alt

রাজনীতি

তারেক-জুবাইদার মামলার বিচার নিরপেক্ষ ছিল না : হাইকোর্ট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের রায় নিরপেক্ষ ছিল না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মামলার ৫২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ মন্তব্য উঠে আসে।

রায়ে বলা হয়, বিচারিক আদালতে মাত্র দুই মাস চার দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আট দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়, যা বিচার ব্যবস্থার স্বাভাবিক ধারার বাইরে। এই দ্রুত প্রক্রিয়া জনমনে বিশ্বাস তৈরি করে যে, বিচার নিরপেক্ষ হয়নি। একই সঙ্গে আসামি জুবাইদা রহমানকে যথাযথভাবে নোটিশ না পাঠানো এবং অভিযোগ গঠনের সময় আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক কাফরুল থানায় মামলাটি করে। ওই মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় বিচারিক আদালত।

২০০৮ সালে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে তারেক ও জুবাইদা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। এরপর ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন।

২০২৩ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকটি মামলায় বিএনপি নেতাদের দণ্ডাদেশ স্থগিত করে আদালত। ওই বছরের অক্টোবরে জুবাইদা রহমানের সাজাও এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

১৭ বছর পর ২০২৪ সালের মে মাসে জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন এবং এরপর হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ২৮ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই মামলায় তারেক ও জুবাইদাকে খালাস দেন। আপিল শুনানিতে তাদের পক্ষে অংশ নেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

ছবি

দ্বিকক্ষ সংসদে রাজি বিএনপি, তবে ব্যয় ও পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন

ছবি

উচ্চকক্ষ গঠনে মতানৈক্য, ঐকমত্য হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: জাহিদ

ছবি

দুদকের আবেদনে লতিফ বিশ্বাস ও পরিবারের বিদেশযাত্রা স্থগিত

ছবি

‘সংস্কার ছাড়া নতুন বাংলাদেশ আসবে না’ — বরগুনায় এনসিপির পথসভায় আহ্বায়ক

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

জাতীয় পার্টির বিভক্তির জন্য ক্ষমতাসীনদের দায় দেখছেন কিছু নেতা

ছবি

‘গুপ্ত সংগঠনের মব’ এর বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ

ছবি

‘তুমি টানতেছ কেন?’—পুলিশকে ধমক সাবেক মন্ত্রী কামরুলের

ছবি

সোহাগ হত্যা: আসামিদের পক্ষে লড়বেন না বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা

ছবি

জয়-পুতুলের দান-অনুদান সংক্রান্ত নথি চেয়ে এনবিআরকে দুদকের চিঠি

ছবি

সোহাগ হত্যাকে ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের

ছবি

হাতিরঝিলে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ছবি

জরুরি অবস্থার অপব্যবহার ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট আইন চায় এনসিপি

অপপ্রচারের জবাব দিতে তরুণদের সাইবার যুদ্ধে নামতে হবে’

ছবি

ইসি পুনর্গঠন ও শাপলা প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নিলো এনসিপি

ছবি

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর বিএনপি কর্মীদের হামলা চেষ্টা, গাড়ি ভাঙচুর

ছবি

ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল

ছবি

‘৯ লাখের শেয়ার লেনদেন, দিয়েছেন ২৫ হাজার’ — খাগড়াছড়িতে এনসিপি নেত্রীকে অভিযুক্ত করলেন সহকর্মী

ছবি

‘গণতান্ত্রিক অধিকারের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি’ — সজাগ থাকার আহ্বান তারেকের

ছবি

‘অন্তর্বর্তী সরকার অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না?’ – প্রশ্ন তারেক রহমানের

ছবি

সহিংসতা বন্ধ না করলে আওয়ামী লীগের পরিণতি ভোগ করবে বিএনপি’ — হুঁশিয়ারি যুবশক্তির

ছবি

পরিকল্পিত প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তায় দেশে অরাজকতা, নির্বাচন বিলম্বের সুযোগ তৈরি করছে : যুবদল সভাপতি

ছবি

সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপির কড়া প্রতিক্রিয়া, জড়িতদের শাস্তির দাবি

ছবি

‘নৃশংসতার রাজনীতি চলতে পারে না’ — সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে দুই দলের বিবৃতি

ছবি

জাতিসংঘ কার্যালয়কে ‘সার্বভৌমত্বের হুমকি’ আখ্যা দিয়ে তিন দাবি হেফাজতে ইসলামের

ছবি

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বললেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল

ছবি

“পাগলও বোঝে কারা ক্ষমতায় যাবে,” প্রতিবাদ সভায় দুদু

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক, জরুরি অবস্থা ও বিচারপতি নিয়োগে আংশিক ঐকমত্য,আলোচনা চল‌বে : আলী রীয়াজ

ছবি

বিএনপি চায় না ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হোক: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

তরুণ ভোটার, সীমানা, পোস্টাল ব্যালট ও আইন সংশোধনে নানা প্রস্তাব ইসির

ছবি

“বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল?” ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যাচ্ছিলেন সালাহউদ্দিন, অনুরোধে ফিরে আসেন

অনলাইন নিবন্ধনে প্রবাসীদের ভোট, সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে আর ইভিএম নয়

ছবি

ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার, সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের

tab

রাজনীতি

তারেক-জুবাইদার মামলার বিচার নিরপেক্ষ ছিল না : হাইকোর্ট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের রায় নিরপেক্ষ ছিল না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মামলার ৫২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ মন্তব্য উঠে আসে।

রায়ে বলা হয়, বিচারিক আদালতে মাত্র দুই মাস চার দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আট দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়, যা বিচার ব্যবস্থার স্বাভাবিক ধারার বাইরে। এই দ্রুত প্রক্রিয়া জনমনে বিশ্বাস তৈরি করে যে, বিচার নিরপেক্ষ হয়নি। একই সঙ্গে আসামি জুবাইদা রহমানকে যথাযথভাবে নোটিশ না পাঠানো এবং অভিযোগ গঠনের সময় আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক কাফরুল থানায় মামলাটি করে। ওই মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় বিচারিক আদালত।

২০০৮ সালে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে তারেক ও জুবাইদা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। এরপর ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন।

২০২৩ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকটি মামলায় বিএনপি নেতাদের দণ্ডাদেশ স্থগিত করে আদালত। ওই বছরের অক্টোবরে জুবাইদা রহমানের সাজাও এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

১৭ বছর পর ২০২৪ সালের মে মাসে জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন এবং এরপর হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ২৮ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই মামলায় তারেক ও জুবাইদাকে খালাস দেন। আপিল শুনানিতে তাদের পক্ষে অংশ নেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

back to top