জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রণীত জাতীয় সনদের প্রাথমিক খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে আগামী সোমবার।
এ খসড়ায় মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে, এবং যেসব মতামত গ্রহণযোগ্য হবে, তা সন্নিবেশিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ঊনবিংশতম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করা। সনদের প্রাথমিক খসড়া কমিশন তৈরি করেছে। আগামীকালের মধ্যে সে খসড়া দলগুলোকে পাঠানো হবে। আমরা মনে করি, দলগুলো মতামত দিলে সেটা সন্নিবেশিত করা হবে।”
তবে প্রাথমিক খসড়া নিয়ে সরাসরি সংলাপে আলোচনা হবে না জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “যদি বড় রকমের মৌলিক আপত্তি ওঠে, তাহলে আলোচনায় আনব, না হলে আনব না। আপনাদের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়া হলে তা সন্নিবেশিত করে প্রাথমিক সনদে যুক্ত করা হবে। সেখানে ভূমিকা, পটভূমি এবং কমিটমেন্টের জায়গাগুলো থাকবে।”
তিনি আরও জানান, জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের জন্য সংলাপে একটি নির্দিষ্ট দিন বরাদ্দ রাখা হবে।
এদিন সংলাপে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ এবং পুলিশ কমিশন গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।
কমিশনের লক্ষ্য ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আলোচনা শেষ করা। এ প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, “১০টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। ৭টি বিষয় এখনো অসমাপ্ত রয়েছে এবং ৩টি বিষয়ে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি।”
সংলাপের ওই অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাসে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এসব কমিশনের মোট ১৬৬টি সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এ কমিশন সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও জনপ্রশাসন সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চায়। এতে ৩৮টি দল ও জোটের মধ্যে ৩৩টি মতামত প্রদান করে।
প্রথম পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৫টি অধিবেশনের মাধ্যমে। কোরবানির ঈদের আগে এ ধাপের আলোচনা শেষ হয়। এরপর ২ জুন শুরু হয় দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ, যা এখনো চলছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য, সংলাপের মাধ্যমে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, তা নিয়েই গঠিত হবে জাতীয় সনদ। এই সনদে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিশ্রুতি দেবে—তারা ক্ষমতায় গেলে এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবে।
---
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রণীত জাতীয় সনদের প্রাথমিক খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে আগামী সোমবার।
এ খসড়ায় মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে, এবং যেসব মতামত গ্রহণযোগ্য হবে, তা সন্নিবেশিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ঊনবিংশতম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করা। সনদের প্রাথমিক খসড়া কমিশন তৈরি করেছে। আগামীকালের মধ্যে সে খসড়া দলগুলোকে পাঠানো হবে। আমরা মনে করি, দলগুলো মতামত দিলে সেটা সন্নিবেশিত করা হবে।”
তবে প্রাথমিক খসড়া নিয়ে সরাসরি সংলাপে আলোচনা হবে না জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “যদি বড় রকমের মৌলিক আপত্তি ওঠে, তাহলে আলোচনায় আনব, না হলে আনব না। আপনাদের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়া হলে তা সন্নিবেশিত করে প্রাথমিক সনদে যুক্ত করা হবে। সেখানে ভূমিকা, পটভূমি এবং কমিটমেন্টের জায়গাগুলো থাকবে।”
তিনি আরও জানান, জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের জন্য সংলাপে একটি নির্দিষ্ট দিন বরাদ্দ রাখা হবে।
এদিন সংলাপে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ এবং পুলিশ কমিশন গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।
কমিশনের লক্ষ্য ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আলোচনা শেষ করা। এ প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, “১০টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। ৭টি বিষয় এখনো অসমাপ্ত রয়েছে এবং ৩টি বিষয়ে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি।”
সংলাপের ওই অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাসে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এসব কমিশনের মোট ১৬৬টি সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এ কমিশন সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও জনপ্রশাসন সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চায়। এতে ৩৮টি দল ও জোটের মধ্যে ৩৩টি মতামত প্রদান করে।
প্রথম পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৫টি অধিবেশনের মাধ্যমে। কোরবানির ঈদের আগে এ ধাপের আলোচনা শেষ হয়। এরপর ২ জুন শুরু হয় দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ, যা এখনো চলছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য, সংলাপের মাধ্যমে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, তা নিয়েই গঠিত হবে জাতীয় সনদ। এই সনদে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিশ্রুতি দেবে—তারা ক্ষমতায় গেলে এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবে।
---