পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে রোমহর্ষক ও নৃশংসতম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, কোনো দুষ্কৃতকারীর অপরাধের দায় দল নেবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের যাঁদের দেখা গেছে, তাঁদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল পুরান ঢাকার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানায়। তাঁরা হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি), চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব সংগঠন নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের বহিষ্কৃত নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত নেতা অপু দাসের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।
গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) জনসমক্ষে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে বুক ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে হত্যাকাণ্ডে যাঁদের দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা–কর্মী শনাক্ত হন। ফলে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির সমালোচনা চলছে। অনেকেই এ ঘটনাকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সময়ের ঘটনাগুলোর সঙ্গে তুলনা করছেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিটফোর্ডের ঘটনায় শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো নোংরা রাজনীতির চর্চা।’
সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বিব্রত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিন সংগঠন যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জেরে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে পুরান ঢাকার কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে রোমহর্ষক ও নৃশংসতম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, কোনো দুষ্কৃতকারীর অপরাধের দায় দল নেবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের যাঁদের দেখা গেছে, তাঁদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল পুরান ঢাকার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানায়। তাঁরা হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি), চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব সংগঠন নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের বহিষ্কৃত নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত নেতা অপু দাসের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।
গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) জনসমক্ষে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে বুক ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে হত্যাকাণ্ডে যাঁদের দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা–কর্মী শনাক্ত হন। ফলে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির সমালোচনা চলছে। অনেকেই এ ঘটনাকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সময়ের ঘটনাগুলোর সঙ্গে তুলনা করছেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিটফোর্ডের ঘটনায় শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো নোংরা রাজনীতির চর্চা।’
সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বিব্রত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিন সংগঠন যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জেরে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে পুরান ঢাকার কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।