জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যাচ্ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকজন সাংবাদিক তাকে সংবাদ সম্মেলনে আসার আহ্বান জানালে সালাহউদ্দিন বলেন, “এটা কোনো কথা, বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল? সবার আগে তারা গিয়ে বসে পড়ে?”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের পরে এ ঘটনা ঘটে।
রাষ্ট্র সংস্কারে মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশন দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ করছে, যার ১১তম অধিবেশন ছিল এদিন।
বৈঠকের পরে কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা সংবাদ সম্মেলনের জন্য নির্ধারিত কক্ষে নেমে আসেন।
প্রথমে সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন কমিশনের সহসভাপতি। এরপর আসেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
এ সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন আহমদ।
কিন্তু জোনায়েদ সাকি উঠে যাওয়ার পরপরই সংবাদ সম্মেলনে বসে পড়েন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন।
এ সময় সালাহউদ্দিনকে সংবাদ সম্মেলনে বসার আহ্বান জানালে তিনি বলেন, “পীর সাহেবকে কেউ ডিস্টার্ব কইরেন না।”
অনুরোধের পর সালাহউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বসেন।
ততক্ষণে আশরাফ আলী আকন বক্তব্য শুরু করেন।
এর পরে ক্ষুব্ধ সালাহউদ্দিন সংবাদ সম্মেলন না করেই চলে যেতে উদ্যত হন। নিজের গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকজন সাংবাদিক তাকে আবারও সংবাদ সম্মেলনে আসার আহ্বান জানালে তিনি বলেন, “এখানে তো তোমরা সিরিয়ালই দিচ্ছ না, ছোট ছোট দল বসে পড়ে, এটা কোন কথা? আমি চলে যাচ্ছি।”
তখন ফের আহ্বান জানালে তিনি বলেন, “বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল? পাঁচ নম্বরে গিয়ে কথা বলতে হবে।”
যদিও পরে সাংবাদিক ও দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের পাশে গিয়ে বসেন।
প্রিন্স বলেন, “আমি তো মনে করেছি চলে গেছেন।”
সালাহউদ্দিন বলেন, “এটা কোনো কথা, বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল? সবার আগে তারা গিয়ে বসে পড়ে?”
এ সময় পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন।
এর পরে বসে পড়েন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-বিএলডিপির সাধারণ সম্পাদক হাসান সারওয়ার্দী ও গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তখন সাংবাদিকরা উচ্চ স্বরে ‘সালাহউদ্দিন ভাই আসেন’ বলে আহ্বান জানালে এই দুইজন উঠে পড়েন। এরপর বক্তব্য শুরু করেন সালাহউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যাচ্ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকজন সাংবাদিক তাকে সংবাদ সম্মেলনে আসার আহ্বান জানালে সালাহউদ্দিন বলেন, “এটা কোনো কথা, বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল? সবার আগে তারা গিয়ে বসে পড়ে?”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের পরে এ ঘটনা ঘটে।
রাষ্ট্র সংস্কারে মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশন দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ করছে, যার ১১তম অধিবেশন ছিল এদিন।
বৈঠকের পরে কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা সংবাদ সম্মেলনের জন্য নির্ধারিত কক্ষে নেমে আসেন।
প্রথমে সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন কমিশনের সহসভাপতি। এরপর আসেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
এ সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন আহমদ।
কিন্তু জোনায়েদ সাকি উঠে যাওয়ার পরপরই সংবাদ সম্মেলনে বসে পড়েন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন।
এ সময় সালাহউদ্দিনকে সংবাদ সম্মেলনে বসার আহ্বান জানালে তিনি বলেন, “পীর সাহেবকে কেউ ডিস্টার্ব কইরেন না।”
অনুরোধের পর সালাহউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বসেন।
ততক্ষণে আশরাফ আলী আকন বক্তব্য শুরু করেন।
এর পরে ক্ষুব্ধ সালাহউদ্দিন সংবাদ সম্মেলন না করেই চলে যেতে উদ্যত হন। নিজের গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকজন সাংবাদিক তাকে আবারও সংবাদ সম্মেলনে আসার আহ্বান জানালে তিনি বলেন, “এখানে তো তোমরা সিরিয়ালই দিচ্ছ না, ছোট ছোট দল বসে পড়ে, এটা কোন কথা? আমি চলে যাচ্ছি।”
তখন ফের আহ্বান জানালে তিনি বলেন, “বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল? পাঁচ নম্বরে গিয়ে কথা বলতে হবে।”
যদিও পরে সাংবাদিক ও দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের পাশে গিয়ে বসেন।
প্রিন্স বলেন, “আমি তো মনে করেছি চলে গেছেন।”
সালাহউদ্দিন বলেন, “এটা কোনো কথা, বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল? সবার আগে তারা গিয়ে বসে পড়ে?”
এ সময় পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন।
এর পরে বসে পড়েন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-বিএলডিপির সাধারণ সম্পাদক হাসান সারওয়ার্দী ও গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তখন সাংবাদিকরা উচ্চ স্বরে ‘সালাহউদ্দিন ভাই আসেন’ বলে আহ্বান জানালে এই দুইজন উঠে পড়েন। এরপর বক্তব্য শুরু করেন সালাহউদ্দিন।