কর্মচারীরা সরকারের কাজে বাধা দিলে, হুমকি দিলে জনগণই তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সংস্কারে ‘বাধা দিয়ে’ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
সরকারি চাকরি আইন সংশোধন নিয়ে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ এবং এনবিআর বিভক্তির বিরুদ্ধে ও চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে সংস্থার কর্মীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যান থেকে উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “এখন সচিবালয়েও দেখলাম আন্দোলন হচ্ছে, বিক্ষোভ হচ্ছে। এনবিআর সংস্কারেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
“দেখেন, আপনাদের বলতে চাই, যখন জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলছিল, আপনারা কিন্তু কালো ব্যাজ ধারণ করে শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে অফিস করেছেন। এখন আপনারা হুমকি দেন—অফিস চলতে দিবেন না, অফিস বন্ধ করে রাখবেন। ৫ অগাস্ট কিন্তু আপনাদের এই হিম্মতটা ছিল না। শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আপনারা কিন্তু তখন কেউ পদত্যাগ করেননি।”
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করার প্রস্তাবে সায় দেয়। এর প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে দিনভর সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের আপত্তির মধ্যেই রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোববার রাতে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সোমবারও সচিবালয়ে কর্মচারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ১২ মে রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভাগ করে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি হয়। এরপরদিন থেকেই এটি বাতিলের দাবিতে অবস্থান ও কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন এনবিআরের কর্মীরা।
সরকার দাবি মানার আশ্বাস দিলে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোববার রাতে কর্মবিরতিসহ সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। তবে চেয়ারম্যানকে অপসারণের জন্য তিন দিন সময় বেঁধে দিয়েছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’।
এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আমাদের যদি অসহায়-দুর্ভোগের রেজিমেন্ট হিসেবে কিছু পরিচিত থাকে, সেটা হচ্ছে সচিবালয় এবং দুর্নীতির আতুরঘর হিসেবে যদি কিছু পরিচিত হয়, সেটা হচ্ছে এনবিআর।
“সেজন্য আপনারা আমার বক্তব্যকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ইন্টারপ্রেট করতে পারেন। আমরা জনগণের হয়ে, জনগণের মধ্যে থেকে কথা বলি। আমরা শক্ত ভাষায় বলতে চাই, ৫ অগাস্ট পর্যন্ত আমরা দেখেছি, যদি হাসিনা না পড়ত, যদি ফ্যাসিবাদ সরকার টিকে যেত, আপনারা আবার কিন্তু এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পদলেহন করে চাকরি করতেন।”
তিনি বলেন, “৫ অগাস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আপনারা যদি জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এই সরকারকে হুমকি-ধামকি দেন যে সরকার সংস্কার কার্যক্রম করলে সেটিকে বাধা দিবেন, আপনারা মনে রাখবেন, এই জনগণ আপনাদের বিকল্প খুঁজে নিবে।
“৫ অগাস্ট পর্যন্ত কোনো মন্ত্রণালয়ের কোনো সচিব, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কি পদত্যাগ করেছিল? সন্তানদের, সাধারণ নাগরিকদের এভাবে রাস্তার মধ্যে গুলি করে হত্যা করছিল, একজন সচিব, একজন আমলা, একজন সরকারি চাকরিজীবীর কি পদত্যাগের খবর এসেছিল?”
সরকারের কাজে সহযোগিতা না করে তাঁরা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “সরকারকে সহযোগিতা করুন, সংস্কার কার্যক্রমকে সহযোগিতা করুন। আপনাদের যদি সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে কোনো পর্যালোচনা থাকে, কোনো মন্তব্য থাকে, সেটা নিজেরা আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করুন।
“কিন্তু সরকারকে যদি জিম্মি করেন, সেটার পরিস্থিতি ভালো হবে না। কারণ আপনাদের এই হিম্মত ছিল না, ফ্যাসিবাদ সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।”
চট্টগ্রামে পথসভার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সারাদেশের মানুষ অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নতুন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা তাদের মতামত জানাতে চায়। আমরা কী বলতে চাই, তারা তা শুনতে চায়। আমরা মানুষের মধ্যে অপেক্ষা দেখেছি, আগ্রহ দেখেছি এবং নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে তাদের আগ্রহ দেখেছি।
“যেহেতু দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলো জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণাঙ্গ রূপে বাস্তবায়ন করতে সফল হয়নি, সেজন্য আমরা যখন মানুষের কাছে যাচ্ছি, মানুষ আগ্রহ সহকারে সমস্যা নিয়ে কথা বলছে। একই সঙ্গে সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলছে।”
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম মিতু ও মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আরমান হোসেন প্রমুখ।
সোমবার এনসিপি নেতাদের উত্তর চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় পথসভা করার কথা রয়েছে।
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
কর্মচারীরা সরকারের কাজে বাধা দিলে, হুমকি দিলে জনগণই তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সংস্কারে ‘বাধা দিয়ে’ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
সরকারি চাকরি আইন সংশোধন নিয়ে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ এবং এনবিআর বিভক্তির বিরুদ্ধে ও চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে সংস্থার কর্মীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যান থেকে উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “এখন সচিবালয়েও দেখলাম আন্দোলন হচ্ছে, বিক্ষোভ হচ্ছে। এনবিআর সংস্কারেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
“দেখেন, আপনাদের বলতে চাই, যখন জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলছিল, আপনারা কিন্তু কালো ব্যাজ ধারণ করে শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে অফিস করেছেন। এখন আপনারা হুমকি দেন—অফিস চলতে দিবেন না, অফিস বন্ধ করে রাখবেন। ৫ অগাস্ট কিন্তু আপনাদের এই হিম্মতটা ছিল না। শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আপনারা কিন্তু তখন কেউ পদত্যাগ করেননি।”
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করার প্রস্তাবে সায় দেয়। এর প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে দিনভর সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের আপত্তির মধ্যেই রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোববার রাতে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সোমবারও সচিবালয়ে কর্মচারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ১২ মে রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভাগ করে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি হয়। এরপরদিন থেকেই এটি বাতিলের দাবিতে অবস্থান ও কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন এনবিআরের কর্মীরা।
সরকার দাবি মানার আশ্বাস দিলে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোববার রাতে কর্মবিরতিসহ সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। তবে চেয়ারম্যানকে অপসারণের জন্য তিন দিন সময় বেঁধে দিয়েছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’।
এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আমাদের যদি অসহায়-দুর্ভোগের রেজিমেন্ট হিসেবে কিছু পরিচিত থাকে, সেটা হচ্ছে সচিবালয় এবং দুর্নীতির আতুরঘর হিসেবে যদি কিছু পরিচিত হয়, সেটা হচ্ছে এনবিআর।
“সেজন্য আপনারা আমার বক্তব্যকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ইন্টারপ্রেট করতে পারেন। আমরা জনগণের হয়ে, জনগণের মধ্যে থেকে কথা বলি। আমরা শক্ত ভাষায় বলতে চাই, ৫ অগাস্ট পর্যন্ত আমরা দেখেছি, যদি হাসিনা না পড়ত, যদি ফ্যাসিবাদ সরকার টিকে যেত, আপনারা আবার কিন্তু এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পদলেহন করে চাকরি করতেন।”
তিনি বলেন, “৫ অগাস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আপনারা যদি জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এই সরকারকে হুমকি-ধামকি দেন যে সরকার সংস্কার কার্যক্রম করলে সেটিকে বাধা দিবেন, আপনারা মনে রাখবেন, এই জনগণ আপনাদের বিকল্প খুঁজে নিবে।
“৫ অগাস্ট পর্যন্ত কোনো মন্ত্রণালয়ের কোনো সচিব, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কি পদত্যাগ করেছিল? সন্তানদের, সাধারণ নাগরিকদের এভাবে রাস্তার মধ্যে গুলি করে হত্যা করছিল, একজন সচিব, একজন আমলা, একজন সরকারি চাকরিজীবীর কি পদত্যাগের খবর এসেছিল?”
সরকারের কাজে সহযোগিতা না করে তাঁরা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “সরকারকে সহযোগিতা করুন, সংস্কার কার্যক্রমকে সহযোগিতা করুন। আপনাদের যদি সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে কোনো পর্যালোচনা থাকে, কোনো মন্তব্য থাকে, সেটা নিজেরা আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করুন।
“কিন্তু সরকারকে যদি জিম্মি করেন, সেটার পরিস্থিতি ভালো হবে না। কারণ আপনাদের এই হিম্মত ছিল না, ফ্যাসিবাদ সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।”
চট্টগ্রামে পথসভার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সারাদেশের মানুষ অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নতুন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা তাদের মতামত জানাতে চায়। আমরা কী বলতে চাই, তারা তা শুনতে চায়। আমরা মানুষের মধ্যে অপেক্ষা দেখেছি, আগ্রহ দেখেছি এবং নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে তাদের আগ্রহ দেখেছি।
“যেহেতু দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলো জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণাঙ্গ রূপে বাস্তবায়ন করতে সফল হয়নি, সেজন্য আমরা যখন মানুষের কাছে যাচ্ছি, মানুষ আগ্রহ সহকারে সমস্যা নিয়ে কথা বলছে। একই সঙ্গে সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলছে।”
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম মিতু ও মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আরমান হোসেন প্রমুখ।
সোমবার এনসিপি নেতাদের উত্তর চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় পথসভা করার কথা রয়েছে।