জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ করে এখন দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সহসভাপতি আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংলাপের প্রথম পর্যায়ে পাওয়া মতামত ও ভিন্নমতের আলোকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি সম্ভব হবে বলে কমিশনের বিশ্বাস।
সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)–এর সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সিপিবির সঙ্গে আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ হচ্ছে।
আলী রীয়াজ বলেন,
> “আশা করছি, দ্বিতীয় ধাপে নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব হবে। শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু করব এবং সংবাদ সম্মেলন করে প্রথম ধাপের অগ্রগতি জানানো হবে।”
জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাষ্ট্র সংস্কার কমিশনগুলোর একীভূত সুপারিশের ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত চেয়ে আলোচনা শুরু করেছিল কমিশন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ২০ মার্চ থেকে ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন হয়েছে।
ভোট নিয়ে শঙ্কা, সংস্কারের দাবি সিপিবির
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন,
> “নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। জনগণ জানতে চায়, তারা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে কি না, প্রার্থী হতে পারবে কি না, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে কি না।”
তিনি আরও বলেন,
> “ভোটের সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানি, আঞ্চলিক বিভাজন বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে জনগণের মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে সেটাও প্রতিরোধ করতে হবে।”
সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ছাড়াও স্বাস্থ্য ও নারী বিষয়ক সংস্কারের প্রস্তাবগুলো আলোচনায় আনার কথা বলেন তিনি।
সিপিবি প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আলম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, রুবেল আহসান, তপন দত্ত, রুবিনা আক্তার এবং দীপক শীল।
গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য বজায় রেখে দ্বিমত
সংলাপে কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
সিপিবির অনেক প্রস্তাবের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতপার্থক্য থাকলেও, আলোচনায় সৌহার্দ্য বজায় থাকায় সেটিকে গণতান্ত্রিক সৌন্দর্যের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন রুহিন হোসেন প্রিন্স।
তিনি বলেন,
> “আমাদের ঘোরতর দ্বিমত থাকা সত্ত্বেও আলোচনায় ঘাটতি হয়নি। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সেই ধারায় দেশবাসীকেও সম্পৃক্ত করা গেলে গণতন্ত্র আরও এগিয়ে যাবে।”
---
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ করে এখন দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সহসভাপতি আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংলাপের প্রথম পর্যায়ে পাওয়া মতামত ও ভিন্নমতের আলোকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি সম্ভব হবে বলে কমিশনের বিশ্বাস।
সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)–এর সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সিপিবির সঙ্গে আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ হচ্ছে।
আলী রীয়াজ বলেন,
> “আশা করছি, দ্বিতীয় ধাপে নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব হবে। শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু করব এবং সংবাদ সম্মেলন করে প্রথম ধাপের অগ্রগতি জানানো হবে।”
জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাষ্ট্র সংস্কার কমিশনগুলোর একীভূত সুপারিশের ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত চেয়ে আলোচনা শুরু করেছিল কমিশন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ২০ মার্চ থেকে ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন হয়েছে।
ভোট নিয়ে শঙ্কা, সংস্কারের দাবি সিপিবির
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন,
> “নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। জনগণ জানতে চায়, তারা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে কি না, প্রার্থী হতে পারবে কি না, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে কি না।”
তিনি আরও বলেন,
> “ভোটের সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানি, আঞ্চলিক বিভাজন বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে জনগণের মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে সেটাও প্রতিরোধ করতে হবে।”
সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ছাড়াও স্বাস্থ্য ও নারী বিষয়ক সংস্কারের প্রস্তাবগুলো আলোচনায় আনার কথা বলেন তিনি।
সিপিবি প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আলম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, রুবেল আহসান, তপন দত্ত, রুবিনা আক্তার এবং দীপক শীল।
গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য বজায় রেখে দ্বিমত
সংলাপে কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
সিপিবির অনেক প্রস্তাবের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতপার্থক্য থাকলেও, আলোচনায় সৌহার্দ্য বজায় থাকায় সেটিকে গণতান্ত্রিক সৌন্দর্যের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন রুহিন হোসেন প্রিন্স।
তিনি বলেন,
> “আমাদের ঘোরতর দ্বিমত থাকা সত্ত্বেও আলোচনায় ঘাটতি হয়নি। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সেই ধারায় দেশবাসীকেও সম্পৃক্ত করা গেলে গণতন্ত্র আরও এগিয়ে যাবে।”
---