বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রশ্ন তুলেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্যায়কারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে যারা বিভিন্নভাবে ‘মব’ (দলবদ্ধ সহিংসতা) সৃষ্টি করে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে কি না।
লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ছাত্রদলের শহীদ নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তারেক রহমান সম্প্রতি পুরান ঢাকায় জনসমক্ষে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই প্রশ্ন আজকে আমাদের সবার এই সরকারের কাছে, কেন অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে? তারা (সরকার) কেন আশ্রয় দিচ্ছে?…যাকে দেখেছি স্ক্রিনে (ভিডিও ফুটেজে), যাকে দেখেছি হত্যা করছেন, তাঁকে কেন সরকার এখন পর্যন্ত অ্যারেস্ট করেনি?’
‘মব’ সন্ত্রাসে সরকারের পরোক্ষ মদদ?
তারেক রহমান আরও বলেন, “আমরা কি তাহলে ধরে নেব যে যারা বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে? প্রশাসনের কোনো প্রশ্রয় আছে? প্রশাসনের কারও কারও কোনো প্রশ্রয় আছে?” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপি সবসময়ই বলেছে, অন্যায়কারী যেই হোক, তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তার মতে, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিএনপির অবস্থান: অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্কবার্তা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান যে, বিএনপি অপরাধীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, যে অন্যায় করবে, তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। “অন্যায়কারী কখনো কোনো দলের লোক হতে পারে না,” যোগ করেন তারেক রহমান।
তিনি বিএনপি এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে জনগণের এই বিজয় অর্জিত হয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ‘অদৃশ্য শত্রু’র অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে তারা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন কিছু হচ্ছে এবং আমরা খুব ভালো করে খেয়াল করছি কারা সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।”
শহীদ পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচারের দাবি
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে তারেক রহমান জোর গলায় প্রশ্ন তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনাদের যে স্বজনেরা আত্মত্যাগ করেছে, তাদের বিচার কেন আজ পর্যন্ত বিলম্বিত হচ্ছে? কারা মব সৃষ্টি করে বিলম্বিত করতে চাইছে? কারা এসব হত্যাকাণ্ড করছে?”
খুলনায় যুবদলের এক কর্মীকে হত্যা করার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, তাঁর রগ কেটে দেওয়া হয়েছে কেন? সেটি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে না কেন? সেই বিচারের দাবি করতে গেলে বলা হচ্ছে বিএনপি লাশ নিয়ে মিছিল করছে। তিনি বলেন, “এই প্রশ্নের জবাব সবাইকে খুঁজতে হবে; কারণ, এই প্রশ্নের জবাবগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অস্তিত্বের সম্পর্ক রয়েছে।”
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রশ্ন তুলেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্যায়কারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে যারা বিভিন্নভাবে ‘মব’ (দলবদ্ধ সহিংসতা) সৃষ্টি করে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে কি না।
লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ছাত্রদলের শহীদ নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তারেক রহমান সম্প্রতি পুরান ঢাকায় জনসমক্ষে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই প্রশ্ন আজকে আমাদের সবার এই সরকারের কাছে, কেন অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে? তারা (সরকার) কেন আশ্রয় দিচ্ছে?…যাকে দেখেছি স্ক্রিনে (ভিডিও ফুটেজে), যাকে দেখেছি হত্যা করছেন, তাঁকে কেন সরকার এখন পর্যন্ত অ্যারেস্ট করেনি?’
‘মব’ সন্ত্রাসে সরকারের পরোক্ষ মদদ?
তারেক রহমান আরও বলেন, “আমরা কি তাহলে ধরে নেব যে যারা বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে? প্রশাসনের কোনো প্রশ্রয় আছে? প্রশাসনের কারও কারও কোনো প্রশ্রয় আছে?” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপি সবসময়ই বলেছে, অন্যায়কারী যেই হোক, তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তার মতে, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিএনপির অবস্থান: অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্কবার্তা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান যে, বিএনপি অপরাধীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, যে অন্যায় করবে, তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। “অন্যায়কারী কখনো কোনো দলের লোক হতে পারে না,” যোগ করেন তারেক রহমান।
তিনি বিএনপি এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে জনগণের এই বিজয় অর্জিত হয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ‘অদৃশ্য শত্রু’র অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে তারা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন কিছু হচ্ছে এবং আমরা খুব ভালো করে খেয়াল করছি কারা সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।”
শহীদ পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচারের দাবি
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে তারেক রহমান জোর গলায় প্রশ্ন তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনাদের যে স্বজনেরা আত্মত্যাগ করেছে, তাদের বিচার কেন আজ পর্যন্ত বিলম্বিত হচ্ছে? কারা মব সৃষ্টি করে বিলম্বিত করতে চাইছে? কারা এসব হত্যাকাণ্ড করছে?”
খুলনায় যুবদলের এক কর্মীকে হত্যা করার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, তাঁর রগ কেটে দেওয়া হয়েছে কেন? সেটি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে না কেন? সেই বিচারের দাবি করতে গেলে বলা হচ্ছে বিএনপি লাশ নিয়ে মিছিল করছে। তিনি বলেন, “এই প্রশ্নের জবাব সবাইকে খুঁজতে হবে; কারণ, এই প্রশ্নের জবাবগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অস্তিত্বের সম্পর্ক রয়েছে।”
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।