“ঘুরতে যাওয়া কোনো অপরাধ নয়”— কক্সবাজার সফর নিয়ে দলের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, ওই সফর ছিল তাঁর ব্যক্তিগত মানসিক প্রস্তুতির অংশ, যেখানে তিনি রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্তে গভীর চিন্তা-ভাবনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কারণ দর্শানোর জবাবটি প্রকাশ করেন তিনি। এতে তিনি লেখেন, “আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে সেই ঘোরার লক্ষ্য ছিল, গণ-অভ্যুত্থান, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান নিয়ে গভীর চিন্তা করা। আমি এটিকে অপরাধ নয়, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা বলে মনে করি।”
তিনি আরও বলেন, “ইতিহাস কেবল বৈঠকে নয়, অনেক সময় জন্ম নেয় নির্জন চিন্তার ঘরে কিংবা সাগরের পাড়ে বসেও।”
‘৫ আগস্ট আমার কোনো সাংগঠনিক দায়িত্ব ছিল না’
নাসীরুদ্দীন জানান, সফরের দিনটিতে তাঁর কোনো পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না এবং দল থেকেও তাঁকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সফরে যাওয়ার আগে তিনি দলের শীর্ষ দুই নেতাকে বিষয়টি অবহিত করেন।
সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি।
পিটার হাস নিয়ে গুজব ‘ষড়যন্ত্র’
কক্সবাজার সফর ঘিরে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাতের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, সেখানে পিটার হাস ছিলেন না। পরে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে ছিলেন।”
তিনি এটিকে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, “আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এই গুজব ছড়ানো হয়েছে।”
‘শৃঙ্খলা মেনে, সৌজন্যের জবাব’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমার সফর সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী ছিল না। তবুও দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে আমি লিখিত জবাব দিচ্ছি— ‘অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন’ হিসেবে। আমার বক্তব্য স্পষ্ট: ‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়।’”
---
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
“ঘুরতে যাওয়া কোনো অপরাধ নয়”— কক্সবাজার সফর নিয়ে দলের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, ওই সফর ছিল তাঁর ব্যক্তিগত মানসিক প্রস্তুতির অংশ, যেখানে তিনি রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্তে গভীর চিন্তা-ভাবনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কারণ দর্শানোর জবাবটি প্রকাশ করেন তিনি। এতে তিনি লেখেন, “আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে সেই ঘোরার লক্ষ্য ছিল, গণ-অভ্যুত্থান, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান নিয়ে গভীর চিন্তা করা। আমি এটিকে অপরাধ নয়, বরং একজন রাজনৈতিক কর্মীর দায়িত্বশীল মানসিক চর্চা বলে মনে করি।”
তিনি আরও বলেন, “ইতিহাস কেবল বৈঠকে নয়, অনেক সময় জন্ম নেয় নির্জন চিন্তার ঘরে কিংবা সাগরের পাড়ে বসেও।”
‘৫ আগস্ট আমার কোনো সাংগঠনিক দায়িত্ব ছিল না’
নাসীরুদ্দীন জানান, সফরের দিনটিতে তাঁর কোনো পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল না এবং দল থেকেও তাঁকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সফরে যাওয়ার আগে তিনি দলের শীর্ষ দুই নেতাকে বিষয়টি অবহিত করেন।
সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-খালেদ সাইফুল্লাহ দম্পতি।
পিটার হাস নিয়ে গুজব ‘ষড়যন্ত্র’
কক্সবাজার সফর ঘিরে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাতের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, সেখানে পিটার হাস ছিলেন না। পরে জানা যায়, তিনি তখন ওয়াশিংটনে ছিলেন।”
তিনি এটিকে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, “আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এই গুজব ছড়ানো হয়েছে।”
‘শৃঙ্খলা মেনে, সৌজন্যের জবাব’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমার সফর সাংগঠনিক নীতিমালাবিরোধী ছিল না। তবুও দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং রাজনৈতিক শালীনতা বজায় রেখে আমি লিখিত জবাব দিচ্ছি— ‘অসভ্য জগতে সভ্যতার এক নিদর্শন’ হিসেবে। আমার বক্তব্য স্পষ্ট: ‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়।’”
---