alt

রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিষ্পত্তি না হলে জাতীয় অনিশ্চয়তা বাড়বে :আখতার হোসেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য না হলে দেশ দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তায় পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এই বক্তব্য দেন।

আখতার হোসেন বলেন, “ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া কী হবে, সেটিই বাংলাদেশের রাজনীতিতে গভীর সংকট তৈরি করেছে। আমরা দেখেছি, অতীতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলায় একমত হয়েছিল এবং সে ব্যবস্থায় কয়েকটি নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জুডিশিয়ারিকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধান থেকে বাদ দেন।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের বিষয়ে একমত হলেও কীভাবে সেই সরকার গঠিত হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। আমরা আগের মতো ত্রয়োদশ সংশোধনীতে থাকা সাবেক বিচারপতিদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রধান উপদেষ্টা করার বিধান রাখার পক্ষে নই।”

ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে এবার বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এই কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি।

যদি ঐকমত্যে পৌঁছানো না যায়, তাহলে ‘র‍্যাঙ্কড চয়েজ ভোটিং’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এতে উল্লেখিত পাঁচজনের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের একজন করে বিচারপতি যুক্ত হয়ে মোট সাতজন সদস্য ভোট দেবেন। বিচারপতিরা প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবেন না, তারা শুধু ভোট দেবেন।

এ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়ে আখতার হোসেন বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে, সংসদে পাঠানোর চেয়ে এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর। কারণ সংসদে ঐকমত্যে পৌঁছানো কঠিন।”

তিনি জানান, বিএনপি বাছাই কমিটিতে ঐকমত্য না হলে বিষয়টি সংসদে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এনসিপির মতে, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে, এ ফোরামেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। তা না হলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তার দিকে যাবে।”

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, “এটি এখনও খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। দলীয়ভাবে আমরা তা পর্যালোচনা করছি। খসড়ায় মৌলিক সংস্কারের প্রতিটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত দেখতে চাই। যদি বাদ পড়ে, তবে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব—সই করব কি না।”

তিনি জানান, আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে ‘লিগাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার’ (এলএফও) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যে সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে গ্রহণ করেছে, তা যেন ভবিষ্যতে কোনো সরকার উপেক্ষা করতে না পারে, সেই নিশ্চয়তাও চাওয়া হয়েছে।

সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন করা গেলে তা সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে সংস্কারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন ভবিষ্যতে প্রণীত না হয়, এমন নিশ্চয়তা বিধানের কথাও আমরা বলেছি।”

সংলাপের শেষ দিকে আখতার হোসেন বলেন, “আমরা চাই, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব এই সনদ বাস্তবায়নের পথে যাওয়া হোক। দীর্ঘ বিতর্কে যেতে চাই না।”

তিনি জানান, দলীয়ভাবে আলোচনা শেষে খুব শিগগিরই জুলাই সনদ নিয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান কমিশনে জমা দেওয়া হবে এবং পরে তা সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

ছবি

বিএনপির শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ড্যাবের ৮ চিকিৎসককে অব্যাহতি

ছবি

বিচার না হলে নির্বাচন নয়, হুঁশিয়ারি : শফিকুর রহমানের

ছবি

আলোচনা ছাড়াই জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশে এনসিপির বিরোধিতা

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করবে ইসি আগস্টে

ছবি

মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল

স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা বেরিয়ে এসেছে: আমির খসরু

ছবি

“শেখ হাসিনাসহ পালিয়ে যাওয়া দুর্বৃত্তদের কেন পুশইন নয়?”—রিজভীর প্রশ্ন

ছবি

গণ–অভ্যুত্থান না হলে নির্বাচনও হতো না—জামালপুরে : নাহিদ ইসলাম

ছবি

সমন্বয়কদের গ্রেপ্তারে ‘বেদনায় নীল’ ফখরুল, ক্ষোভ জানালেন সরকারের ভূমিকা নিয়ে

ছবি

ভোটের আগে নিরাপত্তা জোরদারে প্রশাসনে রদবদলের সিদ্ধান্ত

ছবি

নির্বাচন সামনে, সেনা-পুলিশ সমন্বয় জোরদারে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ

জাতীয় ঐকমত্য সংলাপে বিএনপির ওয়াকআউট, ফের যোগদান; ফায়ার অ্যালার্মে আলোচনায় বিরতি

ছবি

হত‌্যা মামলায় আমু-‌গোলাপ‌কে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

ছবি

ভোটে এআই অপব্যবহার ঠেকাতে নতুন বিধি চায় দলগুলো, ইসির হাতে ৪২ প্রস্তাব

ছবি

এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, দুই থানার দায় ঠেলাঠেলি

ছবি

জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের আগেই ভোট নয়, দাবি এনসিপির – নারী আসন ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত বিএনপি-জামায়াতের

ছবি

১২টি সংস্কারে ঐকমত্য, মূলনীতি নিয়ে দ্বিধা: ঐকমত্য কমিশন

ছবি

নির্বাচন এড়িয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা অগ্রহণযোগ্য: আমীর খসরু

ছবি

প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তির মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ১০ বছর, দলগুলো একমত

ছবি

কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত

ছবি

‘পুরোনো আইন নয়, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে’—নাহিদ ইসলাম

ছবি

চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ চারজন ৭ দিনের রিমান্ডে

ছবি

যদি সামালই দিতে না পারেন, তবে ১০ ট্রাক অস্ত্র দেশে আনলেন কেন : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ছবি

“বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচার করে ফেলছে দুদক”: কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ইনু

ছবি

চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী নেতাসহ ৪ জনের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

ছবি

নেত্রকোনায় এনসিপির কর্মসূচি নিয়ে ফেইসবুক পোস্ট, নাশকতার অভিযোগে যুবলীগ নেতা আটক

ছবি

ভোটের প্রত্যাশিত পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি: রিজভী

ছবি

জাতীয় সনদের খসড়া সোমবার যাবে দলগুলোর হাতে

ছবি

“আজ সবাই ভান করছে যেন তারা প্রথম জানল! বাস্তবে, শুধু ধরা খাওয়াটাই নতুন ঘটনা”—উমামা ফাতেমার বিস্ফোরক মন্তব্য

ছবি

গজারিয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে বিক্ষোভ, বাতিলের দাবি

ছবি

রহিমানগরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত একাধিক

ছবি

হেফাজতের মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক

ছবি

সাউন্ড সিস্টেম এলো আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে, পরিচ্ছন্নতা চলছে

‘ওবায়দুল কাদেরকে পালাতে সহায়তা করেছেন’ মন্তব্যের পর যুবদল নেতা আটক

ছবি

‘ভাড়াটে লোক দিয়ে দেশ চলে না’: মির্জা ফখরুল

ছবি

‘আগে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ, এখন ৫ লাখ’— মির্জা ফখরুল

tab

রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিষ্পত্তি না হলে জাতীয় অনিশ্চয়তা বাড়বে :আখতার হোসেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য না হলে দেশ দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তায় পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এই বক্তব্য দেন।

আখতার হোসেন বলেন, “ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া কী হবে, সেটিই বাংলাদেশের রাজনীতিতে গভীর সংকট তৈরি করেছে। আমরা দেখেছি, অতীতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলায় একমত হয়েছিল এবং সে ব্যবস্থায় কয়েকটি নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জুডিশিয়ারিকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধান থেকে বাদ দেন।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের বিষয়ে একমত হলেও কীভাবে সেই সরকার গঠিত হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। আমরা আগের মতো ত্রয়োদশ সংশোধনীতে থাকা সাবেক বিচারপতিদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রধান উপদেষ্টা করার বিধান রাখার পক্ষে নই।”

ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে এবার বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এই কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি।

যদি ঐকমত্যে পৌঁছানো না যায়, তাহলে ‘র‍্যাঙ্কড চয়েজ ভোটিং’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এতে উল্লেখিত পাঁচজনের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের একজন করে বিচারপতি যুক্ত হয়ে মোট সাতজন সদস্য ভোট দেবেন। বিচারপতিরা প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবেন না, তারা শুধু ভোট দেবেন।

এ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়ে আখতার হোসেন বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে, সংসদে পাঠানোর চেয়ে এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর। কারণ সংসদে ঐকমত্যে পৌঁছানো কঠিন।”

তিনি জানান, বিএনপি বাছাই কমিটিতে ঐকমত্য না হলে বিষয়টি সংসদে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এনসিপির মতে, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে, এ ফোরামেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। তা না হলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তার দিকে যাবে।”

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, “এটি এখনও খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। দলীয়ভাবে আমরা তা পর্যালোচনা করছি। খসড়ায় মৌলিক সংস্কারের প্রতিটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত দেখতে চাই। যদি বাদ পড়ে, তবে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব—সই করব কি না।”

তিনি জানান, আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে ‘লিগাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার’ (এলএফও) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যে সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে গ্রহণ করেছে, তা যেন ভবিষ্যতে কোনো সরকার উপেক্ষা করতে না পারে, সেই নিশ্চয়তাও চাওয়া হয়েছে।

সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন করা গেলে তা সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে সংস্কারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন ভবিষ্যতে প্রণীত না হয়, এমন নিশ্চয়তা বিধানের কথাও আমরা বলেছি।”

সংলাপের শেষ দিকে আখতার হোসেন বলেন, “আমরা চাই, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব এই সনদ বাস্তবায়নের পথে যাওয়া হোক। দীর্ঘ বিতর্কে যেতে চাই না।”

তিনি জানান, দলীয়ভাবে আলোচনা শেষে খুব শিগগিরই জুলাই সনদ নিয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান কমিশনে জমা দেওয়া হবে এবং পরে তা সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

back to top