alt

রাজনীতি

সরকার বদলেও নিপীড়নের চিত্র বদলায়নি: আসক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তিতে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, সরকার পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ধরন ও মাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেনি।

আসকের ভাষ্য অনুযায়ী, “রাজনীতির পরিবর্তন ঘটলেও গ্রেপ্তার, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নারী-সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা রয়ে গেছে আগের মতোই। অন্তর্বর্তী সরকারকে জনদাবির ভিত্তিতে গঠিত একটি রূপান্তরের সূচনা বলা হলেও, গত এক বছরে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি দেখা যায়নি।”

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আসক।

বিচারবহির্ভূত হত্যায় অবসান হয়নি

আসক বলছে, রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের সবচেয়ে গুরুতর দিক হলো বিচারবহির্ভূত হত্যা। সরকার বদলের পর এসব ঘটনা বন্ধ হবে বলে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আগের মতোই রয়েছে।

রাজনৈতিক হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তারের চিত্র স্পষ্ট

আসক তাদের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরে, রাজনৈতিক মতপ্রকাশের কারণে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ নাগরিকেরা গ্রেপ্তার, হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। নতুন সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির লক্ষণ এখনও স্পষ্ট নয়।

নারী ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে

বিবৃতিতে বলা হয়, নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা ও বৈষম্যের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক ও ধর্মীয় উসকানির ফলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা এবং নারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে।

আসকের মতে, “নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে রাষ্ট্রের ভূমিকা খুবই দুর্বল। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা বা পক্ষপাতমূলক আচরণ অপরাধীদের উৎসাহিত করছে।”

মতপ্রকাশ ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা সংকুচিত

সংস্থাটি জানিয়েছে, সমালোচনামূলক মত বা প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের ওপর চাপ, চাকরিচ্যুতি, মামলাসহ নানা ধরনের হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) বাতিলের পরও একই ধাঁচের নতুন আইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে।

“নাগরিকের মতপ্রকাশের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। অথচ বর্তমানে এটি চরম চাপের মুখে পড়েছে,” মন্তব্য আসকের।

নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত, তবু প্রশ্ন রয়ে গেছে

আসক প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় আসন্ন নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণকে একটি রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ইতিবাচকভাবে দেখলেও, মনে করে—এই নির্বাচনী প্রস্তুতিকে ঘিরেও মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়ে গেছে। নির্বাচনকালীন পরিবেশে সহনশীলতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি।

মানবাধিকার কমিশন কার্যকর নয়, গঠন সংস্কারের দাবি

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতার প্রশ্নে আসক বলেছে, এই সংস্থাটি এখনো রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয়। ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তারা কার্যকর হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। কমিশনের গঠনতন্ত্র ও সদস্য নিয়োগ পদ্ধতিতে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।

আসক মনে করে, সরকার পরিবর্তনের মূল কথা ছিল জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের প্রতিফলন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে নীতিগত ও কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। সংস্থাটি বলেছে, “জনগণের অধিকার রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক জবাবদিহি এবং নিরপেক্ষ তদন্ত ব্যবস্থা ছাড়া মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

---

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংশোধনের দাবি জামায়াতের

ছবি

জুলাই আয়োজনে যাইনি, কারণ ঘোষণাপত্র অসম্পূর্ণ: হাসনাত

ছবি

তারেক রহমান ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরছেন: হুমায়ুন কবির

জামায়াতকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধিতার দায় স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ৩২ নাগরিকের

ছবি

জুলাই ঘোষণাপত্র একতরফা, ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা করা হয়েছে: গণফোরাম

ছবি

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল: ইসি

ছবি

দক্ষিণ বা উত্তর নয়, বিএনপি বিশ্বাস করে মধ্যপন্থায়: সালাহউদ্দিন

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্জন ও সাফল্য তুলে ধরলেন প্রেস সচিব

ছবি

‘ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়, রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতেই গিয়েছিলাম’: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ছবি

দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু, লক্ষ্য সুন্দর নির্বাচন:প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ঘোষণাপত্র ‘একপেশে’ ও ইতিহাসের ‘বিকৃত’ উপস্থাপনা: বাম দল

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রতিশ্রুতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপির অভিনন্দন

ছবি

নির্বাচন আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করার আহ্বান : এনসিপি

ছবি

আলোচিত কক্সবাজার সফর : পাঁচ নেতাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ এনসিপিরি

ছবি

তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে ভোটের তারিখ নির্ধারণ

ছবি

আলোচনা না করে ভোটের ঘোষণায় ‘বিস্মিত ও হতবাক’ জামায়াত, অভিযোগ জুলাই ঘোষণাপত্র ‘অপূর্ণাঙ্গ’

ছবি

৫ আগস্ট দিনশেষে দিল্লিতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা, তবে কী ঘটছে ‘সকালেও আঁচ করতে পারেনি’ ভারত

ছবি

ইউনূসের নির্বাচনের ঘোষণা ‘ঐতিহাসিক’, স্বাগত জানাল বিএনপি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা, প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপির সাধুবাদ

ছবি

জুলাই ঘোষণাপত্রে ইতিহাসের বেশির ভাগ অংশ ‘অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট ও একতরফা’, ডেভিড বার্গম্যানের পোস্ট

ছবি

‘এক এগারোর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে‘, পোস্ট ও তার ব্যাখ্যা দিয়ে পরে মুছে ফেললেন মাহফুজ আলম

ছবি

দোদুল্যমানতার অবসান ঘটল : সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

ভারতীয় দুতাবাস ঘেরাওয়ের ঘোষণা জাগপার

ছবি

পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচনি পদ্ধতি মেনে নেবে না জামায়াত

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের অনুষ্ঠানে যাবে বিএনপির প্রতিনিধিদল

ছবি

যারা নির্বাচনকে ভয় পায় তারা সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত - এসএম জিলানী

ছবি

যুবদল-ছাত্রদল থাকলে কেউ গণতন্ত্র ধ্বংস করতে পারবে না : মির্জা ফখরুল 

ছবি

সংবিধানসম্মত প্রক্রিয়ায় সংস্কার বাস্তবায়নে একমত বিএনপি

ছবি

নতুন সংবিধান ও ‘দ্বিতীয় রিপাবলিক’ গঠনের ঘোষণা এনসিপির, ২৪ দফা ইশতেহার

ছবি

ছাত্রলীগ পরিচয়ে নির্যাতনে অংশীদার শিবিরের নেতা-কর্মীরা: আবদুল কাদের

ছবি

তারেক রহমানের দাবি: ‘বাংলাদেশে এখন প্রতিহিংসার রাজনীতি চায় না জনগণ’

ছবি

‘তারেক রহমান নেতৃত্ব দেবেন, আমরা প্রস্তুত’—ছাত্রদলের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব

ছবি

নতুন ইশতেহার ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এনসিপির সমাবেশ

ছবি

ইসিকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে ‘সংশোধনের সুযোগ’ দিলেন এনসিপির পাটোয়ারীর

নিবন্ধন ত্রুটি সংশোধনে সিইসির সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

ছবি

৫ অগাস্টের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবি এনসিপির

tab

রাজনীতি

সরকার বদলেও নিপীড়নের চিত্র বদলায়নি: আসক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তিতে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, সরকার পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ধরন ও মাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেনি।

আসকের ভাষ্য অনুযায়ী, “রাজনীতির পরিবর্তন ঘটলেও গ্রেপ্তার, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নারী-সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা রয়ে গেছে আগের মতোই। অন্তর্বর্তী সরকারকে জনদাবির ভিত্তিতে গঠিত একটি রূপান্তরের সূচনা বলা হলেও, গত এক বছরে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি দেখা যায়নি।”

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আসক।

বিচারবহির্ভূত হত্যায় অবসান হয়নি

আসক বলছে, রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের সবচেয়ে গুরুতর দিক হলো বিচারবহির্ভূত হত্যা। সরকার বদলের পর এসব ঘটনা বন্ধ হবে বলে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আগের মতোই রয়েছে।

রাজনৈতিক হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তারের চিত্র স্পষ্ট

আসক তাদের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরে, রাজনৈতিক মতপ্রকাশের কারণে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ নাগরিকেরা গ্রেপ্তার, হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। নতুন সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির লক্ষণ এখনও স্পষ্ট নয়।

নারী ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে

বিবৃতিতে বলা হয়, নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা ও বৈষম্যের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক ও ধর্মীয় উসকানির ফলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা এবং নারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে।

আসকের মতে, “নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে রাষ্ট্রের ভূমিকা খুবই দুর্বল। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা বা পক্ষপাতমূলক আচরণ অপরাধীদের উৎসাহিত করছে।”

মতপ্রকাশ ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা সংকুচিত

সংস্থাটি জানিয়েছে, সমালোচনামূলক মত বা প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের ওপর চাপ, চাকরিচ্যুতি, মামলাসহ নানা ধরনের হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) বাতিলের পরও একই ধাঁচের নতুন আইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে।

“নাগরিকের মতপ্রকাশের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। অথচ বর্তমানে এটি চরম চাপের মুখে পড়েছে,” মন্তব্য আসকের।

নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত, তবু প্রশ্ন রয়ে গেছে

আসক প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় আসন্ন নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণকে একটি রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ইতিবাচকভাবে দেখলেও, মনে করে—এই নির্বাচনী প্রস্তুতিকে ঘিরেও মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়ে গেছে। নির্বাচনকালীন পরিবেশে সহনশীলতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি।

মানবাধিকার কমিশন কার্যকর নয়, গঠন সংস্কারের দাবি

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতার প্রশ্নে আসক বলেছে, এই সংস্থাটি এখনো রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয়। ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তারা কার্যকর হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। কমিশনের গঠনতন্ত্র ও সদস্য নিয়োগ পদ্ধতিতে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।

আসক মনে করে, সরকার পরিবর্তনের মূল কথা ছিল জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের প্রতিফলন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে নীতিগত ও কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। সংস্থাটি বলেছে, “জনগণের অধিকার রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রশাসনিক জবাবদিহি এবং নিরপেক্ষ তদন্ত ব্যবস্থা ছাড়া মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

---

back to top