অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে আলোচনার মধ্যেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, ‘এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন (মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া)।’
রোববার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। সোমবার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ইন্টেরিম, ৬২৬ জনের লিস্ট কোথায়? ৬২৬ জনকে নিরাপদে বের করে দিয়ে এখন নুসরাত ফারিয়াকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে বোঝাতে চাচ্ছেন, আপনারা খুব বিচার করছেন? এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন।’
অভিনয়শিল্পীরাও নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন লিখেছেন, ‘কী এক লজ্জা। ফ্যাসিস্ট সরকার যা করেছে, সেখানে এই মেয়েটার কিছুই করার ছিল না। আমি এমন পরিস্থিতি এবং সিস্টেম সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এমন একটি দেশে বাস করি, যেখানে ন্যায্য অধিকার শব্দটা সাধারণ নয়। কিন্তু সত্যিকারভাবেই এটা অগ্রহণযোগ্য।’
ছোট পর্দার অভিনেতা খায়রুল বাশার লিখেছেন, ‘তিনি অভিনেত্রী। তাঁর কাজ অভিনয় করা। কোনো গল্পে যে চরিত্রটা পাবেন, সে চরিত্রের যথাযথ প্রকাশ তিনি করবেন; এই তাঁর কাজ। আমার ধারণা, তিনি রাজনীতি–সচেতনও না। এমনকি তিনি কোনো রাজনীতিও করেন না। এমনকি বিটিভিতে গিয়ে মায়াকান্নাও করেন নাই। তাহলে একটা সিনেমায় অভিনয় করাকে কেন্দ্র করে কেন এই হেনস্তা? সেখানে কেউ রাজনীতি করতে যাননি।’
নুসরাত ফারিয়া ২০১৫ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন। পাশাপাশি মডেলিং ও সঞ্চালনায়ও তিনি সক্রিয়।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে আলোচনার মধ্যেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, ‘এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন (মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া)।’
রোববার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। সোমবার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ইন্টেরিম, ৬২৬ জনের লিস্ট কোথায়? ৬২৬ জনকে নিরাপদে বের করে দিয়ে এখন নুসরাত ফারিয়াকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে বোঝাতে চাচ্ছেন, আপনারা খুব বিচার করছেন? এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন।’
অভিনয়শিল্পীরাও নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন লিখেছেন, ‘কী এক লজ্জা। ফ্যাসিস্ট সরকার যা করেছে, সেখানে এই মেয়েটার কিছুই করার ছিল না। আমি এমন পরিস্থিতি এবং সিস্টেম সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এমন একটি দেশে বাস করি, যেখানে ন্যায্য অধিকার শব্দটা সাধারণ নয়। কিন্তু সত্যিকারভাবেই এটা অগ্রহণযোগ্য।’
ছোট পর্দার অভিনেতা খায়রুল বাশার লিখেছেন, ‘তিনি অভিনেত্রী। তাঁর কাজ অভিনয় করা। কোনো গল্পে যে চরিত্রটা পাবেন, সে চরিত্রের যথাযথ প্রকাশ তিনি করবেন; এই তাঁর কাজ। আমার ধারণা, তিনি রাজনীতি–সচেতনও না। এমনকি তিনি কোনো রাজনীতিও করেন না। এমনকি বিটিভিতে গিয়ে মায়াকান্নাও করেন নাই। তাহলে একটা সিনেমায় অভিনয় করাকে কেন্দ্র করে কেন এই হেনস্তা? সেখানে কেউ রাজনীতি করতে যাননি।’
নুসরাত ফারিয়া ২০১৫ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন। পাশাপাশি মডেলিং ও সঞ্চালনায়ও তিনি সক্রিয়।