গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জসহ সারা দেশে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ গ্রেপ্তার এবং অবিলম্বে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জারির দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার রাজধানীর শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি তিন দফা দাবি তোলে। এসব দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সভাপতি রিফাত রশিদ।
তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে যা শুরু হয়েছে, সেখানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও দিল্লির চক্রান্তে একটি প্রক্সি স্টেট কায়েম করা হয়েছে। সেখানকার সার্বভৌমত্ব নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। আমরা স্পষ্ট জানাচ্ছি, এই প্রক্সি স্টেট খেলা হতে দেব না।”
তিন দফা দাবি হলো—
অবিলম্বে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জারি করতে হবে।
‘আওয়ামী পুলিশি’ কাঠামো ভেঙে পুরো ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সক্রিয় সব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
তিনি বলেন, “একজন সন্ত্রাসীকেও আমরা বিচার এড়াতে দিতে চাই না। আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যেই আমাদের চলমান ব্লকেড কর্মসূচি স্থগিত করছি। যৌথ বাহিনী ব্যর্থ হলে আমরা আবার মাঠে নেমে কঠোর কর্মসূচি দেব এবং সারা বাংলাদেশ অচল করে দেব।”
এর আগে সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার শুরু হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতেও হামলা হয়।
বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ মিছিল করে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।
সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলার শিকার হন।
এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হন।
এ পরিস্থিতিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এবং পরে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে বের হয়ে যান। দুপুরে ১৪৪ ধারা জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সন্ধ্যায় কারফিউ জারি করা হয়।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জসহ সারা দেশে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ গ্রেপ্তার এবং অবিলম্বে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জারির দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার রাজধানীর শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি তিন দফা দাবি তোলে। এসব দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সভাপতি রিফাত রশিদ।
তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে যা শুরু হয়েছে, সেখানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও দিল্লির চক্রান্তে একটি প্রক্সি স্টেট কায়েম করা হয়েছে। সেখানকার সার্বভৌমত্ব নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। আমরা স্পষ্ট জানাচ্ছি, এই প্রক্সি স্টেট খেলা হতে দেব না।”
তিন দফা দাবি হলো—
অবিলম্বে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জারি করতে হবে।
‘আওয়ামী পুলিশি’ কাঠামো ভেঙে পুরো ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সক্রিয় সব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
তিনি বলেন, “একজন সন্ত্রাসীকেও আমরা বিচার এড়াতে দিতে চাই না। আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যেই আমাদের চলমান ব্লকেড কর্মসূচি স্থগিত করছি। যৌথ বাহিনী ব্যর্থ হলে আমরা আবার মাঠে নেমে কঠোর কর্মসূচি দেব এবং সারা বাংলাদেশ অচল করে দেব।”
এর আগে সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার শুরু হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতেও হামলা হয়।
বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ মিছিল করে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।
সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলার শিকার হন।
এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হন।
এ পরিস্থিতিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এবং পরে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে বের হয়ে যান। দুপুরে ১৪৪ ধারা জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সন্ধ্যায় কারফিউ জারি করা হয়।