দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের তিন বছরের সাজার রায় বহাল থাকবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী বুধবার।
সোমবার জুবাইদা রহমানের করা আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।
আদালতে জুবাইদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারা মোট ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।
২০০৮ সালের ৩১ মার্চ দুদক এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের মধ্যে তারেক ও জুবাইদা এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট দায়ের করেন।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি তাদের অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
এরপর ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুবাইদার এক বছরের সাজা স্থগিত করা হয়, শর্তসাপেক্ষে যে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিল করবেন।
২০২৪ সালের ৬ মে দীর্ঘ ১৭ বছর পর শাশুড়ির সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। দেশে ফেরার পর তার আইনজীবীরা সাজা স্থগিত ও আপিল গ্রহণের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। আপিলের আগে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনার আবেদন হাইকোর্ট মঞ্জুর করে। এরপর ১৪ মে আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদালত এবং জুবাইদাকে জামিন দেন।
মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং বিচারিক রায়ের পাঠ শেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় আপিল শুনানি। দুই দিনের শুনানি শেষে সোমবার মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
এই মামলার রায়ের মাধ্যমে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা একটি আলোচিত মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে যাচ্ছে।
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের তিন বছরের সাজার রায় বহাল থাকবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী বুধবার।
সোমবার জুবাইদা রহমানের করা আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।
আদালতে জুবাইদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারা মোট ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।
২০০৮ সালের ৩১ মার্চ দুদক এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের মধ্যে তারেক ও জুবাইদা এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট দায়ের করেন।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি তাদের অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
এরপর ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুবাইদার এক বছরের সাজা স্থগিত করা হয়, শর্তসাপেক্ষে যে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিল করবেন।
২০২৪ সালের ৬ মে দীর্ঘ ১৭ বছর পর শাশুড়ির সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। দেশে ফেরার পর তার আইনজীবীরা সাজা স্থগিত ও আপিল গ্রহণের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। আপিলের আগে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনার আবেদন হাইকোর্ট মঞ্জুর করে। এরপর ১৪ মে আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদালত এবং জুবাইদাকে জামিন দেন।
মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং বিচারিক রায়ের পাঠ শেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় আপিল শুনানি। দুই দিনের শুনানি শেষে সোমবার মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
এই মামলার রায়ের মাধ্যমে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা একটি আলোচিত মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে যাচ্ছে।