alt

রাজনীতি

দুদকের করা অবৈধ সম্পদের মামলা বাতিল, খালাস পেলেন তারেক-জুবাইদা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় জুবাইদা রহমানের সঙ্গে তার স্বামী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল করে তাদের খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

জুবাইদার করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।

জজ আদালতে মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

আদালত বলেছে, আইন অনুযায়ী জুবাইদা রহমানকে নোটিস না দিয়েই এ মামলা দায়ের করেছিল দুদক, যা ‘আইনসম্মত হয়নি’।

অভিযোগ দায়ের থেকে মামলার পুরো প্রক্রিয়াকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বলেছে হাইকোর্ট। সে কারণে আপিল না করলেও তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল করে তাকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ আমলে যেসব মামলায় তারেক রহমানের সাজার রায় এসেছিল, এর মধ্য দিয়ে তার সবগুলোতেই খালাস পেলেন তিনি।

২০০৮ সালে কারামুক্তির পর তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জায়মা রহমানও তার সঙ্গে ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের সময়ে তাদের আর দেশে ফেরা হয়নি।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেক রহমান এবং তার মা খালেদা জিয়াকে কয়েকটি মামলা থেকে রেহাই দেয় আদালত। গত বছরের ২ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জুবাইদার দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, “সাজা স্থগিতের আবেদনে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে দণ্ডাদেশ স্থগিতের ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

১৭ বছর পর গত ৬ মে শাশুড়ির সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা। পরে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টে আপিলের আবেদন করেন।

মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও রায় পাঠের মধ্য দিয়ে গত ২২ মে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। আপিল শুনানিতে জুবাইদা রহমানের সঙ্গে তারেক রহমানের খালাস চেয়ে আর্জি জানান তাদের আইনজীবীরা।

জুবাইদার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিল দুদক।

মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।

পরে একই বছর তারেক ও জুবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে তাদের জরিমানাও করা হয়।

জুবাইদার তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ১৪ মে তাকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। তার আগের দিন ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনার দরখাস্ত হাইকোর্ট মঞ্জুরের পর ওই আপিল করেছিলেন তারেকপত্নী।

ছবি

নাগরিক অধিকার ও রাষ্ট্রীয় ভারসাম্যে জাতীয় সনদের ওপর জোর

ছবি

‘সংস্কারের নামে ফেনা তুলছেন, কয়টা বাস্তবায়ন করেছেন?’: প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি নেতার প্রশ্ন

ছবি

জবাবদিহির অভাবে অস্থিরতা, অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে: তারেক রহমান

ছবি

শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি ছাত্র ফেডারেশনের

ছবি

খালেদা জিয়ার আশাবাদ: শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে

“সরকার আদালত অবমাননা করছে”, অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ইশরাকের অভিযোগ

ছবি

“শপথ না পড়ালে আন্দোলন”, হুঁশিয়ারি দিলেন মেয়র পদে গেজেটপ্রাপ্ত ইশরাক

ছবি

রাজশাহী-চট্টগ্রামে হামলার প্রতিবাদে বিচার দাবি ছাত্র ফ্রন্টের

ডাকসু নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টার অভিযোগ শিবিরের

ছবি

বাড্ডায় দোকানকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা; সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতারা আসামি

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ, সিরাজগঞ্জে কবর ভাঙার ঘটনায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপ

ছবি

ইশরাকের মেয়র পদে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল, নির্বাচন কমিশনের ওপর সিদ্ধান্তের ভার

সাভারে ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছে বিবাহিত ও ছাত্রলীগ কর্মী

ছবি

স্টারলিংক আরাকান আর্মির জন্য আনা হয়েছে: মির্জা আব্বাস

ছবি

কারামুক্ত আজহারের শাহবাগে সংবর্ধনা, জুলাই আন্দোলনকারীদের জানালেন কৃতজ্ঞতা

ছবি

ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে সহযোগিতা কঠিন হবে: বিএনপি

পদত্যাগের গুঞ্জনের মাঝে সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা

ছবি

আজহারের খালাসের পর জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন: ‘নেতৃত্ব গণহত্যা’ বলে অভিযোগ

ছবি

আজহারের খালাসের পর শফিকুর রহমান বললেন, “সত্যকে চেপে রাখা যায় না”

ছবি

এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে সত্যকে চেপে রাখা যায় না: জামায়াত আমির

ছবি

সচিবালয় ও এনবিআরের আন্দোলন নিয়ে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

ছবি

‘বিপ্লব ওখানেও হবে’—চলমান আন্দোলনে কড়া বার্তা আবদুল হান্নান মাসউদের

ছবি

জুবাইদা রহমানের সাজা টিকবে কি না জানা যাবে বুধবার

ডিসেম্বরে নির্বাচিত সরকার দেখতে চান রাজনৈতিক নেতারা, ইউনূসের কার্যক্রমে উদ্বেগ

ছবি

"বিবৃতি বোমার মতো ছিল, শেখ হাসিনা ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন" — শফিকুল আলমের পোস্টে আলোচিত সালাহউদ্দিন ইস্যু

ছবি

সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে

এই সরকার হাসিনার বিচার না করে কোথাও যেতে পারবে না : হাসনাত আবদুল

ছবি

পদত্যাগ নয়, দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টাকে

ছবি

নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে একাধিক দলের সঙ্গে বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি বিএনপির

ছবি

ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন ও উপদেষ্টা ইস্যুতে বিএনপির কঠোর বার্তা

ছবি

রাজনৈতিক অস্থিরতায় যমুনায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক, রাতেই জামায়াত-এনসিপি

ছবি

শায়ান ও শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, এনসিএর জব্দ আদেশ জারি

ছবি

সংলাপ, নির্বাচন ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য শফিকুর রহমানের

ছবি

জুলাইয়ের প্রয়োজনেই সেনাবাহিনী জনতার পাশে দাঁড়িয়েছে: ইনকিলাব মঞ্চ আহ্বায়ক

ছবি

"জনতার মেয়র"-এর দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, সময়সীমা শেষে ফের ইশরাকপন্থীদের অবস্থান

tab

রাজনীতি

দুদকের করা অবৈধ সম্পদের মামলা বাতিল, খালাস পেলেন তারেক-জুবাইদা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় জুবাইদা রহমানের সঙ্গে তার স্বামী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল করে তাদের খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

জুবাইদার করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।

জজ আদালতে মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

আদালত বলেছে, আইন অনুযায়ী জুবাইদা রহমানকে নোটিস না দিয়েই এ মামলা দায়ের করেছিল দুদক, যা ‘আইনসম্মত হয়নি’।

অভিযোগ দায়ের থেকে মামলার পুরো প্রক্রিয়াকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বলেছে হাইকোর্ট। সে কারণে আপিল না করলেও তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল করে তাকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ আমলে যেসব মামলায় তারেক রহমানের সাজার রায় এসেছিল, এর মধ্য দিয়ে তার সবগুলোতেই খালাস পেলেন তিনি।

২০০৮ সালে কারামুক্তির পর তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জায়মা রহমানও তার সঙ্গে ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের সময়ে তাদের আর দেশে ফেরা হয়নি।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেক রহমান এবং তার মা খালেদা জিয়াকে কয়েকটি মামলা থেকে রেহাই দেয় আদালত। গত বছরের ২ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জুবাইদার দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, “সাজা স্থগিতের আবেদনে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে দণ্ডাদেশ স্থগিতের ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

১৭ বছর পর গত ৬ মে শাশুড়ির সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা। পরে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টে আপিলের আবেদন করেন।

মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও রায় পাঠের মধ্য দিয়ে গত ২২ মে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। আপিল শুনানিতে জুবাইদা রহমানের সঙ্গে তারেক রহমানের খালাস চেয়ে আর্জি জানান তাদের আইনজীবীরা।

জুবাইদার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিল দুদক।

মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।

পরে একই বছর তারেক ও জুবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে তাদের জরিমানাও করা হয়।

জুবাইদার তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ১৪ মে তাকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। তার আগের দিন ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনার দরখাস্ত হাইকোর্ট মঞ্জুরের পর ওই আপিল করেছিলেন তারেকপত্নী।

back to top