শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট ‘শেখ হাসিনা সরকারের’ পতনের পর থেকে ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সম্প্রতি ভবনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন কিছু লোক। গত বুধবার থেকে এই ভবনে লাল কাপড়ে একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে যাতে লেখা আছে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’।
শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, রিক্সা-ভ্যানে করে আনা হয়েছে সাউন্ড সিস্টেম। বড় বড় স্পিকার ভবনের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভবনের নীচতলায় প্রবেশপথের পাশে ব্যানারটি ঝুলছে। ভেতরে তখনও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
এর আগে, গত ১৪ মে থেকে ‘জুলাই যোদ্ধাদের প্রধান কার্যালয়’ শীর্ষক একটি ব্যানার দীর্ঘদিন এই ভবনে টাঙানো ছিল। একই নামে কয়েকটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ব্যানার ঝোলানো হয়েছিল।
আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ করছেন এমন একজনের সঙ্গে শনিবার কথা হয় সংবাদের। তার নাম জামাল। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে তিনি আরও কয়েকজনের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। কারা পরিস্কার করাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি এ বিষয়ে জানেন না। তার এক পরিচিত লোক তাকে এ কাজে নিয়োজিত করেছেন।
ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এখানে কী হবে? জবাবে তিনি বলেন, এটা নতুন কার্যালয় হবে। কার্যালয়ের নাম ব্যানারে লেখা আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি বলেন, ‘সবকিছু কমপ্লিট হউক। তখন সবাইকে জানানো হবে। প্রেস কনফারেন্স করেই জানানো হবে।’
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ঠিক বিপরীত পাশে রমনা ভবনের নীচে ফুটপাথে এক চায়ের দোকানীর সঙ্গে কথা হয় সংবাদের। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই এলকায় তিনি ২৬ বছর ধরে আছেন। চায়ের দোকান দিয়ে বসেছেন, তাও প্রায় ১০-১২ বছর।
কারা ভবন পরিস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই হেতারা (তারা) বসি আছে। তারা কইতে ফারবো (বলতে পারবেন)।’
নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই চা দোকানী বলেন, ‘আমি কোন রাজনীতি করি না, কোন দলের লগেও জড়িত নাই। এই এলাকায় ব্যবসা করি খাই। তাই আমারে কেউ কিছু কয় না। নাম দিয়া কী করবেন। ’
জানতে চাইলে পাশের আরেক দোকানদার সংবাদকে বলেন, এখানে মানুষজন ময়লা-আবর্জনা ফেলায় এমন অবস্থা হয়েছে যে উৎকট গন্ধে আশপাশের দোকানদারদের ব্যবসা-বাণিজ্যে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
২০১৬ সালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০-তলা নতুন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিকেলেই দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই ভবনটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর বেশ কিছুদিন ধরেই সেখানে চলে লুটপাট। ভবনটির আসবাব ও ধাতব জিনিসপত্র খুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেই থেকে পরিত্যক্ত ভবনটি ছিন্নমূল মানুষসহ রিকশাচালক ও শ্রমিকদের শৌচাগারে পরিণত হয়। ভাসমান মানুষের নেশা ও আড্ডাস্থলও ছিল এটি। মলমূত্র ও আবর্জনার স্তূপ জমে থাকার কারণে উৎকট গন্ধে ভবনটির সামনের সড়ক দিয়ে চলতে গেলে নাক চেপে যেতে হতো।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট ‘শেখ হাসিনা সরকারের’ পতনের পর থেকে ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সম্প্রতি ভবনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন কিছু লোক। গত বুধবার থেকে এই ভবনে লাল কাপড়ে একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে যাতে লেখা আছে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’।
শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, রিক্সা-ভ্যানে করে আনা হয়েছে সাউন্ড সিস্টেম। বড় বড় স্পিকার ভবনের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভবনের নীচতলায় প্রবেশপথের পাশে ব্যানারটি ঝুলছে। ভেতরে তখনও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
এর আগে, গত ১৪ মে থেকে ‘জুলাই যোদ্ধাদের প্রধান কার্যালয়’ শীর্ষক একটি ব্যানার দীর্ঘদিন এই ভবনে টাঙানো ছিল। একই নামে কয়েকটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ব্যানার ঝোলানো হয়েছিল।
আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ করছেন এমন একজনের সঙ্গে শনিবার কথা হয় সংবাদের। তার নাম জামাল। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে তিনি আরও কয়েকজনের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। কারা পরিস্কার করাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি এ বিষয়ে জানেন না। তার এক পরিচিত লোক তাকে এ কাজে নিয়োজিত করেছেন।
ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এখানে কী হবে? জবাবে তিনি বলেন, এটা নতুন কার্যালয় হবে। কার্যালয়ের নাম ব্যানারে লেখা আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি বলেন, ‘সবকিছু কমপ্লিট হউক। তখন সবাইকে জানানো হবে। প্রেস কনফারেন্স করেই জানানো হবে।’
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ঠিক বিপরীত পাশে রমনা ভবনের নীচে ফুটপাথে এক চায়ের দোকানীর সঙ্গে কথা হয় সংবাদের। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই এলকায় তিনি ২৬ বছর ধরে আছেন। চায়ের দোকান দিয়ে বসেছেন, তাও প্রায় ১০-১২ বছর।
কারা ভবন পরিস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই হেতারা (তারা) বসি আছে। তারা কইতে ফারবো (বলতে পারবেন)।’
নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই চা দোকানী বলেন, ‘আমি কোন রাজনীতি করি না, কোন দলের লগেও জড়িত নাই। এই এলাকায় ব্যবসা করি খাই। তাই আমারে কেউ কিছু কয় না। নাম দিয়া কী করবেন। ’
জানতে চাইলে পাশের আরেক দোকানদার সংবাদকে বলেন, এখানে মানুষজন ময়লা-আবর্জনা ফেলায় এমন অবস্থা হয়েছে যে উৎকট গন্ধে আশপাশের দোকানদারদের ব্যবসা-বাণিজ্যে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
২০১৬ সালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০-তলা নতুন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিকেলেই দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই ভবনটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর বেশ কিছুদিন ধরেই সেখানে চলে লুটপাট। ভবনটির আসবাব ও ধাতব জিনিসপত্র খুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেই থেকে পরিত্যক্ত ভবনটি ছিন্নমূল মানুষসহ রিকশাচালক ও শ্রমিকদের শৌচাগারে পরিণত হয়। ভাসমান মানুষের নেশা ও আড্ডাস্থলও ছিল এটি। মলমূত্র ও আবর্জনার স্তূপ জমে থাকার কারণে উৎকট গন্ধে ভবনটির সামনের সড়ক দিয়ে চলতে গেলে নাক চেপে যেতে হতো।