ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এখনো প্রত্যাশিত নির্বাচন পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে ২০২৪ সালের দলের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী, হয়তো অনেক কিছু এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ততটা উন্নত হয়নি। তবে মানুষের মধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছে যে, অন্তত শেখ হাসিনার দুর্বৃত্তপ্রবণ প্রশাসনের দ্বারা কিংবা তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীরা আর নিপীড়নের শিকার হবেন না।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত রাখতে ইসি গুরুদায়িত্ব পালন করবে—এমন প্রত্যাশা করি। সব রাজনৈতিক দল ও মানুষের কাছে একটি আস্থার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গড়ে উঠবে।”
এক প্রশ্নের উত্তরে রিজভী জানান, এখনো নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে উঠেনি। ভোট বানচালের শঙ্কা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছিল, তারা এখনো সক্রিয়। নানা কৌশলে তারা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের চিহ্নিত করে এবং প্রতিহত করার দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের। আশা করি, সরকার সেই ভূমিকা পালন করবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাবে।”
নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেই লক্ষ্যে সরকার ও ইসিকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে যেন কোনো ভোটার আতঙ্ক বা শঙ্কায় না থাকে, সেটি নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের সংবিধানসম্মত স্বাধীনতা রয়েছে, সেই ক্ষমতা যথাযথভাবে প্রয়োগের মধ্য দিয়েই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব।”
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে তীব্র সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সেই সময় নির্বাচন কমিশন ছিল সরকারের অনুগত এবং শেখ হাসিনার পদলেহী এক প্রতিষ্ঠান। এটি ছিল সাংবিধানিক স্বাধীনতা হারানো, দলান্ধ ব্যক্তিদের দিয়ে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত সেই কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন তো দূরের কথা, মানুষের ভোটাধিকার পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণ দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের চর্চা যেন জাদুঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ আজকের নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা, তারা সেই পুরনো ধারা থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা রুখে দিয়ে সাহসী ভূমিকা রাখবে।”
---
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এখনো প্রত্যাশিত নির্বাচন পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে ২০২৪ সালের দলের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী, হয়তো অনেক কিছু এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ততটা উন্নত হয়নি। তবে মানুষের মধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছে যে, অন্তত শেখ হাসিনার দুর্বৃত্তপ্রবণ প্রশাসনের দ্বারা কিংবা তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীরা আর নিপীড়নের শিকার হবেন না।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত রাখতে ইসি গুরুদায়িত্ব পালন করবে—এমন প্রত্যাশা করি। সব রাজনৈতিক দল ও মানুষের কাছে একটি আস্থার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গড়ে উঠবে।”
এক প্রশ্নের উত্তরে রিজভী জানান, এখনো নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে উঠেনি। ভোট বানচালের শঙ্কা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছিল, তারা এখনো সক্রিয়। নানা কৌশলে তারা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের চিহ্নিত করে এবং প্রতিহত করার দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের। আশা করি, সরকার সেই ভূমিকা পালন করবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাবে।”
নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেই লক্ষ্যে সরকার ও ইসিকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে যেন কোনো ভোটার আতঙ্ক বা শঙ্কায় না থাকে, সেটি নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের সংবিধানসম্মত স্বাধীনতা রয়েছে, সেই ক্ষমতা যথাযথভাবে প্রয়োগের মধ্য দিয়েই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব।”
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে তীব্র সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সেই সময় নির্বাচন কমিশন ছিল সরকারের অনুগত এবং শেখ হাসিনার পদলেহী এক প্রতিষ্ঠান। এটি ছিল সাংবিধানিক স্বাধীনতা হারানো, দলান্ধ ব্যক্তিদের দিয়ে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত সেই কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন তো দূরের কথা, মানুষের ভোটাধিকার পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণ দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের চর্চা যেন জাদুঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ আজকের নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা, তারা সেই পুরনো ধারা থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা রুখে দিয়ে সাহসী ভূমিকা রাখবে।”
---