সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থা ‘বড় একটি দলের’ বিরোধিতায় আটকে যাওয়াটা ‘অবিচার’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, কোনো একটি বড় দল, বা তিনটি দল না চাইলে পিআর পদ্ধতি আটকে যাওয়াটা অবিচার হবে; বৈষম্য হবে। কারণ অধিকাংশ দলই তো পক্ষে আছে। কোনো এক জায়গাতে একটা সমাধানে আসতে হবে।”
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
তাহের বলেন, “অধিকাংশ দলই পিআর পদ্ধতিতে সমর্থন দিচ্ছে। শুধু এক লাইনে ব্যাখ্যা দিতে চাই, জনসমর্থনের দিক থেকে পাঁচ-ছয়টা দল—এনসিপি, চরমোনাই পীর, সব ইসলামী দল, গণঅধিকার পরিষদ এর পক্ষে রয়েছে। আমরাও পিআরের পক্ষে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে না হয়ে নিম্নকক্ষের আসন সংখ্যার আনুপাতিক হলে তো আবার ডাবলই হলো। একই রিপ্রেজেন্টেশন, একই সেন্টিমেন্ট, একই ডিসিশন। যদি সব একই হয়, তাহলে সেটার দরকার কী?”
তাহের বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ একটা পরিবর্তন চায় এবং এমন একটি ব্যবস্থা আমরা আনতে চাই, যেন ফ্যাসিস্ট আর ফিরে না আসে। এজন্য যত ফাঁকফোকর আছে, ছিদ্র আছে, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। যদি ছিদ্র ছোটও রাখেন, এই ছোট ছিদ্র অনেক সময় বড় হয়ে যায়। এখানে ধোরা সাপও ঢুকতে পারে, বিষধর সাপও ঢুকতে পারে; সুতরাং ছিদ্র রাখা যাবে না।”
দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট নিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, “এ ধরনের পার্লামেন্ট নতুনভাবে প্রবর্তন করার প্রস্তাব হচ্ছে। তবে পৃথিবীতে এটা নতুন নয়; বহু দেশে এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট আছে ভারসাম্য রক্ষার জন্য। আজ কিছু দল ছাড়া সবাই আমরা একমত হয়েছি যে দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট চাই। দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট চায় না—এমন কথা একটি বা দুটি দল বলছে। বাকি সবাই দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের পক্ষে।”
তিনি বলেন, এই পার্লামেন্টের গঠন ও ক্ষমতা নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ আছে। সে নিয়ে কমিশনের প্রস্তাব আসছে।
“জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সব শুনেছে ও বক্তব্য রেখেছে। কমিশন বলেছে, আগামী রোববার কমিশনই এ বিষয় চূড়ান্ত করবে। কমিশন এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আকারে পেশ করবে, আলোচনা আকারে নয়।”
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থা ‘বড় একটি দলের’ বিরোধিতায় আটকে যাওয়াটা ‘অবিচার’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, কোনো একটি বড় দল, বা তিনটি দল না চাইলে পিআর পদ্ধতি আটকে যাওয়াটা অবিচার হবে; বৈষম্য হবে। কারণ অধিকাংশ দলই তো পক্ষে আছে। কোনো এক জায়গাতে একটা সমাধানে আসতে হবে।”
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
তাহের বলেন, “অধিকাংশ দলই পিআর পদ্ধতিতে সমর্থন দিচ্ছে। শুধু এক লাইনে ব্যাখ্যা দিতে চাই, জনসমর্থনের দিক থেকে পাঁচ-ছয়টা দল—এনসিপি, চরমোনাই পীর, সব ইসলামী দল, গণঅধিকার পরিষদ এর পক্ষে রয়েছে। আমরাও পিআরের পক্ষে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে না হয়ে নিম্নকক্ষের আসন সংখ্যার আনুপাতিক হলে তো আবার ডাবলই হলো। একই রিপ্রেজেন্টেশন, একই সেন্টিমেন্ট, একই ডিসিশন। যদি সব একই হয়, তাহলে সেটার দরকার কী?”
তাহের বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ একটা পরিবর্তন চায় এবং এমন একটি ব্যবস্থা আমরা আনতে চাই, যেন ফ্যাসিস্ট আর ফিরে না আসে। এজন্য যত ফাঁকফোকর আছে, ছিদ্র আছে, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। যদি ছিদ্র ছোটও রাখেন, এই ছোট ছিদ্র অনেক সময় বড় হয়ে যায়। এখানে ধোরা সাপও ঢুকতে পারে, বিষধর সাপও ঢুকতে পারে; সুতরাং ছিদ্র রাখা যাবে না।”
দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট নিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, “এ ধরনের পার্লামেন্ট নতুনভাবে প্রবর্তন করার প্রস্তাব হচ্ছে। তবে পৃথিবীতে এটা নতুন নয়; বহু দেশে এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট আছে ভারসাম্য রক্ষার জন্য। আজ কিছু দল ছাড়া সবাই আমরা একমত হয়েছি যে দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট চাই। দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট চায় না—এমন কথা একটি বা দুটি দল বলছে। বাকি সবাই দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের পক্ষে।”
তিনি বলেন, এই পার্লামেন্টের গঠন ও ক্ষমতা নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ আছে। সে নিয়ে কমিশনের প্রস্তাব আসছে।
“জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সব শুনেছে ও বক্তব্য রেখেছে। কমিশন বলেছে, আগামী রোববার কমিশনই এ বিষয় চূড়ান্ত করবে। কমিশন এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আকারে পেশ করবে, আলোচনা আকারে নয়।”