ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের ১৩ বছরের আয়কর সংক্রান্ত নথি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শ্যামলীর রিং রোডে জনতা হাউজিং সোসাইটিতে টিউলিপের নামে থাকা একটি ফ্ল্যাটের রাজউকের কাগজপত্রও জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে কর্মকর্তা চাইলে যে কোনো আয়কর নথি জব্দ করে যাচাই করতে পারেন।
ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি মামলায় জব্দ করা নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে টিউলিপ সিদ্দিকের ২০০৬-০৭ করবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত জমা দেওয়া আয়কর রিটার্ন এবং সংশ্লিষ্ট সংযুক্তি। মোট ৮৭টি পৃষ্ঠার নথিতে ২০০৬-১৫ করবর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি রিটার্নে ‘অ্যাডভান্স টুওয়ার্ডস ডেভেলপার্স’ শিরোনামে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ের তথ্য দেখা গেছে।
২০১৫-১৬ করবর্ষে গুলশানের ফ্ল্যাটটি টিউলিপ সিদ্দিক তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিককে হেবা হিসেবে দিয়েছেন বলে একটি নোটারীকৃত দলিলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তবে ২০১৮-১৯ করবর্ষের পর থেকে তিনি আর কোনো আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি।
এদিকে, গত ১৫ এপ্রিল গুলশানে একটি প্লট ‘অবৈধভাবে হস্তান্তরের ব্যবস্থা’ করে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭১ নম্বর রোডের ফ্ল্যাটটি (পুরনো ঠিকানা বি/২০১, বাড়ি ৫এ ও ৫বি) তিনি কোনো টাকা না দিয়েই ইস্টার্ন হাউজিং থেকে নিয়েছেন।
এ মামলায় রাজউকের দুই কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে টিউলিপকে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে মালিকানা নিতে সহায়তা করার।
এই অভিযোগের অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশানের ওই প্লট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল পূর্বাচলে ৩০ কাঠার একটি প্লট ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
টিউলিপ যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনের সংসদ সদস্য। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পর তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
তবে টিউলিপের আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন। ১৪ এপ্রিল যুক্তরাজ্যে সাংবাদিকদের টিউলিপ বলেন, “আমি ভুল কিছু করেছি, এমন কোনো প্রমাণ নেই।” তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের শিকার তিনি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তার মুখপাত্র বলেন, “যদি বিষয়টি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং কেবল রাজনৈতিক দুর্নাম ছড়ানোর চেষ্টা না হয়, তাহলে দুদক কেন টিউলিপের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না?” তিনি আরও বলেন, “তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক, লন্ডনে জন্ম ও বসবাস করেন এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নিজ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাকে এখনও কিছু জানানো হয়নি, অথচ কোথায় পাওয়া যাবে, তা দুদক ভালোভাবেই জানে—আর সেটা ঢাকায় নয়, সেটাও পরিষ্কার।”
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের ১৩ বছরের আয়কর সংক্রান্ত নথি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শ্যামলীর রিং রোডে জনতা হাউজিং সোসাইটিতে টিউলিপের নামে থাকা একটি ফ্ল্যাটের রাজউকের কাগজপত্রও জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে কর্মকর্তা চাইলে যে কোনো আয়কর নথি জব্দ করে যাচাই করতে পারেন।
ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি মামলায় জব্দ করা নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে টিউলিপ সিদ্দিকের ২০০৬-০৭ করবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত জমা দেওয়া আয়কর রিটার্ন এবং সংশ্লিষ্ট সংযুক্তি। মোট ৮৭টি পৃষ্ঠার নথিতে ২০০৬-১৫ করবর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি রিটার্নে ‘অ্যাডভান্স টুওয়ার্ডস ডেভেলপার্স’ শিরোনামে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ের তথ্য দেখা গেছে।
২০১৫-১৬ করবর্ষে গুলশানের ফ্ল্যাটটি টিউলিপ সিদ্দিক তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিককে হেবা হিসেবে দিয়েছেন বলে একটি নোটারীকৃত দলিলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তবে ২০১৮-১৯ করবর্ষের পর থেকে তিনি আর কোনো আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি।
এদিকে, গত ১৫ এপ্রিল গুলশানে একটি প্লট ‘অবৈধভাবে হস্তান্তরের ব্যবস্থা’ করে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭১ নম্বর রোডের ফ্ল্যাটটি (পুরনো ঠিকানা বি/২০১, বাড়ি ৫এ ও ৫বি) তিনি কোনো টাকা না দিয়েই ইস্টার্ন হাউজিং থেকে নিয়েছেন।
এ মামলায় রাজউকের দুই কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে টিউলিপকে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে মালিকানা নিতে সহায়তা করার।
এই অভিযোগের অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশানের ওই প্লট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল পূর্বাচলে ৩০ কাঠার একটি প্লট ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
টিউলিপ যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনের সংসদ সদস্য। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পর তিনি চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
তবে টিউলিপের আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন। ১৪ এপ্রিল যুক্তরাজ্যে সাংবাদিকদের টিউলিপ বলেন, “আমি ভুল কিছু করেছি, এমন কোনো প্রমাণ নেই।” তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের শিকার তিনি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তার মুখপাত্র বলেন, “যদি বিষয়টি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং কেবল রাজনৈতিক দুর্নাম ছড়ানোর চেষ্টা না হয়, তাহলে দুদক কেন টিউলিপের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না?” তিনি আরও বলেন, “তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক, লন্ডনে জন্ম ও বসবাস করেন এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নিজ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাকে এখনও কিছু জানানো হয়নি, অথচ কোথায় পাওয়া যাবে, তা দুদক ভালোভাবেই জানে—আর সেটা ঢাকায় নয়, সেটাও পরিষ্কার।”