অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জনআকাঙ্ক্ষার কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত না হলেও দলটি স্বাগত জানিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্বাচন আয়োজনের আগে বিচার ও রাষ্ট্রসংস্কারের অগ্রগতি দৃশ্যমান করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বুধবার রাজধানীর বাংলা মটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব আখতার হোসেন এ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ভাষণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময়সীমার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে নির্বাচন পূর্বে গণহত্যাকারীদের বিচার ও রাষ্ট্রকাঠামোর গুণগত পরিবর্তন দৃশ্যমান করতে হবে।”
আখতার জানান, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে কিছু দাবি জানানো হয়েছিল, যার কিছু বিষয় ঘোষণাপত্রে অনুপস্থিত। তিনি বলেন, “উপনিবেশ বিরোধী লড়াইয়ের কথা থাকলেও ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, জুডিশিয়াল কিলিং, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী আন্দোলন ও মোদি বিরোধী আন্দোলনের উল্লেখ থাকলে এটি পরিপূর্ণ হত।”
শহীদ সংখ্যা নিরূপণে ব্যর্থতার অভিযোগ, নতুন সংবিধানের দাবি
জুলাই ঘোষণাপত্রে শহীদের সংখ্যা প্রায় এক হাজার বলা হলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী ১ হাজার ৪০০ জন শহীদ হয়েছেন বলে দাবি করেন আখতার। তিনি বলেন, “বিগত এক বছরে সরকার প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণে ব্যর্থ হয়েছে।”
এনসিপি জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের তফসিলে নয়, নতুন সংবিধানের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। আখতার বলেন, “বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছে, যার জন্য নতুন সংবিধান প্রয়োজন। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং জুলাই সনদে একমত হওয়া সংস্কারগুলো এলএফও করে বাস্তবায়ন করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতা আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, আরিফুল ইসলাম আদীব, সালেহউদ্দিন সিফাতসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জনআকাঙ্ক্ষার কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত না হলেও দলটি স্বাগত জানিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্বাচন আয়োজনের আগে বিচার ও রাষ্ট্রসংস্কারের অগ্রগতি দৃশ্যমান করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বুধবার রাজধানীর বাংলা মটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব আখতার হোসেন এ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ভাষণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময়সীমার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে নির্বাচন পূর্বে গণহত্যাকারীদের বিচার ও রাষ্ট্রকাঠামোর গুণগত পরিবর্তন দৃশ্যমান করতে হবে।”
আখতার জানান, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে কিছু দাবি জানানো হয়েছিল, যার কিছু বিষয় ঘোষণাপত্রে অনুপস্থিত। তিনি বলেন, “উপনিবেশ বিরোধী লড়াইয়ের কথা থাকলেও ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, জুডিশিয়াল কিলিং, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী আন্দোলন ও মোদি বিরোধী আন্দোলনের উল্লেখ থাকলে এটি পরিপূর্ণ হত।”
শহীদ সংখ্যা নিরূপণে ব্যর্থতার অভিযোগ, নতুন সংবিধানের দাবি
জুলাই ঘোষণাপত্রে শহীদের সংখ্যা প্রায় এক হাজার বলা হলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী ১ হাজার ৪০০ জন শহীদ হয়েছেন বলে দাবি করেন আখতার। তিনি বলেন, “বিগত এক বছরে সরকার প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণে ব্যর্থ হয়েছে।”
এনসিপি জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের তফসিলে নয়, নতুন সংবিধানের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। আখতার বলেন, “বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছে, যার জন্য নতুন সংবিধান প্রয়োজন। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং জুলাই সনদে একমত হওয়া সংস্কারগুলো এলএফও করে বাস্তবায়ন করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতা আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, আরিফুল ইসলাম আদীব, সালেহউদ্দিন সিফাতসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।