প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এ প্রস্তাবে একমত হয়েছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯তম দিনের সংলাপে মধ্যাহ্ন বিরতির পর এই ঐকমত্যে পৌঁছায় রাজনৈতিক দলগুলো।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা একটা বিষয়ে একমত হয়েছিলাম, কিন্তু সেটা বলা হয়নি। সেটা হল—একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদকালের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। সনদে এটি উল্লেখ করবো।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা আগেই বলেছি, ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না। বরং এটা আমাদের প্রস্তাব ছিল।”
এর আগে আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশে পেশাদার ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আলোচনার শেষে রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রস্তাবেও একমত হয়।
কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, স্বাধীন পুলিশ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্য সচিব হবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি। এ ছাড়া কমিশনে থাকবে সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব।
কমিশনে অন্তত দুইজন নারী সদস্য রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে, এবং একটি আইনের মাধ্যমে এর কাঠামো, দায়িত্ব ও অপসারণের প্রক্রিয়া নির্ধারিত হবে।
এই আলোচনার মধ্য দিয়ে ‘জাতীয় সনদ’ বা ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের তৈরি সনদের খসড়া সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। মতামত পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত সনদে রূপ দেওয়া হবে, যেখানে থাকবে ভূমিকা, প্রেক্ষাপট এবং দলগুলোর প্রতিশ্রুতির স্পষ্ট উল্লেখ।
এই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো অঙ্গীকার করবে, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এ প্রস্তাবে একমত হয়েছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯তম দিনের সংলাপে মধ্যাহ্ন বিরতির পর এই ঐকমত্যে পৌঁছায় রাজনৈতিক দলগুলো।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা একটা বিষয়ে একমত হয়েছিলাম, কিন্তু সেটা বলা হয়নি। সেটা হল—একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদকালের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। সনদে এটি উল্লেখ করবো।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা আগেই বলেছি, ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না। বরং এটা আমাদের প্রস্তাব ছিল।”
এর আগে আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশে পেশাদার ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আলোচনার শেষে রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রস্তাবেও একমত হয়।
কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, স্বাধীন পুলিশ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্য সচিব হবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি। এ ছাড়া কমিশনে থাকবে সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব।
কমিশনে অন্তত দুইজন নারী সদস্য রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে, এবং একটি আইনের মাধ্যমে এর কাঠামো, দায়িত্ব ও অপসারণের প্রক্রিয়া নির্ধারিত হবে।
এই আলোচনার মধ্য দিয়ে ‘জাতীয় সনদ’ বা ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের তৈরি সনদের খসড়া সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। মতামত পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত সনদে রূপ দেওয়া হবে, যেখানে থাকবে ভূমিকা, প্রেক্ষাপট এবং দলগুলোর প্রতিশ্রুতির স্পষ্ট উল্লেখ।
এই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো অঙ্গীকার করবে, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।