সরকারের নাম উল্লেখ না করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘এরা ফাঁদ পাতছে। আমাদের উসকানি দিচ্ছে, যেন আমরা সংঘাতে জড়াই, প্রতিবাদ করি, কনফ্রন্টেশনে যাই, যাতে করে গণতন্ত্রের উত্তরণ ব্যাহত হয়। কিন্তু আমরা সেই ফাঁদে পা দেব না।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই–আগস্টের ঐতিহাসিক গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হওয়ার পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ফ্যাসিবাদ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। তার ব্যাখ্যায় ফখরুল বলেন, “তারা ভয় পেয়েছে, কারণ তারেক রহমান ইতোমধ্যে জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি ফিরে এলে তারা কোথায় যাবে?”
নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “লন্ডনে দলের প্রধান উপদেষ্টা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই গোলমাল শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই—নির্বাচন যেন না হয়। কিন্তু এ দেশের মানুষ তাদের দাবি আদায় করতে জানে।”
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, “আমরা চাচ্ছি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠুক, মানুষ যেন নিজের প্রতিনিধি নিজেরাই বেছে নিতে পারে। আপনারা ধৈর্য হারাবেন না, উত্তেজিত হবেন না। কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।”
স্মরণসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান বলেন, “ফ্যাসিবাদ এখনো যায়নি। যাদের ভবিষ্যৎ নেই, তারা নির্বাচন ঠেকানোর ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি এই ফাঁদে পা দেবে না।”
গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, “এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। কারণ নির্বাচনে অংশ নিলে অনেকে জামানত হারাবে, তাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।”
একই সঙ্গে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান বলেন, “সবাই যা মুখে আসছে তাই বললে হবে না। ঐক্যের স্বার্থে অনেক কিছু হজম করতে হচ্ছে।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজীজুল বারী হেলাল এবং সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই–আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
সরকারের নাম উল্লেখ না করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘এরা ফাঁদ পাতছে। আমাদের উসকানি দিচ্ছে, যেন আমরা সংঘাতে জড়াই, প্রতিবাদ করি, কনফ্রন্টেশনে যাই, যাতে করে গণতন্ত্রের উত্তরণ ব্যাহত হয়। কিন্তু আমরা সেই ফাঁদে পা দেব না।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই–আগস্টের ঐতিহাসিক গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হওয়ার পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ফ্যাসিবাদ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। তার ব্যাখ্যায় ফখরুল বলেন, “তারা ভয় পেয়েছে, কারণ তারেক রহমান ইতোমধ্যে জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি ফিরে এলে তারা কোথায় যাবে?”
নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “লন্ডনে দলের প্রধান উপদেষ্টা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই গোলমাল শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই—নির্বাচন যেন না হয়। কিন্তু এ দেশের মানুষ তাদের দাবি আদায় করতে জানে।”
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, “আমরা চাচ্ছি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠুক, মানুষ যেন নিজের প্রতিনিধি নিজেরাই বেছে নিতে পারে। আপনারা ধৈর্য হারাবেন না, উত্তেজিত হবেন না। কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।”
স্মরণসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান বলেন, “ফ্যাসিবাদ এখনো যায়নি। যাদের ভবিষ্যৎ নেই, তারা নির্বাচন ঠেকানোর ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি এই ফাঁদে পা দেবে না।”
গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, “এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। কারণ নির্বাচনে অংশ নিলে অনেকে জামানত হারাবে, তাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।”
একই সঙ্গে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান বলেন, “সবাই যা মুখে আসছে তাই বললে হবে না। ঐক্যের স্বার্থে অনেক কিছু হজম করতে হচ্ছে।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজীজুল বারী হেলাল এবং সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই–আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।