সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে জনগণের মতামত ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কিছু মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
তিনি জানান, “কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা প্রয়োজন। আমরা আশা করছি, জুলাইয়ের মধ্যে নাগরিক সনদ প্রণয়ন সম্ভব হবে।”
নাগরিক সনদের লক্ষ্য তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, এর মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার রক্ষা, ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করা হবে। তিনি যোগ করেন, “আমরা একটি জাতীয় সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর একটি চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করছি, যাতে নাগরিকরা দলগুলোকে দায়বদ্ধ রাখতে পারে।”
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠিত হয়।
এই সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের একটি বড় আকাঙ্ক্ষা ছিল সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণ। এজন্য নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের কার্যকর অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের পূর্বে কিছু মৌলিক সংস্কার এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে কিছু আইন পাস করা জরুরি। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কার আনা দরকার।”
কমিশনের আরেক সদস্য ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। তবে রাজনৈতিক দলগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।”
তিনি মনে করেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণকে সক্রিয় থাকতে হবে।
কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন বলেন, “বিগত সময়ে বিভিন্ন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মৌলিক অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে। এখন রাষ্ট্রকে মৌলিক অধিকার প্রদানে সচেষ্ট হতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, “যদি প্রস্তাবিত সংস্কারের অর্ধেকও বাস্তবায়ন করা যায়, তবে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।”
সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজন-এর আয়োজনে সিরডাপ-এর এ টি এম শামছুল হক মিলনায়তনে ‘নাগরিক সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিন।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, সুজন-এর নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন, ভয়েস ফর রিফর্মের উদ্যোক্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ সাহান বৈঠকে লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে জনগণের মতামত ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কিছু মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
তিনি জানান, “কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা প্রয়োজন। আমরা আশা করছি, জুলাইয়ের মধ্যে নাগরিক সনদ প্রণয়ন সম্ভব হবে।”
নাগরিক সনদের লক্ষ্য তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, এর মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার রক্ষা, ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করা হবে। তিনি যোগ করেন, “আমরা একটি জাতীয় সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর একটি চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করছি, যাতে নাগরিকরা দলগুলোকে দায়বদ্ধ রাখতে পারে।”
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠিত হয়।
এই সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের একটি বড় আকাঙ্ক্ষা ছিল সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণ। এজন্য নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের কার্যকর অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের পূর্বে কিছু মৌলিক সংস্কার এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে কিছু আইন পাস করা জরুরি। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কার আনা দরকার।”
কমিশনের আরেক সদস্য ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। তবে রাজনৈতিক দলগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।”
তিনি মনে করেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণকে সক্রিয় থাকতে হবে।
কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন বলেন, “বিগত সময়ে বিভিন্ন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মৌলিক অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে। এখন রাষ্ট্রকে মৌলিক অধিকার প্রদানে সচেষ্ট হতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, “যদি প্রস্তাবিত সংস্কারের অর্ধেকও বাস্তবায়ন করা যায়, তবে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।”
সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজন-এর আয়োজনে সিরডাপ-এর এ টি এম শামছুল হক মিলনায়তনে ‘নাগরিক সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিন।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, সুজন-এর নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন, ভয়েস ফর রিফর্মের উদ্যোক্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ সাহান বৈঠকে লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।