, এখন তারাই ‘নির্বাচনের বিরুদ্ধে’ অবস্থান নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জনগণ নির্বাচন ছাড়া কাউকে বৈধতা দেবে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরীতে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভাগীয় শ্রমিক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, “যারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ছিল না, তারা এখন নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। তারা এখন নানা শর্ত দিচ্ছে—এই না হলে নির্বাচন হবে না, ওই না হলে নির্বাচন হবে না। এসব বলে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, কারণ তারা জানে, সুষ্ঠু নির্বাচনে গেলে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান মুখ থুবড়ে পড়বে। জনগণ তাদের এ সুযোগ বেশিদিন দেবে না।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন ছাড়া কাউকে ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা দেবে না। যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মাটিতে তাদের কোনো ইচ্ছাও পূরণ হবে না।”
বর্তমান সরকারের সময়ে শ্রমিকদের স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে দলটির দেওয়া ৩১ দফা কর্মসূচিতে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা এবং পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে এখন নির্বাচিত সরকার নেই। ফলে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা, পারিশ্রমিক ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেউ নিচ্ছে না। মালিক ও প্রশাসনের একচেটিয়া অবস্থানে শ্রমিকেরা নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “শ্রমিকদের আন্দোলন হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ, যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায় এবং দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “যদি দেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হত, জনগণের মতামত বিবেচনা করা হত। অথচ এখন এমন সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে, কাদের সঙ্গে বসে নিচ্ছে, তা জাতি জানে না।”
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতিতেই কেবল এই করিডোর সম্ভব, তাও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের শর্তে। তাহলে এখন যারা বাইরে বসে এসব দিচ্ছেন, তারা কীভাবে এত সাহস পাচ্ছেন?”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া।
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে যারা ছিলেন না, এখন তারাই ‘নির্বাচনের বিরুদ্ধে’ অবস্থান নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জনগণ নির্বাচন ছাড়া কাউকে বৈধতা দেবে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরীতে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভাগীয় শ্রমিক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, “যারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ছিল না, তারা এখন নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। তারা এখন নানা শর্ত দিচ্ছে—এই না হলে নির্বাচন হবে না, ওই না হলে নির্বাচন হবে না। এসব বলে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, কারণ তারা জানে, সুষ্ঠু নির্বাচনে গেলে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান মুখ থুবড়ে পড়বে। জনগণ তাদের এ সুযোগ বেশিদিন দেবে না।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন ছাড়া কাউকে ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা দেবে না। যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মাটিতে তাদের কোনো ইচ্ছাও পূরণ হবে না।”
বর্তমান সরকারের সময়ে শ্রমিকদের স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে দলটির দেওয়া ৩১ দফা কর্মসূচিতে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা এবং পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে এখন নির্বাচিত সরকার নেই। ফলে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা, পারিশ্রমিক ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেউ নিচ্ছে না। মালিক ও প্রশাসনের একচেটিয়া অবস্থানে শ্রমিকেরা নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “শ্রমিকদের আন্দোলন হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ, যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায় এবং দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “যদি দেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হত, জনগণের মতামত বিবেচনা করা হত। অথচ এখন এমন সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে, কাদের সঙ্গে বসে নিচ্ছে, তা জাতি জানে না।”
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতিতেই কেবল এই করিডোর সম্ভব, তাও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের শর্তে। তাহলে এখন যারা বাইরে বসে এসব দিচ্ছেন, তারা কীভাবে এত সাহস পাচ্ছেন?”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া।