ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিট। একইসঙ্গে অন্যান্য আইনজীবীদেরও আসামিদের পক্ষে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ফোরামের আহ্বায়ক মো. খোরশেদ আলম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “অনতিবিলম্বে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তারা যেই হোক, ফোরামের কেউ তাদের পক্ষে আইনি সহায়তা দেবে না।”
‘ঘটনায় বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টা চলছে’
সংবাদ সম্মেলনে খোরশেদ আলম দাবি করেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে হত্যার পুরো দৃশ্য থাকলেও ‘অজ্ঞাত কারণে’ এই হত্যাকাণ্ডের দায়ভার বিএনপির ওপর চাপানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল স্লোগান দেওয়া হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ন্যক্কারজনক। আমরা মনে করি, এটা একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার, যাতে বিএনপিকে হেয় করা যায়।”
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই হত্যাকাণ্ড
গত বুধবার (১০ জুলাই) রাতে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সোহাগের পরিচিত এবং একসময় তার ব্যবসার অংশীদার ছিলেন। পূর্ব শত্রুতা ও ব্যবসায়িক বিরোধ থেকেই এই বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালী থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মী বহিষ্কার
এদিকে, ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে দলটি। তারা হলেন—
* রজ্জব আলী পিন্টু (যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা)
* সাবাহ করিম লাকি (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল)
* ‘স্বেচ্ছাসেবক কালু’
* অপু দাস (ছাত্রদল, চকবাজার শাখা)
* মাহমুদুল হাসান মাহিন
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব নিহার হোসেন ফারুক, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল খালেক মিলনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিট। একইসঙ্গে অন্যান্য আইনজীবীদেরও আসামিদের পক্ষে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ফোরামের আহ্বায়ক মো. খোরশেদ আলম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “অনতিবিলম্বে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তারা যেই হোক, ফোরামের কেউ তাদের পক্ষে আইনি সহায়তা দেবে না।”
‘ঘটনায় বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টা চলছে’
সংবাদ সম্মেলনে খোরশেদ আলম দাবি করেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে হত্যার পুরো দৃশ্য থাকলেও ‘অজ্ঞাত কারণে’ এই হত্যাকাণ্ডের দায়ভার বিএনপির ওপর চাপানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল স্লোগান দেওয়া হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ন্যক্কারজনক। আমরা মনে করি, এটা একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার, যাতে বিএনপিকে হেয় করা যায়।”
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই হত্যাকাণ্ড
গত বুধবার (১০ জুলাই) রাতে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সোহাগের পরিচিত এবং একসময় তার ব্যবসার অংশীদার ছিলেন। পূর্ব শত্রুতা ও ব্যবসায়িক বিরোধ থেকেই এই বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালী থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মী বহিষ্কার
এদিকে, ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে দলটি। তারা হলেন—
* রজ্জব আলী পিন্টু (যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা)
* সাবাহ করিম লাকি (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল)
* ‘স্বেচ্ছাসেবক কালু’
* অপু দাস (ছাত্রদল, চকবাজার শাখা)
* মাহমুদুল হাসান মাহিন
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব নিহার হোসেন ফারুক, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল খালেক মিলনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।