আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ বিচার ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার আগে কোনো নির্বাচন হলে তা জাতীয় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার রাজধানীর এক হোটেলে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ ও জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের শহীদরা এবং জীবিত শহীদরা আমাদের সম্পদ। তারা কোনো বোঝা নয়। এদের যথার্থ সম্মান জানাতে হবে, শুধু কথায় নয়—বাস্তবে।”
তিনি বলেন, “এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হলে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু বিচার এবং সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে তা আরেকটি জাতীয় বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে—আমরা সেটিই বিশ্বাস করি।”
২৬ জুলাই শহীদ পরিবারের এক আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে জামায়াত আমির বলেন, “সেখানে সবাই বলেছেন, বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো নির্বাচন দেখতে চান না।”
আন্দোলন দমনে যাদের হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে, তাদের বিচার সম্পূর্ণ না হলেও অন্তত ‘জঘন্য অপরাধীদের’ বিচার দেখতে চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে উত্থাপিত তথ্যের পাশাপাশি উপেক্ষিত কিছু দিকও যুক্ত করে ‘সঠিকভাবে বিচার’ করার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।
তবে বিচার হতে হবে স্বচ্ছ ও ন্যায্যভাবে—এমন দাবিও জানান তিনি। বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে কোনো অপরাধী পার পাবে না ইনশাআল্লাহ। যারা খুন করেছে, তারা তাদের ন্যায্য শাস্তি পাবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হবে।”
জামায়াতের পক্ষ থেকে এই প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “সরকারে থাকি বা বিরোধী দলে—আমাদের অবস্থান হবে স্পষ্ট, ন্যায়সঙ্গত ও অকুতোভয়।”
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বিচার বিভাগ স্বাধীন—এ কথা এতবার শুনেছি যে কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে সত্যিকার অর্থে বিচার বিভাগ স্বাধীন হোক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ বিচার ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার আগে কোনো নির্বাচন হলে তা জাতীয় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার রাজধানীর এক হোটেলে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ ও জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের শহীদরা এবং জীবিত শহীদরা আমাদের সম্পদ। তারা কোনো বোঝা নয়। এদের যথার্থ সম্মান জানাতে হবে, শুধু কথায় নয়—বাস্তবে।”
তিনি বলেন, “এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হলে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু বিচার এবং সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে তা আরেকটি জাতীয় বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে—আমরা সেটিই বিশ্বাস করি।”
২৬ জুলাই শহীদ পরিবারের এক আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে জামায়াত আমির বলেন, “সেখানে সবাই বলেছেন, বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো নির্বাচন দেখতে চান না।”
আন্দোলন দমনে যাদের হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে, তাদের বিচার সম্পূর্ণ না হলেও অন্তত ‘জঘন্য অপরাধীদের’ বিচার দেখতে চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে উত্থাপিত তথ্যের পাশাপাশি উপেক্ষিত কিছু দিকও যুক্ত করে ‘সঠিকভাবে বিচার’ করার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।
তবে বিচার হতে হবে স্বচ্ছ ও ন্যায্যভাবে—এমন দাবিও জানান তিনি। বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে কোনো অপরাধী পার পাবে না ইনশাআল্লাহ। যারা খুন করেছে, তারা তাদের ন্যায্য শাস্তি পাবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হবে।”
জামায়াতের পক্ষ থেকে এই প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “সরকারে থাকি বা বিরোধী দলে—আমাদের অবস্থান হবে স্পষ্ট, ন্যায়সঙ্গত ও অকুতোভয়।”
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বিচার বিভাগ স্বাধীন—এ কথা এতবার শুনেছি যে কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে সত্যিকার অর্থে বিচার বিভাগ স্বাধীন হোক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”