দেশে ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, বরং আরও জোরেশোরে শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এসব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”
শনিবার বিকেলে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, ষড়যন্ত্র কিন্তু আরও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বই ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময়ে মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আপনাদের আবারও সোচ্চার ও সচেতন হতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, “দেশটি কোনো একক দলের নয়, এটি ২০ কোটি মানুষের। তাই সকলেরই দায়িত্ব এই দেশকে রক্ষা করা। কারা কী করছে, কী ভূমিকা রাখছে, কী বলছে আর কী করছে, সেসব খেয়াল রাখতে হবে।”
‘জুলাই সনদ তিন মাস আগেই দিয়েছি’
তারেক রহমান জানান, বিএনপি তিন মাস আগেই জুলাই সনদ নিয়ে তাদের অবস্থান লিখিতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা একটি রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই। সরকারের অনুরোধে আমাদের মতামত লিখিতভাবে দিয়েছি। এখন দায়িত্ব সরকারের।”
তিনি অভিযোগ করেন, “কিছু বিষয় সামনে আনার চেষ্টা এবং কিছু বিষয় আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। নন-ইস্যুকে ইস্যু করে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।”
‘প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারের ভূত’
তারেক রহমান বলেন, “প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও বিগত স্বৈরাচারের ভূত লুকিয়ে আছে। এই ভূত ও নতুন কোনো ষড়যন্ত্র নিয়ে সকলে সজাগ না থাকলে এ দেশকে রক্ষা করা কঠিন হবে।”
‘বিচার অবশ্যই বিএনপি করবে’
জুলাই অভ্যুত্থানের সময়কার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে তিনি বলেন, “বিচার শুধু আপনাদের নয়, বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক মানুষের দাবি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে। এটি আমাদের অঙ্গীকার।”
‘ব্যবসায়ীর খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না’
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “কেন কিছু দল ঘটনাটিকে ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করছে? হত্যাকারীকে ধরা হচ্ছে না, বরং অন্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়নি অমুকে ধরা যাবে না। দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকলেও অন্যায়কারীর বিচার হতে হবে।”
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তো বিএনপি চালায় না, চালাচ্ছে সরকার। তাহলে সরকার কেন খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না?”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ১৪২ জন শহীদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন এবং নিহতদের স্মরণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও স্মৃতিচারণা করা হয়।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
দেশে ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, বরং আরও জোরেশোরে শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এসব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”
শনিবার বিকেলে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই, ষড়যন্ত্র কিন্তু আরও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বই ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময়ে মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আপনাদের আবারও সোচ্চার ও সচেতন হতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, “দেশটি কোনো একক দলের নয়, এটি ২০ কোটি মানুষের। তাই সকলেরই দায়িত্ব এই দেশকে রক্ষা করা। কারা কী করছে, কী ভূমিকা রাখছে, কী বলছে আর কী করছে, সেসব খেয়াল রাখতে হবে।”
‘জুলাই সনদ তিন মাস আগেই দিয়েছি’
তারেক রহমান জানান, বিএনপি তিন মাস আগেই জুলাই সনদ নিয়ে তাদের অবস্থান লিখিতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা একটি রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই। সরকারের অনুরোধে আমাদের মতামত লিখিতভাবে দিয়েছি। এখন দায়িত্ব সরকারের।”
তিনি অভিযোগ করেন, “কিছু বিষয় সামনে আনার চেষ্টা এবং কিছু বিষয় আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। নন-ইস্যুকে ইস্যু করে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।”
‘প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারের ভূত’
তারেক রহমান বলেন, “প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও বিগত স্বৈরাচারের ভূত লুকিয়ে আছে। এই ভূত ও নতুন কোনো ষড়যন্ত্র নিয়ে সকলে সজাগ না থাকলে এ দেশকে রক্ষা করা কঠিন হবে।”
‘বিচার অবশ্যই বিএনপি করবে’
জুলাই অভ্যুত্থানের সময়কার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে তিনি বলেন, “বিচার শুধু আপনাদের নয়, বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক মানুষের দাবি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে। এটি আমাদের অঙ্গীকার।”
‘ব্যবসায়ীর খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না’
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “কেন কিছু দল ঘটনাটিকে ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করছে? হত্যাকারীকে ধরা হচ্ছে না, বরং অন্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়নি অমুকে ধরা যাবে না। দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকলেও অন্যায়কারীর বিচার হতে হবে।”
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তো বিএনপি চালায় না, চালাচ্ছে সরকার। তাহলে সরকার কেন খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না?”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ১৪২ জন শহীদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন এবং নিহতদের স্মরণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও স্মৃতিচারণা করা হয়।