জরুরি অবস্থা জারির ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেওয়ার বিধান করার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়, সেভাবে আইন করার পরামর্শও দিয়েছে দলটি।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য জাবেদ রাসিম।
তিনি বলেন, “আমরা জরুরি অবস্থাকে তিনটি ভাগ করতে বলেছিলাম—যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহামারি এবং অভ্যন্তরীণ গোলযোগের ক্ষেত্রে। অভ্যন্তরীণ গোলযোগের পরিবর্তে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রশ্নে যদি জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি দেখা দেয়, সেই ক্ষেত্রে সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবে।
“আগে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর অনুস্বাক্ষরে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারতেন, এখন মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কলেবর বর্ধিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা একমত পোষণ করেছি।”
রাসিম আরও বলেন, “জরুরি অবস্থা যেহেতু একটি জরুরি বিষয় এবং এ সময়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেক্ষেত্রে এটি নির্বাহীর কাছে থাকাই বাঞ্ছনীয়। বিরোধী দলের প্রধানও এই বৈঠকে উপস্থিত থেকে মতামত দিতে পারবেন। তবে জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়, এ বিষয়ে আমরা বলেছি এবং সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।”
জরুরি অবস্থার বিষয়ে বিরোধী দলের প্রধানের মতামত মূল্যায়ন না করা হলে কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বৈঠক থেকে বের হয়ে বিরোধী দল নেতা যদি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন, তাহলে এর প্রভাব পড়বে।”
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্মে জ্যেষ্ঠতম আপিল বিভাগের বিচারপতিকেই রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করবেন, এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধান সংশোধন করে ‘জ্যেষ্ঠ দুইজনের মধ্যে একজন’ রাখার সুযোগও রাখা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের একটি রূপরেখা এনসিপি দিয়েছে। বিচারাঙ্গনকে এই প্রক্রিয়ায় টেনে আনা নিয়ে দলটি আপত্তি জানিয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের দ্বাদশতম দিনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, “কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যের মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদে পৌঁছাতে হবে, যার লক্ষ্য ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে। বড়জোর ৩১ জুলাই পর্যন্ত যেতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় আসতে। তা জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ।”
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
জরুরি অবস্থা জারির ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেওয়ার বিধান করার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়, সেভাবে আইন করার পরামর্শও দিয়েছে দলটি।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য জাবেদ রাসিম।
তিনি বলেন, “আমরা জরুরি অবস্থাকে তিনটি ভাগ করতে বলেছিলাম—যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহামারি এবং অভ্যন্তরীণ গোলযোগের ক্ষেত্রে। অভ্যন্তরীণ গোলযোগের পরিবর্তে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রশ্নে যদি জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি দেখা দেয়, সেই ক্ষেত্রে সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবে।
“আগে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর অনুস্বাক্ষরে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারতেন, এখন মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কলেবর বর্ধিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা একমত পোষণ করেছি।”
রাসিম আরও বলেন, “জরুরি অবস্থা যেহেতু একটি জরুরি বিষয় এবং এ সময়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেক্ষেত্রে এটি নির্বাহীর কাছে থাকাই বাঞ্ছনীয়। বিরোধী দলের প্রধানও এই বৈঠকে উপস্থিত থেকে মতামত দিতে পারবেন। তবে জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়, এ বিষয়ে আমরা বলেছি এবং সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।”
জরুরি অবস্থার বিষয়ে বিরোধী দলের প্রধানের মতামত মূল্যায়ন না করা হলে কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বৈঠক থেকে বের হয়ে বিরোধী দল নেতা যদি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন, তাহলে এর প্রভাব পড়বে।”
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্মে জ্যেষ্ঠতম আপিল বিভাগের বিচারপতিকেই রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করবেন, এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধান সংশোধন করে ‘জ্যেষ্ঠ দুইজনের মধ্যে একজন’ রাখার সুযোগও রাখা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের একটি রূপরেখা এনসিপি দিয়েছে। বিচারাঙ্গনকে এই প্রক্রিয়ায় টেনে আনা নিয়ে দলটি আপত্তি জানিয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের দ্বাদশতম দিনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, “কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যের মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদে পৌঁছাতে হবে, যার লক্ষ্য ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে। বড়জোর ৩১ জুলাই পর্যন্ত যেতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় আসতে। তা জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ।”