চার মাস লন্ডনে কাটিয়ে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘পরিবেশ সৃষ্টি হলে’ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে ব্রিফিংয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক সাংবাদিক জানতে চান, জোবাইদা রহমান ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন। তারেক রহমান কবে নাগাদ ফিরবেন, কারণ আপনি চার মাস লন্ডনে তার সঙ্গেই ছিলেন।
জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, “আপনি একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী মন আছে, সেই অনুসন্ধানী মন থেকে আপনাদের বোঝা উচিত জোবাইদা রহমান ১৭ বছর পর আজকে এসেছেন। ব্যারিস্টার জায়মা রহমান (তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের মেয়ে) আমেরিকাতে একটি রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন।
“ইনশাল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই মাঠে এসে যে নেতৃত্ব উনি বৃটেনে (যুক্তরাজ্যে) বসে দিচ্ছেন, সেই নেতৃত্ব অর্থাৎ শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেবেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে হয়তো সেই পরিবেশ হয়ে যাবে এবং উনি আসবেন।”
চার মাস পর এদিন সকালে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার দুই পুত্রবধূ তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানকে নিয়ে দেশে ফেরেন।
তাদের সঙ্গে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ হোসেন। তিনি গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা থেকে তার সঙ্গেই ছিলেন। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকার পাশাপাশি তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা দেখভাল করেন।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “ডা. জোবাইদা রহমান ম্যাডামের সাথে এসেছেন এবং এটা শুরু নয়, এটা উনাদের দেশ। উনারা আসবেন এটাই স্বাভাবিক। আসতে দেওয়া হয় নাই, সেজন্য আসতে পারেন নাই। আর সময় বলে দেবে যে, উনি কয়দিন থাকবেন।
“স্বাভাবিকভাবে উনার স্বামী তারেক রহমান ওখানে (লন্ডনে) আছেন, উনার মেয়ে ওখানে (লন্ডনে) আছেন। আবার কয়েকদিনের মধ্যে উনি যাবেন, সবকিছু গোছগাছ করে। ১৭ বছর ওখানে নির্বাসনে থাকতে হয়েছে। কাজেই সেটাকে গুছিয়ে এবং অতি সহসাই দেখবেন তারেক রহমানসহ আবারো দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম চলছে অর্থাৎ এটার যে চূড়ান্ত লক্ষ্য সেই গণতন্ত্র (প্রতিষ্ঠার) চূড়ান্ত পর্যায়ের নেতৃত্ব দেবেন আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।”
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “আপনাকে মনে রাখতে হবে বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে কোনো ধরনের গ্যাপ নাই। অনেকে বলেছিল সেই ১৯৮১ সালের ৩০ মে ঘটনার (জিয়াউর রহমানের নিহত হওয়ার ঘটনা) পরে যে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আলহামদুলিল্লাহ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বরণের পরে বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
“আবার এক এগারো করে বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তারেক রহমানের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর কী অশেষ মেহেরবানী তারেক রহমান আজকে আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বিদেশের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ।
“আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা, এক নেত্রী মাঝে মাঝেই বলতেন— এখনও যায় না কেন, এখনও যায় না কেন? উনিই (শেখ হাসিনা) চলে গেছেন কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন বর্তমানে।
“কাজেই মনে রাখবেন, যখনই প্রয়োজন, জাতির প্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানের যে নেতৃত্ব, ইনশাল্লাহ আরও সুদৃঢ় হবে। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র পাবে এবং জনগণের অধিকার আদায় হবে এবং সকল অন্যায়-অবিচারের বিচার বাংলার মাটিতে হবে।”
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
চার মাস লন্ডনে কাটিয়ে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘পরিবেশ সৃষ্টি হলে’ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে ব্রিফিংয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক সাংবাদিক জানতে চান, জোবাইদা রহমান ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন। তারেক রহমান কবে নাগাদ ফিরবেন, কারণ আপনি চার মাস লন্ডনে তার সঙ্গেই ছিলেন।
জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, “আপনি একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী মন আছে, সেই অনুসন্ধানী মন থেকে আপনাদের বোঝা উচিত জোবাইদা রহমান ১৭ বছর পর আজকে এসেছেন। ব্যারিস্টার জায়মা রহমান (তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের মেয়ে) আমেরিকাতে একটি রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন।
“ইনশাল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই মাঠে এসে যে নেতৃত্ব উনি বৃটেনে (যুক্তরাজ্যে) বসে দিচ্ছেন, সেই নেতৃত্ব অর্থাৎ শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেবেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে হয়তো সেই পরিবেশ হয়ে যাবে এবং উনি আসবেন।”
চার মাস পর এদিন সকালে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার দুই পুত্রবধূ তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানকে নিয়ে দেশে ফেরেন।
তাদের সঙ্গে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ হোসেন। তিনি গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা থেকে তার সঙ্গেই ছিলেন। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকার পাশাপাশি তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা দেখভাল করেন।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “ডা. জোবাইদা রহমান ম্যাডামের সাথে এসেছেন এবং এটা শুরু নয়, এটা উনাদের দেশ। উনারা আসবেন এটাই স্বাভাবিক। আসতে দেওয়া হয় নাই, সেজন্য আসতে পারেন নাই। আর সময় বলে দেবে যে, উনি কয়দিন থাকবেন।
“স্বাভাবিকভাবে উনার স্বামী তারেক রহমান ওখানে (লন্ডনে) আছেন, উনার মেয়ে ওখানে (লন্ডনে) আছেন। আবার কয়েকদিনের মধ্যে উনি যাবেন, সবকিছু গোছগাছ করে। ১৭ বছর ওখানে নির্বাসনে থাকতে হয়েছে। কাজেই সেটাকে গুছিয়ে এবং অতি সহসাই দেখবেন তারেক রহমানসহ আবারো দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম চলছে অর্থাৎ এটার যে চূড়ান্ত লক্ষ্য সেই গণতন্ত্র (প্রতিষ্ঠার) চূড়ান্ত পর্যায়ের নেতৃত্ব দেবেন আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।”
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “আপনাকে মনে রাখতে হবে বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে কোনো ধরনের গ্যাপ নাই। অনেকে বলেছিল সেই ১৯৮১ সালের ৩০ মে ঘটনার (জিয়াউর রহমানের নিহত হওয়ার ঘটনা) পরে যে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আলহামদুলিল্লাহ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বরণের পরে বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
“আবার এক এগারো করে বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তারেক রহমানের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর কী অশেষ মেহেরবানী তারেক রহমান আজকে আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বিদেশের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ।
“আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা, এক নেত্রী মাঝে মাঝেই বলতেন— এখনও যায় না কেন, এখনও যায় না কেন? উনিই (শেখ হাসিনা) চলে গেছেন কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন বর্তমানে।
“কাজেই মনে রাখবেন, যখনই প্রয়োজন, জাতির প্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানের যে নেতৃত্ব, ইনশাল্লাহ আরও সুদৃঢ় হবে। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র পাবে এবং জনগণের অধিকার আদায় হবে এবং সকল অন্যায়-অবিচারের বিচার বাংলার মাটিতে হবে।”