রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করার জন্য বিশেষ কোনো মহল এই ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করছে।”
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধানে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফখরুল বলেন, লাল চাঁদ হত্যার ভিডিও ১১ জুলাই জুমার নামাজের পর প্রাইম টাইমে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যদিও ঘটনা ঘটে ৯ জুলাই। পরিকল্পিতভাবে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও আইডি থেকে আগে থেকেই তৈরি করা ফটোকার্ড ও ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রতিরোধ না হওয়া জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।” তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিরতা তৈরি ও নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা হচ্ছে।
ঘটনায় বিএনপির পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করে মির্জা ফখরুল বলেন, “অপরাধীর জন্য কোনো অনুকম্পা নেই। দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পক্ষে বিএনপির অবস্থান সুদৃঢ়।” তবে এই ঘটনায় তারেক রহমানের চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খুলনায় যুবদল নেতার হত্যাকাণ্ডের পর সে ধরনের প্রতিক্রিয়া না দেখা যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, “গুটিকয়েক সন্ত্রাসীর এমন কর্মকাণ্ড গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত।”
সরকার পরিচালনায় না থেকেও বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মিছিল ও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগকে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয় বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যেরও প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করার জন্য বিশেষ কোনো মহল এই ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করছে।”
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধানে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফখরুল বলেন, লাল চাঁদ হত্যার ভিডিও ১১ জুলাই জুমার নামাজের পর প্রাইম টাইমে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যদিও ঘটনা ঘটে ৯ জুলাই। পরিকল্পিতভাবে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও আইডি থেকে আগে থেকেই তৈরি করা ফটোকার্ড ও ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রতিরোধ না হওয়া জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।” তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিরতা তৈরি ও নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা হচ্ছে।
ঘটনায় বিএনপির পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করে মির্জা ফখরুল বলেন, “অপরাধীর জন্য কোনো অনুকম্পা নেই। দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পক্ষে বিএনপির অবস্থান সুদৃঢ়।” তবে এই ঘটনায় তারেক রহমানের চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খুলনায় যুবদল নেতার হত্যাকাণ্ডের পর সে ধরনের প্রতিক্রিয়া না দেখা যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন ফখরুল। তিনি বলেন, “গুটিকয়েক সন্ত্রাসীর এমন কর্মকাণ্ড গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত।”
সরকার পরিচালনায় না থেকেও বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মিছিল ও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগকে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয় বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যেরও প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।