প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে এবং বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার রাত পৌনে ৮টা থেকে ৮টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
তবে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের নাম প্রকাশ না করলেও, খন্দকার মোশাররফ পরিষদ পুনর্গঠনের কথা জোর দিয়ে বলেন। দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান মন্তব্য করেন, “নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হলেই শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।” প্রতিনিধি দলের সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে তারা মত দিয়েছেন।
রোডম্যাপ নিয়ে কোনো আশ্বাস মিলেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। আমরা আমাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে দিয়েছি। হয়তো তারা প্রেসের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাবেন।” আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, “এখনই কিছু বলার সময় নয়। ওনারা আগে প্রতিক্রিয়া দিন, তারপর আমরা জানাব।”
আলোচনায় সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন প্রসঙ্গ ওঠে জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আমরা বলেছি, এই তিনটি বিষয় পরস্পর সম্পর্কযুক্ত নয়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। ভবিষ্যতে যদি জনগণ আমাদের ক্ষমতায় আনে, আমরা এই সংস্কার বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”
তিনি আরও বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য দ্রুত রোডম্যাপ প্রণয়ন জরুরি। দেশের মানুষ বিশ্বাস করে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।”
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সেনাপ্রধানের বক্তব্য, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মতভেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগ ভাবনা’ ছিল আলোচনার প্রেক্ষাপট।
বিএনপির এই চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বৈঠকের পর রাতে প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এবং এরপর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, রোববার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে এবং বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার রাত পৌনে ৮টা থেকে ৮টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
তবে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের নাম প্রকাশ না করলেও, খন্দকার মোশাররফ পরিষদ পুনর্গঠনের কথা জোর দিয়ে বলেন। দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান মন্তব্য করেন, “নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হলেই শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।” প্রতিনিধি দলের সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে তারা মত দিয়েছেন।
রোডম্যাপ নিয়ে কোনো আশ্বাস মিলেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। আমরা আমাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে দিয়েছি। হয়তো তারা প্রেসের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাবেন।” আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, “এখনই কিছু বলার সময় নয়। ওনারা আগে প্রতিক্রিয়া দিন, তারপর আমরা জানাব।”
আলোচনায় সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন প্রসঙ্গ ওঠে জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আমরা বলেছি, এই তিনটি বিষয় পরস্পর সম্পর্কযুক্ত নয়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। ভবিষ্যতে যদি জনগণ আমাদের ক্ষমতায় আনে, আমরা এই সংস্কার বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”
তিনি আরও বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য দ্রুত রোডম্যাপ প্রণয়ন জরুরি। দেশের মানুষ বিশ্বাস করে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র উত্তরণের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।”
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সেনাপ্রধানের বক্তব্য, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মতভেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগ ভাবনা’ ছিল আলোচনার প্রেক্ষাপট।
বিএনপির এই চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বৈঠকের পর রাতে প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এবং এরপর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, রোববার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে।