ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান। আদালত আবেদন গ্রহণ করে শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন।
রিমান্ডে নেওয়ার জন্য যাদের নাম চাওয়া হয়েছে, তারা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপির বাসার সামনে থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঁদাবাজির মামলাটি করেন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। অভিযোগে তিনি জানান, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রিয়াদ ও গৌরব অপু তাদের বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। দাবি না মানলে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ বলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে চাপের মুখে বাদী নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে ধার করে আরও ৫ লাখ টাকা দেন।
এরপর ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আবার বাসায় গিয়ে জোরে দরজায় ধাক্কা দেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে জানালে তারা চলে যায়।
সবশেষে, ২৬ জুলাই বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন এসে বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করে এবং না দিলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। তখন পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। অপু নামের একজন তখন পালিয়ে যান।
মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের একজন কিশোর এবং অপরজন অপু এখনো পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এজন্য ঘটনার পেছনের প্ররোচনাকারী ও মোটিভ জানতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড বিষয়ে আদেশ দেবেন।
---
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান। আদালত আবেদন গ্রহণ করে শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন।
রিমান্ডে নেওয়ার জন্য যাদের নাম চাওয়া হয়েছে, তারা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপির বাসার সামনে থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঁদাবাজির মামলাটি করেন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। অভিযোগে তিনি জানান, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রিয়াদ ও গৌরব অপু তাদের বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। দাবি না মানলে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ বলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে চাপের মুখে বাদী নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে ধার করে আরও ৫ লাখ টাকা দেন।
এরপর ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আবার বাসায় গিয়ে জোরে দরজায় ধাক্কা দেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে জানালে তারা চলে যায়।
সবশেষে, ২৬ জুলাই বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন এসে বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করে এবং না দিলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। তখন পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। অপু নামের একজন তখন পালিয়ে যান।
মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের একজন কিশোর এবং অপরজন অপু এখনো পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এজন্য ঘটনার পেছনের প্ররোচনাকারী ও মোটিভ জানতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড বিষয়ে আদেশ দেবেন।
---