ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ঠেকাতে নতুন বিধান যুক্ত করার সুপারিশ এসেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে।
রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিলে কমিশনের কাছে ৪২টি মতামত জমা দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধির খসড়া প্রকাশ করেছে। সেই খসড়ার আলোকে ইসির চাহিদা অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যে মতামত জমা পড়ে।
এআই নিয়ে সতর্কবার্তা
ভোটের প্রচারে এআই প্রযুক্তি দিয়ে বক্তব্য নকল এবং বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানোর আশঙ্কায় উদ্বেগ জানিয়েছে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “এআই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজনের বক্তব্য হুবহু নকল করে ছড়ানো হচ্ছে, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা কাজ শুরু করেছে।”
কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “খসড়ায় এআই সংক্রান্ত বিধান না থাকলেও অনেকেই এসব বিষয়ে সুপারিশ করেছেন। সব প্রস্তাব যাচাই করে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত আচরণবিধিতে যুক্ত করা হবে।”
বিএনপি ও টিআইবির প্রস্তাব
আচরণবিধি বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও নতুন কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। দলটির দাবি,
* এআই-এর অপব্যবহার রোধে আলাদা বিধান রাখতে হবে
* বিদেশ থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো কনটেন্ট যেন দেশে না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে হবে বিটিআরসিকে
* দলের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের জন্য হেলিকপ্টারে প্রচারের সুযোগ রাখতে হবে
* নির্বাচনের আগে বিটিভিতে প্রার্থীদের বক্তব্য প্রচারে সুযোগ দিতে হবে
* পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তেও একমত
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি) পোস্টারের সংজ্ঞা আরও বিস্তৃত করার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া তারা বলেছে—
* প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য যাচাইয়ে অটোমেশন চালু করতে হবে
* এআই ব্যবহারে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে
* মিডিয়া সেল গঠন করে ডিজিটাল কনটেন্ট নজরদারি করতে হবে
* এআই অপব্যবহারকে নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে
দল ও নাগরিকদের সুপারিশ
ইসির তথ্যমতে, মোট ৪২টি প্রস্তাব জমা পড়েছে, যার মধ্যে অন্তত ৮টি রাজনৈতিক দল, কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এবং প্রবাসীসহ ২৯ জন নাগরিকের মতামত রয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ছাড়াও বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাসদ, ইসলামী ঐক্যজোট, এনডিএম, বিএনএফ, রক্ষণশীল দল ও সম্মিলিত গণতান্ত্রিক দল মতামত দিয়েছে।
আচরণবিধির সঙ্গে আরপিও সংশোধন
ইসির এক কমিশনার জানান, আচরণবিধির সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়টি সংযুক্ত থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সময় লাগছে। আরপিও সংশোধনের খসড়া তৈরি হয়ে গেছে, কমিশনের অনুমোদন পেলে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরে সরকারের সম্মতিতে অধ্যাদেশ আকারে তা কার্যকর করা হবে।
---
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ঠেকাতে নতুন বিধান যুক্ত করার সুপারিশ এসেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে।
রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিলে কমিশনের কাছে ৪২টি মতামত জমা দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধির খসড়া প্রকাশ করেছে। সেই খসড়ার আলোকে ইসির চাহিদা অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যে মতামত জমা পড়ে।
এআই নিয়ে সতর্কবার্তা
ভোটের প্রচারে এআই প্রযুক্তি দিয়ে বক্তব্য নকল এবং বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানোর আশঙ্কায় উদ্বেগ জানিয়েছে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “এআই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজনের বক্তব্য হুবহু নকল করে ছড়ানো হচ্ছে, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা কাজ শুরু করেছে।”
কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “খসড়ায় এআই সংক্রান্ত বিধান না থাকলেও অনেকেই এসব বিষয়ে সুপারিশ করেছেন। সব প্রস্তাব যাচাই করে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত আচরণবিধিতে যুক্ত করা হবে।”
বিএনপি ও টিআইবির প্রস্তাব
আচরণবিধি বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও নতুন কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। দলটির দাবি,
* এআই-এর অপব্যবহার রোধে আলাদা বিধান রাখতে হবে
* বিদেশ থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো কনটেন্ট যেন দেশে না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে হবে বিটিআরসিকে
* দলের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের জন্য হেলিকপ্টারে প্রচারের সুযোগ রাখতে হবে
* নির্বাচনের আগে বিটিভিতে প্রার্থীদের বক্তব্য প্রচারে সুযোগ দিতে হবে
* পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তেও একমত
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি) পোস্টারের সংজ্ঞা আরও বিস্তৃত করার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া তারা বলেছে—
* প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য যাচাইয়ে অটোমেশন চালু করতে হবে
* এআই ব্যবহারে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে
* মিডিয়া সেল গঠন করে ডিজিটাল কনটেন্ট নজরদারি করতে হবে
* এআই অপব্যবহারকে নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে
দল ও নাগরিকদের সুপারিশ
ইসির তথ্যমতে, মোট ৪২টি প্রস্তাব জমা পড়েছে, যার মধ্যে অন্তত ৮টি রাজনৈতিক দল, কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এবং প্রবাসীসহ ২৯ জন নাগরিকের মতামত রয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ছাড়াও বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাসদ, ইসলামী ঐক্যজোট, এনডিএম, বিএনএফ, রক্ষণশীল দল ও সম্মিলিত গণতান্ত্রিক দল মতামত দিয়েছে।
আচরণবিধির সঙ্গে আরপিও সংশোধন
ইসির এক কমিশনার জানান, আচরণবিধির সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়টি সংযুক্ত থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সময় লাগছে। আরপিও সংশোধনের খসড়া তৈরি হয়ে গেছে, কমিশনের অনুমোদন পেলে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরে সরকারের সম্মতিতে অধ্যাদেশ আকারে তা কার্যকর করা হবে।
---