জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ৩ আগস্ট রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের’ ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
বুধবার বিকেলে নরসিংদী পৌরসভা চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি বলেন, “আপনারা সেদিন সঙ্গে থাকলে সকল দাবি আমরা আদায় করে ছাড়ব।”
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র শেষ দিন ছিল বুধবার। গত ১ জুলাই রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে মাসব্যাপী এই কর্মসূচি শুরু হয়।
পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত এক বছরে দেশে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা নতুন সংবিধান পাইনি, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতির অপসারণ হয়নি, আমাদের ঘোষণাপত্রও দেওয়া হয়নি। আমরা কোনো দাবি থেকে সরে আসিনি। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর এখনো আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা বিপ্লবের শহর নরসিংদীতে এসেছি। ১৭ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণার পর নরসিংদীতে শিক্ষার্থী তাহমিদ ও ইমন শহীদ হয়েছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে নরসিংদীতে ২২ জন শহীদ হয়েছেন। আমরা তাঁদের কথা ভুলিনি।”
আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, “নরসিংদীকে আমরা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করে একটি শিল্পোন্নত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা এনসিপির পাশে থাকলে ইনশা আল্লাহ আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনব। আগামী সংসদে এনসিপির জয়জয়কার হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টা আমাদের কেউ নন, তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি। তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।”
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সংগঠক শিরিন আক্তার, যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল ফয়সাল ও নরসিংদীর প্রধান সমন্বয়কারী আওলাদ হোসেন।
পদযাত্রাটি বিকেল পাঁচটার দিকে জেলখানার মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পৌরসভা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এর আগে নরসিংদী ক্লাবে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নাহিদ ইসলাম।
পদযাত্রা ঘিরে শহরে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়। শহরের বিভিন্ন মোড়ে ও সমাবেশস্থলে মোতায়েন করা হয় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ৩ আগস্ট রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের’ ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
বুধবার বিকেলে নরসিংদী পৌরসভা চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি বলেন, “আপনারা সেদিন সঙ্গে থাকলে সকল দাবি আমরা আদায় করে ছাড়ব।”
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র শেষ দিন ছিল বুধবার। গত ১ জুলাই রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে মাসব্যাপী এই কর্মসূচি শুরু হয়।
পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত এক বছরে দেশে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা নতুন সংবিধান পাইনি, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতির অপসারণ হয়নি, আমাদের ঘোষণাপত্রও দেওয়া হয়নি। আমরা কোনো দাবি থেকে সরে আসিনি। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর এখনো আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা বিপ্লবের শহর নরসিংদীতে এসেছি। ১৭ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণার পর নরসিংদীতে শিক্ষার্থী তাহমিদ ও ইমন শহীদ হয়েছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে নরসিংদীতে ২২ জন শহীদ হয়েছেন। আমরা তাঁদের কথা ভুলিনি।”
আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, “নরসিংদীকে আমরা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করে একটি শিল্পোন্নত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা এনসিপির পাশে থাকলে ইনশা আল্লাহ আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনব। আগামী সংসদে এনসিপির জয়জয়কার হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টা আমাদের কেউ নন, তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি। তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।”
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সংগঠক শিরিন আক্তার, যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল ফয়সাল ও নরসিংদীর প্রধান সমন্বয়কারী আওলাদ হোসেন।
পদযাত্রাটি বিকেল পাঁচটার দিকে জেলখানার মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পৌরসভা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এর আগে নরসিংদী ক্লাবে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নাহিদ ইসলাম।
পদযাত্রা ঘিরে শহরে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়। শহরের বিভিন্ন মোড়ে ও সমাবেশস্থলে মোতায়েন করা হয় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য।