‘জুলাই সনদ’ আইনি ভিত্তি না পেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপের মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, “লোয়ার হাউস ও আপার হাউস কেন চাই, তা আমরা আগেও ব্যাখ্যা করেছি। গত ৫৪ বছরের নির্বাচনী পদ্ধতিতে বাংলাদেশে দলীয়করণ, দখল, দূষণ, ভুয়া নির্বাচন ও রাতের নির্বাচনসহ নানা অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ফলে আমরা মনে করি, এখন সারা বিশ্বে প্রায় ৯০টি দেশে যেভাবে ‘পিআর’ পদ্ধতি আছে, বাংলাদেশেও তা প্রয়োজন।
“পিআর পদ্ধতি এখন আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া—সব মহাদেশেই আছে। গরিব-ধনী বা কালো-সাদার ভেদে নয়, এটি একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। এমনকি অনেক দেশ প্রতি বছর নতুনভাবে এই পদ্ধতি গ্রহণ করছে।”
তাহের বলেন, “আমরা পরিষ্কার বলেছি, আমরা পিআর চাই এবং অধিকাংশ দলও এর পক্ষে। কমিশন বিরতির পর সিদ্ধান্ত দেবে বলেছে। আমরা আশা করি, তা ইতিবাচক হবে।”
তাহের সংলাপে সময় ব্যয় ও কঠোর পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা এত কষ্ট করলাম, আপনারা কাভার করলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে এসবের কোনো মূল্য থাকবে না। বাস্তবায়ন না হলে শপথ করারও কোনো মূল্য থাকে না। তাই বাস্তবায়নটাই মুখ্য।
“বিএনপি বলছে, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কিন্তু আমরা মনে করি, কেবল প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করলে হবে না। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টার মূল্যহীন হয়ে পড়বে। সেজন্য আমরা কমিশন এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করব।”
তিনি বলেন, “আইনি ভিত্তি ছাড়া এই চার্টার জিরো হবে। আমরা পরিষ্কার বলেছি, আইনগত ভিত্তি ছাড়া সই করব না। এই সরকারের মেয়াদেই এটি কার্যকর করতে হবে। কাল থেকেই এটা সম্ভব।
“গত ২৩ দিনে আমরা যে সংখ্যক ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেখেছি, তা আগের ২২ দিনেও দেখিনি। তবুও এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। একজন ‘না’ বলতেই পারেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষে থাকলে সেটা গ্রহণযোগ্যতা পায়।”
তাহের বলেন, “আইনি ভিত্তি দেওয়া এখনই সম্ভব। যারা বলছেন, এটা এখন দেওয়া যাবে না, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।
“আমরা স্পষ্ট করছি, আমরা আইনগত ভিত্তি চাই। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টারে সই করার অর্থ নেই। এমন সনদে সই করার আর না করার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না।”
তিনি বলেন, “এটা শুধু আমাদের মত নয়, উচ্চকক্ষ হলো একটা ‘ব্যালেন্স অব অথরিটি’। মূল আইন প্রণয়ন হবে নিম্নকক্ষে, আর উচ্চকক্ষ হবে গাইডিং ও কন্ট্রোলিং বডি।
“আইনি ভিত্তি না দিয়ে যদি সরকার বাস্তবায়নের পথে এগোয়, তাহলে আমরা এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে অসমাপ্ত মনে করব। সই করলেও যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এটা এক ধরনের প্রহসন। সুতরাং আমরা সরকার ও কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন নিজেদের ওয়াদা বাস্তবায়নের জন্য এখনই উদ্যোগ নেয়।”
জামায়াতের নায়েবে আমির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা জাতির সঙ্গে আর কোনো তামাশা হতে দেব না।”
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
‘জুলাই সনদ’ আইনি ভিত্তি না পেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপের মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, “লোয়ার হাউস ও আপার হাউস কেন চাই, তা আমরা আগেও ব্যাখ্যা করেছি। গত ৫৪ বছরের নির্বাচনী পদ্ধতিতে বাংলাদেশে দলীয়করণ, দখল, দূষণ, ভুয়া নির্বাচন ও রাতের নির্বাচনসহ নানা অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ফলে আমরা মনে করি, এখন সারা বিশ্বে প্রায় ৯০টি দেশে যেভাবে ‘পিআর’ পদ্ধতি আছে, বাংলাদেশেও তা প্রয়োজন।
“পিআর পদ্ধতি এখন আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া—সব মহাদেশেই আছে। গরিব-ধনী বা কালো-সাদার ভেদে নয়, এটি একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। এমনকি অনেক দেশ প্রতি বছর নতুনভাবে এই পদ্ধতি গ্রহণ করছে।”
তাহের বলেন, “আমরা পরিষ্কার বলেছি, আমরা পিআর চাই এবং অধিকাংশ দলও এর পক্ষে। কমিশন বিরতির পর সিদ্ধান্ত দেবে বলেছে। আমরা আশা করি, তা ইতিবাচক হবে।”
তাহের সংলাপে সময় ব্যয় ও কঠোর পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা এত কষ্ট করলাম, আপনারা কাভার করলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে এসবের কোনো মূল্য থাকবে না। বাস্তবায়ন না হলে শপথ করারও কোনো মূল্য থাকে না। তাই বাস্তবায়নটাই মুখ্য।
“বিএনপি বলছে, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কিন্তু আমরা মনে করি, কেবল প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করলে হবে না। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টার মূল্যহীন হয়ে পড়বে। সেজন্য আমরা কমিশন এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করব।”
তিনি বলেন, “আইনি ভিত্তি ছাড়া এই চার্টার জিরো হবে। আমরা পরিষ্কার বলেছি, আইনগত ভিত্তি ছাড়া সই করব না। এই সরকারের মেয়াদেই এটি কার্যকর করতে হবে। কাল থেকেই এটা সম্ভব।
“গত ২৩ দিনে আমরা যে সংখ্যক ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেখেছি, তা আগের ২২ দিনেও দেখিনি। তবুও এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। একজন ‘না’ বলতেই পারেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষে থাকলে সেটা গ্রহণযোগ্যতা পায়।”
তাহের বলেন, “আইনি ভিত্তি দেওয়া এখনই সম্ভব। যারা বলছেন, এটা এখন দেওয়া যাবে না, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।
“আমরা স্পষ্ট করছি, আমরা আইনগত ভিত্তি চাই। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টারে সই করার অর্থ নেই। এমন সনদে সই করার আর না করার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না।”
তিনি বলেন, “এটা শুধু আমাদের মত নয়, উচ্চকক্ষ হলো একটা ‘ব্যালেন্স অব অথরিটি’। মূল আইন প্রণয়ন হবে নিম্নকক্ষে, আর উচ্চকক্ষ হবে গাইডিং ও কন্ট্রোলিং বডি।
“আইনি ভিত্তি না দিয়ে যদি সরকার বাস্তবায়নের পথে এগোয়, তাহলে আমরা এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে অসমাপ্ত মনে করব। সই করলেও যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এটা এক ধরনের প্রহসন। সুতরাং আমরা সরকার ও কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন নিজেদের ওয়াদা বাস্তবায়নের জন্য এখনই উদ্যোগ নেয়।”
জামায়াতের নায়েবে আমির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা জাতির সঙ্গে আর কোনো তামাশা হতে দেব না।”