জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মত জানিয়েছে দলটি। বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে রোববার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে সোমবার তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

এনসিপি বলেছে, এ ধরনের লোকদেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা জুলাই গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে।

দলটি আরও উল্লেখ করে, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কোনো রকম বাধাবিপত্তি ছাড়াই দেশত্যাগ করেছেন। সেনানিবাসে আশ্রিত ৬২৬ জন ব্যক্তির পরিচয় এখনো প্রকাশিত হয়নি। পতিত ফ্যাসিবাদ ও এর সমর্থকেরা এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাগরিকবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিচার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও এর বাস্তবায়নে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন দেখা যায়নি।

এনসিপি বলেছে, বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রশাসনের একটি পক্ষ বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। দলটি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই গণহত্যার বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায় এবং সেই লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এ ছাড়া হরেদরে মামলা ও মামলা–বাণিজ্যের বিষয়টি আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।