জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের সংলাপ শেষে দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। ভিন্নমতের জায়গাগুলোকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে একত্র করে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিপিবির সঙ্গে ১৩ মে মুলতবি হওয়া বৈঠক সোমবার বিকাল ৩টায় আবার শুরু হয়।
সিপিবির সঙ্গে আলোচনা দিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ করছে কমিশন। রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ একীভূত করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন।
৩৯টি দলের মতামতের ভিত্তিতে ২০ মার্চ থেকে ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করেছে তারা। আলী রীয়াজ বলেন, দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথম ধাপের অগ্রগতি জানানো হবে এবং দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হবে শিগগিরই।
সংলাপে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। তিনি বলেন, জনগণ জানতে চায় তারা ভোট দিতে পারবে কিনা, দাঁড়াতে পারবে কিনা, প্রশাসনিক কারসাজি হবে কিনা।
প্রিন্স জানান, অনেক সংস্কার প্রস্তাবে সিপিবির ঘোরতর দ্বিমত থাকলেও আলোচনায় সৌহার্দ্য বজায় ছিল। তিনি বলেন, নির্বাচন, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ছাড়াও স্বাস্থ্য ও নারী বিষয়ক সংস্কার আলোচনায় আনা উচিত।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ প্রশ্নমালায় না থাকায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণ এগুলো জানতে পারলে মতামতের সুযোগ তৈরি হবে।
গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হলো ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা—এমনটাই উল্লেখ করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক।
সংলাপে মনির হায়দারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের সংলাপ শেষে দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। ভিন্নমতের জায়গাগুলোকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে একত্র করে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিপিবির সঙ্গে ১৩ মে মুলতবি হওয়া বৈঠক সোমবার বিকাল ৩টায় আবার শুরু হয়।
সিপিবির সঙ্গে আলোচনা দিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ করছে কমিশন। রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ একীভূত করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন।
৩৯টি দলের মতামতের ভিত্তিতে ২০ মার্চ থেকে ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করেছে তারা। আলী রীয়াজ বলেন, দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথম ধাপের অগ্রগতি জানানো হবে এবং দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হবে শিগগিরই।
সংলাপে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। তিনি বলেন, জনগণ জানতে চায় তারা ভোট দিতে পারবে কিনা, দাঁড়াতে পারবে কিনা, প্রশাসনিক কারসাজি হবে কিনা।
প্রিন্স জানান, অনেক সংস্কার প্রস্তাবে সিপিবির ঘোরতর দ্বিমত থাকলেও আলোচনায় সৌহার্দ্য বজায় ছিল। তিনি বলেন, নির্বাচন, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ছাড়াও স্বাস্থ্য ও নারী বিষয়ক সংস্কার আলোচনায় আনা উচিত।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ প্রশ্নমালায় না থাকায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণ এগুলো জানতে পারলে মতামতের সুযোগ তৈরি হবে।
গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হলো ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা—এমনটাই উল্লেখ করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক।
সংলাপে মনির হায়দারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।