ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হয়ে নির্যাতন ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত অনেকের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে ফেসবুকে বিস্ফোরক দাবি করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের। রোববার (৩ আগস্ট) রাতে দেওয়া এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের পরিচয়ে নিপীড়নের অংশীদার হতেন, এবং ছাত্রলীগের ‘কালচার’ নিজেদের উপর আরোপ করেই তাঁরা সংগঠনের ভেতর জায়গা করে নিতেন।
আবদুল কাদের বলেন, “হলে থাকার কারণে ছাত্রশিবিরের যেসব ছেলেরা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করত, তারা আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে উগ্র কর্মকাণ্ডে জড়াত, নিজেকে প্রমাণের জন্য। ফলে ছাত্রলীগের নিপীড়নে তারাও সক্রিয় ভূমিকা নিত।”
পোস্টে তিনি কয়েক ডজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে তাঁদের শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনেছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থী শাহরিয়াদকে মারধরে নেতৃত্ব দেওয়া মাজেদুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মুসাদ্দিক বিল্লাহ, জসীমউদ্দীন হলের আফজালুন নাঈম, মুজিব হলের ইলিয়াস হোসাইন, জহুরুল হক হলের হাসানুল বান্না, স্যার এ এফ রহমান হলের রায়হান উদ্দিন এবং একাত্তর হলের হাসান সাঈদীর নাম তিনি শিবির-ছাত্রলীগ সংযোগের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উদাহরণ দিয়ে আবদুল কাদের বলেন, “ছাত্রলীগের হয়ে ভয়াবহ নিপীড়ন চালানো শাহাদাত হোসেন নামে একজন মুহসীন হলে ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন, যিনি আবার সবার কাছে শিবির হিসেবে পরিচিত।”
আবদুল কাদেরের ভাষ্য, শিবিরের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অনেকে ছাত্রলীগে পদ পদবির জন্য ঢুকে নিজেদের জোরপূর্বক প্রমাণ করতেন। এমনকি ব্যাচ প্রতিনিধি নির্বাচন, শৃঙ্খলা কমিটি, ছাত্রলীগের সদস্য তালিকা তৈরির ক্ষেত্রেও শিবিরের প্রভাব ছিল বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পরে ব্যাচ প্রতিনিধি ও শৃঙ্খলা কমিটির পেছনে শিবিরের প্রেসক্রিপশন ছিল। তারা নিজেদের লোককে প্রতিনিধির পদে বসায়।”
আবদুল কাদের আরও দাবি করেন, ছাত্রলীগের নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলাগুলো থেকে শিবির সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য শিবিরের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও তদবির চালান।
তিনি বলেন, “জুলাইয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদীদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে নির্দিষ্ট কয়েকজনের নাম বাদ দিতে তদবির করেছেন সাদিক কায়েম।”
তবে আবদুল কাদেরের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, “কাদেরের সঙ্গে এসব বিষয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। ফেসবুকে তিনি যা লিখেছেন, সেগুলো সত্য নয়।”
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টের শেষাংশে লিখেছেন, “শিবির ও ছাত্রলীগ উভয়ই নিজেদের লোকদের বাঁচাতে গিয়ে জুলাইয়ের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। শিবির দাবি করছে তাদের কেউ ছাত্রলীগে ঢুকে এমন কিছু করেনি। তাহলে তারা বিগত এক যুগের হল ও ঢাবি শাখার কমিটি প্রকাশ করুক।”
তিনি আরও বলেন, “গুপ্ত শিবিরের সংখ্যা কম ছিল না, যারা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে শিবিরের রণনীতি বাস্তবায়নে কাজ করেছে।”
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হয়ে নির্যাতন ও নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত অনেকের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে ফেসবুকে বিস্ফোরক দাবি করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের। রোববার (৩ আগস্ট) রাতে দেওয়া এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের পরিচয়ে নিপীড়নের অংশীদার হতেন, এবং ছাত্রলীগের ‘কালচার’ নিজেদের উপর আরোপ করেই তাঁরা সংগঠনের ভেতর জায়গা করে নিতেন।
আবদুল কাদের বলেন, “হলে থাকার কারণে ছাত্রশিবিরের যেসব ছেলেরা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করত, তারা আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে উগ্র কর্মকাণ্ডে জড়াত, নিজেকে প্রমাণের জন্য। ফলে ছাত্রলীগের নিপীড়নে তারাও সক্রিয় ভূমিকা নিত।”
পোস্টে তিনি কয়েক ডজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে তাঁদের শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনেছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থী শাহরিয়াদকে মারধরে নেতৃত্ব দেওয়া মাজেদুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মুসাদ্দিক বিল্লাহ, জসীমউদ্দীন হলের আফজালুন নাঈম, মুজিব হলের ইলিয়াস হোসাইন, জহুরুল হক হলের হাসানুল বান্না, স্যার এ এফ রহমান হলের রায়হান উদ্দিন এবং একাত্তর হলের হাসান সাঈদীর নাম তিনি শিবির-ছাত্রলীগ সংযোগের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উদাহরণ দিয়ে আবদুল কাদের বলেন, “ছাত্রলীগের হয়ে ভয়াবহ নিপীড়ন চালানো শাহাদাত হোসেন নামে একজন মুহসীন হলে ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন, যিনি আবার সবার কাছে শিবির হিসেবে পরিচিত।”
আবদুল কাদেরের ভাষ্য, শিবিরের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অনেকে ছাত্রলীগে পদ পদবির জন্য ঢুকে নিজেদের জোরপূর্বক প্রমাণ করতেন। এমনকি ব্যাচ প্রতিনিধি নির্বাচন, শৃঙ্খলা কমিটি, ছাত্রলীগের সদস্য তালিকা তৈরির ক্ষেত্রেও শিবিরের প্রভাব ছিল বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পরে ব্যাচ প্রতিনিধি ও শৃঙ্খলা কমিটির পেছনে শিবিরের প্রেসক্রিপশন ছিল। তারা নিজেদের লোককে প্রতিনিধির পদে বসায়।”
আবদুল কাদের আরও দাবি করেন, ছাত্রলীগের নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলাগুলো থেকে শিবির সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য শিবিরের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও তদবির চালান।
তিনি বলেন, “জুলাইয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদীদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে নির্দিষ্ট কয়েকজনের নাম বাদ দিতে তদবির করেছেন সাদিক কায়েম।”
তবে আবদুল কাদেরের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, “কাদেরের সঙ্গে এসব বিষয়ে আমার কোনো কথা হয়নি। ফেসবুকে তিনি যা লিখেছেন, সেগুলো সত্য নয়।”
আবদুল কাদের তাঁর পোস্টের শেষাংশে লিখেছেন, “শিবির ও ছাত্রলীগ উভয়ই নিজেদের লোকদের বাঁচাতে গিয়ে জুলাইয়ের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। শিবির দাবি করছে তাদের কেউ ছাত্রলীগে ঢুকে এমন কিছু করেনি। তাহলে তারা বিগত এক যুগের হল ও ঢাবি শাখার কমিটি প্রকাশ করুক।”
তিনি আরও বলেন, “গুপ্ত শিবিরের সংখ্যা কম ছিল না, যারা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে শিবিরের রণনীতি বাস্তবায়নে কাজ করেছে।”