‘ভাড়াটে লোক এনে দেশ চালানো যায় না’—এ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জনগণের ভোট ছাড়া, প্রতিনিধিত্বহীন শাসন কখনো গণতন্ত্র হতে পারে না। একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের সরকার গঠন সম্ভব।”
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতন ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
নির্বাচনের দাবি শুধুই ক্ষমতার জন্য নয়
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা নির্বাচন চাই—এটি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বরং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। কোনো দেশেই নির্বাচন ছাড়া প্রতিনিধিত্ব হয় না, আর প্রতিনিধিত্ব ছাড়া জনগণের শাসন সম্ভব নয়।”
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “একটা রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আজকে যা চলছে, তা একদলীয় ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ রূপ। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সব দলীয় নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।”
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির বিরোধিতা
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ‘আনুপাতিক ভোটের’ পরিকল্পনা নিয়েও আপত্তি জানিয়ে ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ভোটার সংস্কৃতি এখনো প্রতীক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এই বাস্তবতায় হঠাৎ করে অনভ্যস্ত একটি পদ্ধতি চাপিয়ে দিলে তা হবে আরেকটি জগাখিচুড়ি।”
তিনি বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে এলাকার কোনো জনপ্রতিনিধির অস্তিত্ব থাকবে না। দলই সবকিছু ঠিক করে দেবে, ফলে জনগণ ও রাজনীতির মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।”
ভবিষ্যতের রূপরেখা: রাতারাতি পরিবর্তন নয়, কাঠামোগত সংস্কার
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা রাতারাতি বিপ্লব বা উল্টেপাল্টে দেওয়ার রাজনীতি করি না। আমরা এমন রাষ্ট্র চাই যেখানে জনগণের অধিকার থাকবে, আইনের শাসন থাকবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকবে।”
খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ এবং তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা দুঃশাসনের জায়গায় গঠনমূলক সংস্কার দিতে চাই।”
দলীয়করণ, দমন-পীড়ন ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার অভিযোগ
বর্তমান আমলাতন্ত্রকে ‘নেগেটিভ ব্যুরোক্রেসি’ আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, “আজকের প্রশাসন জনগণের নয়, শাসকের। এ অবস্থা থেকে বের হতে হলে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ফের গড়ে তুলতে হবে। তাদের মতামত ও অংশগ্রহণকেই করতে হবে নীতিনির্ধারণের ভিত্তি।”
তিনি বলেন, “দলীয়করণে আজ দেশ স্থবির। অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে, জনগণের রুজিরুটি অনিশ্চয়তায় পড়েছে। বিরোধীদের দমন করে একটি ‘নির্বাচনের নামে প্রহসন’ দেশে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
বক্তব্যের শেষদিকে জিয়াউর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে জিয়া পরিষদ নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার দর্শন, দেশপ্রেম ও গণতন্ত্রচর্চা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন—এমতাজ হোসেন, মজিবুর রহমান হাওলাদার, আবদুল্লাহ হিল মাসুদ, খন্দকার শফিকুল হাসান, আলী নূর রহমান, এম জাহীর আলী, মনোয়ার হোসেন এনাম ও রুহুল আলম।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
‘ভাড়াটে লোক এনে দেশ চালানো যায় না’—এ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জনগণের ভোট ছাড়া, প্রতিনিধিত্বহীন শাসন কখনো গণতন্ত্র হতে পারে না। একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের সরকার গঠন সম্ভব।”
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতন ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
নির্বাচনের দাবি শুধুই ক্ষমতার জন্য নয়
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা নির্বাচন চাই—এটি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বরং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। কোনো দেশেই নির্বাচন ছাড়া প্রতিনিধিত্ব হয় না, আর প্রতিনিধিত্ব ছাড়া জনগণের শাসন সম্ভব নয়।”
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “একটা রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আজকে যা চলছে, তা একদলীয় ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ রূপ। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সব দলীয় নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।”
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির বিরোধিতা
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ‘আনুপাতিক ভোটের’ পরিকল্পনা নিয়েও আপত্তি জানিয়ে ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ভোটার সংস্কৃতি এখনো প্রতীক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এই বাস্তবতায় হঠাৎ করে অনভ্যস্ত একটি পদ্ধতি চাপিয়ে দিলে তা হবে আরেকটি জগাখিচুড়ি।”
তিনি বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে এলাকার কোনো জনপ্রতিনিধির অস্তিত্ব থাকবে না। দলই সবকিছু ঠিক করে দেবে, ফলে জনগণ ও রাজনীতির মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।”
ভবিষ্যতের রূপরেখা: রাতারাতি পরিবর্তন নয়, কাঠামোগত সংস্কার
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা রাতারাতি বিপ্লব বা উল্টেপাল্টে দেওয়ার রাজনীতি করি না। আমরা এমন রাষ্ট্র চাই যেখানে জনগণের অধিকার থাকবে, আইনের শাসন থাকবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকবে।”
খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ এবং তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা দুঃশাসনের জায়গায় গঠনমূলক সংস্কার দিতে চাই।”
দলীয়করণ, দমন-পীড়ন ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার অভিযোগ
বর্তমান আমলাতন্ত্রকে ‘নেগেটিভ ব্যুরোক্রেসি’ আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, “আজকের প্রশাসন জনগণের নয়, শাসকের। এ অবস্থা থেকে বের হতে হলে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ফের গড়ে তুলতে হবে। তাদের মতামত ও অংশগ্রহণকেই করতে হবে নীতিনির্ধারণের ভিত্তি।”
তিনি বলেন, “দলীয়করণে আজ দেশ স্থবির। অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে, জনগণের রুজিরুটি অনিশ্চয়তায় পড়েছে। বিরোধীদের দমন করে একটি ‘নির্বাচনের নামে প্রহসন’ দেশে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
বক্তব্যের শেষদিকে জিয়াউর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে জিয়া পরিষদ নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার দর্শন, দেশপ্রেম ও গণতন্ত্রচর্চা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন—এমতাজ হোসেন, মজিবুর রহমান হাওলাদার, আবদুল্লাহ হিল মাসুদ, খন্দকার শফিকুল হাসান, আলী নূর রহমান, এম জাহীর আলী, মনোয়ার হোসেন এনাম ও রুহুল আলম।