সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আদালতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না পেয়ে পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জুলাই আন্দোলনের সময় স্কুলছাত্র রাকিব হাসান হত্যা মামলায় কামরুল ইসলাম ও সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি চলাকালে এই ঘটনার সূত্রপাত ।
‘তুমি টানতেছ কেন?’—পুলিশকে ধমক কামরুলের
সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের আদালতে তোলা হয়। তখন তাদের পেছনে হাতকড়া পরানো, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট ছিল। আদালত কক্ষে তোলার সময় কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা তাকে নিষেধ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি পুলিশকে ধমক দেন। একপর্যায়ে বলেন, “কেন, তুমি টানতেছ কেন?”
তবে এ সময় তার সঙ্গে থাকা বিচারপতি মানিক ছিলেন নীরব।
গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ
পরে মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন।
আগেও পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ
এর আগেও চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি লালবাগ থানার আলী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশি ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হন কামরুল ইসলাম। এজলাসে নেওয়ার সময় লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়ায় তিনি মন্তব্য করেন, *“ইতরামির একটা সীমা আছে, ফাজলামো পেয়েছেন নাকি?”*
রাকিব হত্যা মামলা
গত বছরের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের আইটি জেড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাকিব হাসান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রাকিবের চাচা নুরুল আমিন গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৭ জনকে আসামি করা হয়। কামরুল ইসলাম এ মামলার ১০ নম্বর এবং বিচারপতি মানিক ১১ নম্বর আসামি।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আদালতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না পেয়ে পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জুলাই আন্দোলনের সময় স্কুলছাত্র রাকিব হাসান হত্যা মামলায় কামরুল ইসলাম ও সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি চলাকালে এই ঘটনার সূত্রপাত ।
‘তুমি টানতেছ কেন?’—পুলিশকে ধমক কামরুলের
সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের আদালতে তোলা হয়। তখন তাদের পেছনে হাতকড়া পরানো, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট ছিল। আদালত কক্ষে তোলার সময় কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা তাকে নিষেধ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি পুলিশকে ধমক দেন। একপর্যায়ে বলেন, “কেন, তুমি টানতেছ কেন?”
তবে এ সময় তার সঙ্গে থাকা বিচারপতি মানিক ছিলেন নীরব।
গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ
পরে মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন।
আগেও পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ
এর আগেও চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি লালবাগ থানার আলী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশি ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হন কামরুল ইসলাম। এজলাসে নেওয়ার সময় লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়ায় তিনি মন্তব্য করেন, *“ইতরামির একটা সীমা আছে, ফাজলামো পেয়েছেন নাকি?”*
রাকিব হত্যা মামলা
গত বছরের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের আইটি জেড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাকিব হাসান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রাকিবের চাচা নুরুল আমিন গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৭ জনকে আসামি করা হয়। কামরুল ইসলাম এ মামলার ১০ নম্বর এবং বিচারপতি মানিক ১১ নম্বর আসামি।