অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নানা পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ক্ষমতায় থাকার’ জন্য সরকারপ্রধান মৌলবাদীদের ‘ঐক্যবদ্ধ’ করেছেন।
রোববার দুপুরে এক প্রতিবাদ সভায় জাতীয়তাবাদী দল ঘিরে মৌলবাদী ও বামপন্থী রাজনীতির চিত্র হাজির করে তিনি বলেন, “যারা প্রগতিশীল বাম ও মৌলবাদী রাজনীতি করে তারা তেমনই একই চারা… এটা ইউনূস সাহেব বিভক্ত করে দিয়েছেন। মৌলবাদীদের একখানে করে ফেলছেন ক্ষমতায় থাকার জন্য।
পৃথিবীতে যে শক্তিকে আপনি (মুহাম্মদ ইউনূস) সন্তুষ্ট করতে চান, সারা পৃথিবীতে মৌলবাদীর জন্মদাতা-মদদদাতা হল ওই দেশটা (যুক্তরাষ্ট্র)। তারা লাদেনের জন্মদাতা আবার তারাই লাদেনকে শেষ করেছে।”
বিএনপির এ নেতা বলেন, “আমাদের নতুন সংকট যেটা বুঝি, সেটাকে আমরা সংকট মনে করি না। কারণ আমাদের কণ্ঠের সাথে আরেকজনের কণ্ঠের যখন অমিল নাই, আমাদের সুর-তার-লয়-কথা যখন এক, আমাদের দমাবে এই শক্তি কার? কার শক্তি আছে?”
“আমরা এখানে (আলোচনা সভায়) যারা আছি ঘুরে-ফিরে কিন্তু সব দলের একইমত একই কথা… আমরা যদি বলি, কালকে রাস্তায় নামব তাহলে আমার মনে হয়, ইউনূস সাহেব থাকতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “তারপরও আমরা চাই, ড. ইউনূসই সফল হোক, ড. ইউনূসের সফলতা মানেই তো আমাদের জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের একটা সফলতা। আজকেও বলে যাচ্ছি, গণতন্ত্র জনগণের মৌলিক অধিকার, জনগণের মালিকানা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করার দিনটি না দেখে ঈশ্বর যেন আমাকে চিতায় না তোলে।”
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলন’ এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “ভোটের কথা বললে ওনাদের কেন জানি যন্ত্রণা হয়, এটা বুঝি না। ওনারা যদি কেউ মনে করেন, ওনাদের একটা রাজকীয় দল তৈরি করবেন, কবে সেটা হবে, কবে জিতবে তারপরে করবেন? তাহলে এটা তো ভাই গণতন্ত্রের কথা না।
“আমরা তো শেখ হাসিনার ছায়া দেখতে পাই। মনে আছে না… কিছু হলে শেখ হাসিনা বলতো যে, তার তথাকথিত উন্নয়ন ধারা ঠিক রাখতে হলে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে হবে… একই সরকারকে রাখতে হবে… ওনারা বলছেন, পাঁচ বছর ওনাকে থাকতে হবে। তাই সেই ছায়াই তো এখন আমরা দেখতে পারছি… আজকে আমাদের সেই ছায়া তো দেখার কথা ছিল না।”
ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচিত সরকার দেখতে চান, এমন দাবি তুলে তিনি বলেন, “যদি বুঝতাম আপনি (মুহাম্মদ ইউনূস) ভালো কাজ করছেন, জনগণের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছেন তাহলে দুই-চারদিন বেশি হলে আমাদের কোনো আপত্তির কিছু থাকতো না। আমরা সেটা দেখতে পারছি না।
“দিন যত যাচ্ছে আপনি এত দরজা খুলে ফেলেছেন… পতিত স্বৈরাচারের বিভিন্ন সময়ে অগণতান্ত্রিক শাসনে বেড়ে উঠা অপশক্তি, আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা সুযোগ নিতে পারে। এর দায়ও আপনাকে নিতে হবে, এই দায় আমরা নেব না।”
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একাংশের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, “দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড না, আল্লাহতালার ফেরেস্তা আসলেও ১৯০ মিটারের বেশি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারবে না, ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে না।”
তিনি বলেন, “দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড এখানে আসলে সামান্যতম কোনো কাজে লাগবে না, একটা পয়সা সেখানে বিনিয়োগ করার কোনো সুযোগ নাই… সমস্ত বন্দরই সব কিছু করে ফেলেছে… এটা একটা চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র।”
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, “আমরা জানি না, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়ে এই ধরনের কথা বলেছেন কিনা। আমার বিশ্বাস, তিনি এরকম কথা বলবেন না। তিনি এত অনভিজ্ঞ লোক নন যে তিনি বলবেন, পদত্যাগ করব।”
“কিন্তু এটা বাজারে ছাড়ল কারা? এই বিভ্রান্তি-প্রচারণা ছাড়ল কারা? এই নতুন দল, আমাদের ছাত্র বন্ধুদের, এনসিপির তারা। তারা হচ্ছে সোর্স। বিবিসি নিউজ করছে, রয়েটার্স নিউজ করছে, নিউইয়র্ক টাইমস নিউজ করছে… নির্বাচনের চাপে ইউনূস পদত্যাগ করবেন। কেউ কি ওনাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমরা কেউ বলিনি।”
‘দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলন’ এর প্রধান জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশের জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
সভা সঞ্চালনে ছিলেন বিএলডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু।
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নানা পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ক্ষমতায় থাকার’ জন্য সরকারপ্রধান মৌলবাদীদের ‘ঐক্যবদ্ধ’ করেছেন।
রোববার দুপুরে এক প্রতিবাদ সভায় জাতীয়তাবাদী দল ঘিরে মৌলবাদী ও বামপন্থী রাজনীতির চিত্র হাজির করে তিনি বলেন, “যারা প্রগতিশীল বাম ও মৌলবাদী রাজনীতি করে তারা তেমনই একই চারা… এটা ইউনূস সাহেব বিভক্ত করে দিয়েছেন। মৌলবাদীদের একখানে করে ফেলছেন ক্ষমতায় থাকার জন্য।
পৃথিবীতে যে শক্তিকে আপনি (মুহাম্মদ ইউনূস) সন্তুষ্ট করতে চান, সারা পৃথিবীতে মৌলবাদীর জন্মদাতা-মদদদাতা হল ওই দেশটা (যুক্তরাষ্ট্র)। তারা লাদেনের জন্মদাতা আবার তারাই লাদেনকে শেষ করেছে।”
বিএনপির এ নেতা বলেন, “আমাদের নতুন সংকট যেটা বুঝি, সেটাকে আমরা সংকট মনে করি না। কারণ আমাদের কণ্ঠের সাথে আরেকজনের কণ্ঠের যখন অমিল নাই, আমাদের সুর-তার-লয়-কথা যখন এক, আমাদের দমাবে এই শক্তি কার? কার শক্তি আছে?”
“আমরা এখানে (আলোচনা সভায়) যারা আছি ঘুরে-ফিরে কিন্তু সব দলের একইমত একই কথা… আমরা যদি বলি, কালকে রাস্তায় নামব তাহলে আমার মনে হয়, ইউনূস সাহেব থাকতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “তারপরও আমরা চাই, ড. ইউনূসই সফল হোক, ড. ইউনূসের সফলতা মানেই তো আমাদের জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের একটা সফলতা। আজকেও বলে যাচ্ছি, গণতন্ত্র জনগণের মৌলিক অধিকার, জনগণের মালিকানা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করার দিনটি না দেখে ঈশ্বর যেন আমাকে চিতায় না তোলে।”
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলন’ এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “ভোটের কথা বললে ওনাদের কেন জানি যন্ত্রণা হয়, এটা বুঝি না। ওনারা যদি কেউ মনে করেন, ওনাদের একটা রাজকীয় দল তৈরি করবেন, কবে সেটা হবে, কবে জিতবে তারপরে করবেন? তাহলে এটা তো ভাই গণতন্ত্রের কথা না।
“আমরা তো শেখ হাসিনার ছায়া দেখতে পাই। মনে আছে না… কিছু হলে শেখ হাসিনা বলতো যে, তার তথাকথিত উন্নয়ন ধারা ঠিক রাখতে হলে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে হবে… একই সরকারকে রাখতে হবে… ওনারা বলছেন, পাঁচ বছর ওনাকে থাকতে হবে। তাই সেই ছায়াই তো এখন আমরা দেখতে পারছি… আজকে আমাদের সেই ছায়া তো দেখার কথা ছিল না।”
ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচিত সরকার দেখতে চান, এমন দাবি তুলে তিনি বলেন, “যদি বুঝতাম আপনি (মুহাম্মদ ইউনূস) ভালো কাজ করছেন, জনগণের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছেন তাহলে দুই-চারদিন বেশি হলে আমাদের কোনো আপত্তির কিছু থাকতো না। আমরা সেটা দেখতে পারছি না।
“দিন যত যাচ্ছে আপনি এত দরজা খুলে ফেলেছেন… পতিত স্বৈরাচারের বিভিন্ন সময়ে অগণতান্ত্রিক শাসনে বেড়ে উঠা অপশক্তি, আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা সুযোগ নিতে পারে। এর দায়ও আপনাকে নিতে হবে, এই দায় আমরা নেব না।”
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একাংশের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, “দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড না, আল্লাহতালার ফেরেস্তা আসলেও ১৯০ মিটারের বেশি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারবে না, ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে না।”
তিনি বলেন, “দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড এখানে আসলে সামান্যতম কোনো কাজে লাগবে না, একটা পয়সা সেখানে বিনিয়োগ করার কোনো সুযোগ নাই… সমস্ত বন্দরই সব কিছু করে ফেলেছে… এটা একটা চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র।”
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, “আমরা জানি না, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়ে এই ধরনের কথা বলেছেন কিনা। আমার বিশ্বাস, তিনি এরকম কথা বলবেন না। তিনি এত অনভিজ্ঞ লোক নন যে তিনি বলবেন, পদত্যাগ করব।”
“কিন্তু এটা বাজারে ছাড়ল কারা? এই বিভ্রান্তি-প্রচারণা ছাড়ল কারা? এই নতুন দল, আমাদের ছাত্র বন্ধুদের, এনসিপির তারা। তারা হচ্ছে সোর্স। বিবিসি নিউজ করছে, রয়েটার্স নিউজ করছে, নিউইয়র্ক টাইমস নিউজ করছে… নির্বাচনের চাপে ইউনূস পদত্যাগ করবেন। কেউ কি ওনাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমরা কেউ বলিনি।”
‘দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলন’ এর প্রধান জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশের জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
সভা সঞ্চালনে ছিলেন বিএলডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু।