সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ থেকে আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের চারটি কবর গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এবং নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের সলঙ্গা থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হিরো বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, বুধবার উনুখাঁ কবরস্থানে পাগলা পীর (রাঃ) মাজারের পূর্বপাশে ঈদগাহ মাঠের প্রাচীরের উত্তরপাশে থাকা তার বাবা, ছোট ভাই, দাদা ও ছোট দাদার ইট দিয়ে বাঁধাই করা কবর ভেকু মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম হিরোর দাবি, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কবরস্থানের নতুন কমিটি গঠন করা হয় এবং তাদের তত্ত্বাবধানে এই কাজটি করা হয়েছে। কবর ভাঙার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উনুখাঁ কবরস্থান কমিটির সভাপতি এবং ইসলামী ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সেলিম রেজা বলেন, কবরস্থানটি অনেক পুরাতন এবং দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছু গাছ বিক্রি করা হয়েছে। সীমানা প্রাচীর ও মাটি ভরাটের জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করার সময় কবরগুলো ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, “এটা কোনো প্রতিহিংসা থেকে করা হয়নি। উন্নয়নের স্বার্থেই এমনটি করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে কবরগুলো আবার বাঁধাই করে দেওয়া হবে।”
কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উনখাঁ পাগলা পীর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সংস্কারের স্বার্থে ওই চারটি কবরসহ অন্তত ১০-১৫টি বাঁধাই করা কবর ভাঙা হয়েছে। কোনো প্রতিহিংসা থেকে এমনটি করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালে মোহাম্মদ হাসনাত বিকালে জানান, কবর ভাঙার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে থানার ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ থেকে আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের চারটি কবর গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এবং নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের সলঙ্গা থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হিরো বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, বুধবার উনুখাঁ কবরস্থানে পাগলা পীর (রাঃ) মাজারের পূর্বপাশে ঈদগাহ মাঠের প্রাচীরের উত্তরপাশে থাকা তার বাবা, ছোট ভাই, দাদা ও ছোট দাদার ইট দিয়ে বাঁধাই করা কবর ভেকু মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম হিরোর দাবি, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কবরস্থানের নতুন কমিটি গঠন করা হয় এবং তাদের তত্ত্বাবধানে এই কাজটি করা হয়েছে। কবর ভাঙার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উনুখাঁ কবরস্থান কমিটির সভাপতি এবং ইসলামী ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সেলিম রেজা বলেন, কবরস্থানটি অনেক পুরাতন এবং দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছু গাছ বিক্রি করা হয়েছে। সীমানা প্রাচীর ও মাটি ভরাটের জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করার সময় কবরগুলো ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, “এটা কোনো প্রতিহিংসা থেকে করা হয়নি। উন্নয়নের স্বার্থেই এমনটি করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে কবরগুলো আবার বাঁধাই করে দেওয়া হবে।”
কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উনখাঁ পাগলা পীর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সংস্কারের স্বার্থে ওই চারটি কবরসহ অন্তত ১০-১৫টি বাঁধাই করা কবর ভাঙা হয়েছে। কোনো প্রতিহিংসা থেকে এমনটি করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালে মোহাম্মদ হাসনাত বিকালে জানান, কবর ভাঙার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে থানার ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।