মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে প্রতীকী ওয়াকআউট করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বাংলাদেশ জাসদ।
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের ১৮তম দিনের অধিবেশনে এই ওয়াকআউটের ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টার পর সংলাপ শুরু হলে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রথমেই বক্তব্যের সুযোগ নিয়ে মাইলস্টোন স্কুলসংলগ্ন ঘটনায় সরকারি ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “এই হামলা স্বৈরাচারী শাসনের পরিচায়ক। অতীতে স্বৈরশাসকেরা যেমন কাজ করত, এবারও তেমনই ঘটনা ঘটেছে। উপদেষ্টাদের একজন বলেছেন—স্বৈরাচারীরা এই কাজ করেছে। আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনা বিপদে পড়লে ঐক্য চাইতেন। এখন আবার সেই কথাগুলো শুনছি।”
প্রিন্স বলেন, “আলোচনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু প্রতিবাদ আরও জরুরি। এই ঘটনার ন্যায্য প্রতিবাদ না করে এখানে বসে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।”
এই বক্তব্যের পর তিনি ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউটের ঘোষণা দেন।
তাঁর ঘোষণাকে সমর্থন জানান বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ এবং বাংলাদেশ জাসদের নেতা মুশতাক হোসেন। এরপর তিন দলের প্রতিনিধিরা সভা কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “প্রতীকী প্রতিবাদ রাজনৈতিক অধিকার। তাঁরা সেটি করেছেন, আমরা তা নোট করেছি। আশা করি, সরকার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।”
বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে তিন দলের প্রতিনিধিরা আবার সংলাপে ফিরে আসেন। আজকের বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও ড. আইয়ুব মিয়াও।
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে প্রতীকী ওয়াকআউট করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বাংলাদেশ জাসদ।
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের ১৮তম দিনের অধিবেশনে এই ওয়াকআউটের ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টার পর সংলাপ শুরু হলে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রথমেই বক্তব্যের সুযোগ নিয়ে মাইলস্টোন স্কুলসংলগ্ন ঘটনায় সরকারি ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “এই হামলা স্বৈরাচারী শাসনের পরিচায়ক। অতীতে স্বৈরশাসকেরা যেমন কাজ করত, এবারও তেমনই ঘটনা ঘটেছে। উপদেষ্টাদের একজন বলেছেন—স্বৈরাচারীরা এই কাজ করেছে। আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনা বিপদে পড়লে ঐক্য চাইতেন। এখন আবার সেই কথাগুলো শুনছি।”
প্রিন্স বলেন, “আলোচনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু প্রতিবাদ আরও জরুরি। এই ঘটনার ন্যায্য প্রতিবাদ না করে এখানে বসে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।”
এই বক্তব্যের পর তিনি ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউটের ঘোষণা দেন।
তাঁর ঘোষণাকে সমর্থন জানান বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ এবং বাংলাদেশ জাসদের নেতা মুশতাক হোসেন। এরপর তিন দলের প্রতিনিধিরা সভা কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “প্রতীকী প্রতিবাদ রাজনৈতিক অধিকার। তাঁরা সেটি করেছেন, আমরা তা নোট করেছি। আশা করি, সরকার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।”
বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে তিন দলের প্রতিনিধিরা আবার সংলাপে ফিরে আসেন। আজকের বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও ড. আইয়ুব মিয়াও।