সারা দেশে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। এর আগে একই ইস্যুতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল। এই কর্মসূচি থেকে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) সতর্ক করে বলা হয়, দেশের স্বার্থে ও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো ধৈর্য ধরে আছে, তবে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করবে যুবদল।
মঙ্গলবার বেলা তিনটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি ও প্রস্তুতির কারণে তা শুরু হয় বিকেল পাঁচটার দিকে। এর আগে বিকেল চারটা থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, “পুরান ঢাকার ঘটনায় যে ভিডিও করেছে, সে কেন নিবৃত্ত করতে গেল না? এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটি বিএনপির বিরুদ্ধে সাজানো চক্রান্ত।”
জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এই দেশ কি ভুলে গেছে, হানাদার বাহিনীকে আপনারা মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছিলেন। নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন।”
এনসিপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “দেশের স্বার্থে অনেক কিছু সহ্য করছি। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভাঙবেন না। ভেঙে গেলে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করব।”
ইসলামী আন্দোলনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “হুজুরের নামে কিছু বললে মুরিদেরা কষ্ট পান। হুজুরকে বলব, কলা খাইয়া গাছ লাগাইয়া খাও, পরের গাছের পানে চাও কেন?”
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, “একটি স্বার্থান্বেষী মহল এবং ভারতের দালালরা বাংলাদেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। কারণ তারা জানে, তিনি ভোটে নির্বাচিত হলে তাদের আর গুরুত্ব থাকবে না।”
তিনি দলের ভেতরে ঢুকে কেউ যেন অপকর্ম করতে না পারে, সে বিষয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
পরে নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, বাংলামোটর হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতারা “জামায়াত-শিবিরের আস্তানা ভাঙো”, “স্বৈরাচার আর রাজাকার একাকার”, “রাজাকারদের বাংলা ছাড়”–সহ নানা স্লোগান দেন।
সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে মিছিলকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর তারা মোড় ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
সারা দেশে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। এর আগে একই ইস্যুতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল। এই কর্মসূচি থেকে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) সতর্ক করে বলা হয়, দেশের স্বার্থে ও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো ধৈর্য ধরে আছে, তবে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করবে যুবদল।
মঙ্গলবার বেলা তিনটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি ও প্রস্তুতির কারণে তা শুরু হয় বিকেল পাঁচটার দিকে। এর আগে বিকেল চারটা থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, “পুরান ঢাকার ঘটনায় যে ভিডিও করেছে, সে কেন নিবৃত্ত করতে গেল না? এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, এটি বিএনপির বিরুদ্ধে সাজানো চক্রান্ত।”
জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এই দেশ কি ভুলে গেছে, হানাদার বাহিনীকে আপনারা মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছিলেন। নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন।”
এনসিপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “দেশের স্বার্থে অনেক কিছু সহ্য করছি। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভাঙবেন না। ভেঙে গেলে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করব।”
ইসলামী আন্দোলনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “হুজুরের নামে কিছু বললে মুরিদেরা কষ্ট পান। হুজুরকে বলব, কলা খাইয়া গাছ লাগাইয়া খাও, পরের গাছের পানে চাও কেন?”
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, “একটি স্বার্থান্বেষী মহল এবং ভারতের দালালরা বাংলাদেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। কারণ তারা জানে, তিনি ভোটে নির্বাচিত হলে তাদের আর গুরুত্ব থাকবে না।”
তিনি দলের ভেতরে ঢুকে কেউ যেন অপকর্ম করতে না পারে, সে বিষয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
পরে নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, বাংলামোটর হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতারা “জামায়াত-শিবিরের আস্তানা ভাঙো”, “স্বৈরাচার আর রাজাকার একাকার”, “রাজাকারদের বাংলা ছাড়”–সহ নানা স্লোগান দেন।
সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে মিছিলকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর তারা মোড় ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।