বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের রায় নিরপেক্ষ ছিল না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মামলার ৫২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ মন্তব্য উঠে আসে।
রায়ে বলা হয়, বিচারিক আদালতে মাত্র দুই মাস চার দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আট দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়, যা বিচার ব্যবস্থার স্বাভাবিক ধারার বাইরে। এই দ্রুত প্রক্রিয়া জনমনে বিশ্বাস তৈরি করে যে, বিচার নিরপেক্ষ হয়নি। একই সঙ্গে আসামি জুবাইদা রহমানকে যথাযথভাবে নোটিশ না পাঠানো এবং অভিযোগ গঠনের সময় আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক কাফরুল থানায় মামলাটি করে। ওই মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় বিচারিক আদালত।
২০০৮ সালে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে তারেক ও জুবাইদা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। এরপর ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন।
২০২৩ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকটি মামলায় বিএনপি নেতাদের দণ্ডাদেশ স্থগিত করে আদালত। ওই বছরের অক্টোবরে জুবাইদা রহমানের সাজাও এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
১৭ বছর পর ২০২৪ সালের মে মাসে জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন এবং এরপর হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ২৮ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই মামলায় তারেক ও জুবাইদাকে খালাস দেন। আপিল শুনানিতে তাদের পক্ষে অংশ নেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের রায় নিরপেক্ষ ছিল না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মামলার ৫২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ মন্তব্য উঠে আসে।
রায়ে বলা হয়, বিচারিক আদালতে মাত্র দুই মাস চার দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আট দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়, যা বিচার ব্যবস্থার স্বাভাবিক ধারার বাইরে। এই দ্রুত প্রক্রিয়া জনমনে বিশ্বাস তৈরি করে যে, বিচার নিরপেক্ষ হয়নি। একই সঙ্গে আসামি জুবাইদা রহমানকে যথাযথভাবে নোটিশ না পাঠানো এবং অভিযোগ গঠনের সময় আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদক কাফরুল থানায় মামলাটি করে। ওই মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় বিচারিক আদালত।
২০০৮ সালে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে তারেক ও জুবাইদা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। এরপর ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন।
২০২৩ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকটি মামলায় বিএনপি নেতাদের দণ্ডাদেশ স্থগিত করে আদালত। ওই বছরের অক্টোবরে জুবাইদা রহমানের সাজাও এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
১৭ বছর পর ২০২৪ সালের মে মাসে জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন এবং এরপর হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ২৮ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই মামলায় তারেক ও জুবাইদাকে খালাস দেন। আপিল শুনানিতে তাদের পক্ষে অংশ নেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।