ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে শপথগ্রহণের ব্যবস্থা না করায় অন্তর্বর্তী সরকার ‘আদালত অবমাননা’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর নগর ভবনের সামনে সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, শপথ পড়ানোর জন্য শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তা না হলে শুক্রবার থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু হবে।
অবিভক্ত ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক বলেন, “একজন মেয়রকে শপথ গ্রহণ করাতে ব্যর্থ হয়েছে (অন্তর্বর্তী সরকার), তাহলে আগামীতে ৩০০ এমপিকে শপথ গ্রহণ করাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে কি না- সেটা নিয়ে জনগণের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
“অতএব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে; নিজেদের সংশোধন করুন, আদালতের রায়কে মেনে নিন, জনগণের রায়কে মেনে নিন, কার্যকর পদক্ষেপ নিন।”
পাঁচ বছরের নানা জটিলতা পেরিয়ে মাস দুয়েক আগে আদালতের রায়ে মেয়র হওয়ার সুযোগ পান ইশরাক। এরপর নির্বাচন কমিশন তাকে মেয়র ঘোষণা করলেও আইনি জটিলতার কথা বলে তার শপথগ্রহণের ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ নিয়ে তার সমর্থকেরা দুই সপ্তাহ ধরে নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিতে ইশরাক বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি শেষবারের মত আহ্বান জানাব, আপনারা অবিলম্বে আমার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নিন, অন্যথায় আগামীকাল থেকে ঢাকার নগরবাসীকে সাথে নিয়ে এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে, আরও চূড়ান্ত করা হবে।
“অন্যথায়, জাতীয় নির্বাচনের আগে যাতে একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়; যার অধীনে জনগণ ভোট দিতে পারবে, যেই ভোট দানের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করবে- সেই পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব।”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পরাজিত হন।
ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে তাকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে।
কিন্তু ১৪ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ হাই কোর্টে রিট করেন যাতে ইশরাককে শপথ না পড়ানো হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখনও তাকে শপথ পড়ানোর উদ্যোগ নেয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছেন ইশরাক।
এদিকে, ২২ মে হাইকোর্টে রিট খারিজ হলে, সোমবার রিটকারীর পক্ষ থেকে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার আবেদনটি পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেয়। লিখিত রায় প্রকাশিত হলে আদালতের পর্যবেক্ষণ জানা যাবে।
ইশরাক বলেন, “বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যারা আপিল করেছিল সেই আপিলকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের যে গেজেট প্রকাশিত হয়েছিল, সেই গেজেটকে বহাল রাখা হয়েছে।
“আজকের আপিল নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, আমরা শুরু থেকেই আইনের শাসনে বিশ্বাসী, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতে যে মামলা করেছিলাম, তাতে পূর্ণ আস্থা রেখেছিলাম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতাকর্মীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ না পড়িয়ে আদালত অবমাননার শামিল কাজ করেছে। এটি প্রমাণ করে, সরকারের কিছু উপদেষ্টা আমার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর হস্তক্ষেপ করে আমাকে শপথ পড়ানোর দায়িত্ব পালন করেনি।
“তারা যদি অনতিবিলম্বে আমার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এটাই প্রমাণিত হবে তারা আদালত অবমাননায় শামিল হচ্ছেন। অবমাননা করার মতই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে শপথগ্রহণের ব্যবস্থা না করায় অন্তর্বর্তী সরকার ‘আদালত অবমাননা’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর নগর ভবনের সামনে সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, শপথ পড়ানোর জন্য শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তা না হলে শুক্রবার থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু হবে।
অবিভক্ত ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক বলেন, “একজন মেয়রকে শপথ গ্রহণ করাতে ব্যর্থ হয়েছে (অন্তর্বর্তী সরকার), তাহলে আগামীতে ৩০০ এমপিকে শপথ গ্রহণ করাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে কি না- সেটা নিয়ে জনগণের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
“অতএব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে; নিজেদের সংশোধন করুন, আদালতের রায়কে মেনে নিন, জনগণের রায়কে মেনে নিন, কার্যকর পদক্ষেপ নিন।”
পাঁচ বছরের নানা জটিলতা পেরিয়ে মাস দুয়েক আগে আদালতের রায়ে মেয়র হওয়ার সুযোগ পান ইশরাক। এরপর নির্বাচন কমিশন তাকে মেয়র ঘোষণা করলেও আইনি জটিলতার কথা বলে তার শপথগ্রহণের ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ নিয়ে তার সমর্থকেরা দুই সপ্তাহ ধরে নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিতে ইশরাক বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি শেষবারের মত আহ্বান জানাব, আপনারা অবিলম্বে আমার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নিন, অন্যথায় আগামীকাল থেকে ঢাকার নগরবাসীকে সাথে নিয়ে এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে, আরও চূড়ান্ত করা হবে।
“অন্যথায়, জাতীয় নির্বাচনের আগে যাতে একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়; যার অধীনে জনগণ ভোট দিতে পারবে, যেই ভোট দানের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করবে- সেই পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব।”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে পরাজিত হন।
ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে তাকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে।
কিন্তু ১৪ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ হাই কোর্টে রিট করেন যাতে ইশরাককে শপথ না পড়ানো হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখনও তাকে শপথ পড়ানোর উদ্যোগ নেয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছেন ইশরাক।
এদিকে, ২২ মে হাইকোর্টে রিট খারিজ হলে, সোমবার রিটকারীর পক্ষ থেকে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার আবেদনটি পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেয়। লিখিত রায় প্রকাশিত হলে আদালতের পর্যবেক্ষণ জানা যাবে।
ইশরাক বলেন, “বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যারা আপিল করেছিল সেই আপিলকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের যে গেজেট প্রকাশিত হয়েছিল, সেই গেজেটকে বহাল রাখা হয়েছে।
“আজকের আপিল নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, আমরা শুরু থেকেই আইনের শাসনে বিশ্বাসী, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতে যে মামলা করেছিলাম, তাতে পূর্ণ আস্থা রেখেছিলাম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতাকর্মীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ না পড়িয়ে আদালত অবমাননার শামিল কাজ করেছে। এটি প্রমাণ করে, সরকারের কিছু উপদেষ্টা আমার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর হস্তক্ষেপ করে আমাকে শপথ পড়ানোর দায়িত্ব পালন করেনি।
“তারা যদি অনতিবিলম্বে আমার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এটাই প্রমাণিত হবে তারা আদালত অবমাননায় শামিল হচ্ছেন। অবমাননা করার মতই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”