ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আন্দোলনকে ‘গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ’ করে রাখা বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
আজ সোমবার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গায়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই মহানগর বিএনপি নগর ভবন বন্ধ রেখে আন্দোলন চালাচ্ছে। এতে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে।”
শপথ আটকে ১০টি জটিলতা
ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ শপথ গ্রহণে অন্তরায় হিসেবে ১০টি আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়, নির্বাচন কমিশনের একপাক্ষিক গেজেট প্রকাশ, শপথ বিষয়ে আদালতে চলমান রিট, মেয়াদের অস্পষ্টতা এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এখনো না আসা।
তিনি বলেন, “উল্লেখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। তবে এসব বিষয় সুরাহা হলে স্থানীয় সরকার বিভাগ শপথ দিতে প্রস্তুত।”
আন্দোলনের দায় ‘দলীয় কর্মীদের’
আন্দোলনকারীদের দাবি, উপদেষ্টার ‘হস্তক্ষেপেই’ ইশরাক হোসেনের শপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সরাসরি জবাব দিয়ে আসিফ মাহমুদ লেখেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এমন আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক আচরণের কোনো কারণ খুঁজে পাই না। এটাকে সাধারণ জনগণের দাবি বলা যাবে না, কারণ গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাই এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।”
গত ২৭ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। শপথ গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হলেও এখনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ছয় দিন ধরে ইশরাকের সমর্থকেরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক সচিব মশিউর রহমান জানিয়েছেন, “শপথ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আন্দোলনকে ‘গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ’ করে রাখা বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
আজ সোমবার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গায়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই মহানগর বিএনপি নগর ভবন বন্ধ রেখে আন্দোলন চালাচ্ছে। এতে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে।”
শপথ আটকে ১০টি জটিলতা
ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ শপথ গ্রহণে অন্তরায় হিসেবে ১০টি আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়, নির্বাচন কমিশনের একপাক্ষিক গেজেট প্রকাশ, শপথ বিষয়ে আদালতে চলমান রিট, মেয়াদের অস্পষ্টতা এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এখনো না আসা।
তিনি বলেন, “উল্লেখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। তবে এসব বিষয় সুরাহা হলে স্থানীয় সরকার বিভাগ শপথ দিতে প্রস্তুত।”
আন্দোলনের দায় ‘দলীয় কর্মীদের’
আন্দোলনকারীদের দাবি, উপদেষ্টার ‘হস্তক্ষেপেই’ ইশরাক হোসেনের শপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সরাসরি জবাব দিয়ে আসিফ মাহমুদ লেখেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এমন আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক আচরণের কোনো কারণ খুঁজে পাই না। এটাকে সাধারণ জনগণের দাবি বলা যাবে না, কারণ গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাই এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।”
গত ২৭ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। শপথ গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হলেও এখনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ছয় দিন ধরে ইশরাকের সমর্থকেরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক সচিব মশিউর রহমান জানিয়েছেন, “শপথ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”