সদ্যঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-কে ‘একতরফা ও পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
তার অভিযোগ, ঘোষণাপত্রে ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা করা হয়েছে, এবং ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনো সুস্পষ্ট রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
মিজানুর রহমান বলেন, “বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের দাবিতে যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ সংঘটিত হয়েছিল, তার চেতনার পরিপন্থী এই ঘোষণাপত্র। এতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ১০ এপ্রিলের প্রোক্লেমেশন অব ইনডিপেন্ডেন্টের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। এরপর ১৯৭২ সালের সংবিধান রচিত হয়। দীর্ঘ ৫৩ বছরে কখনোই এই সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তোলেনি। অথচ জুলাই ঘোষণাপত্রে সেই পদ্ধতিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধাচরণ।”
গণফোরামের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সংবিধানে সময়োপযোগী সংযোজন-পরিমার্জন করা যেতে পারে, তবে সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে তা মুক্তিযুদ্ধকেই বিতর্কিত করে তোলে। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিই বরাবর এ ধরনের প্রশ্ন তোলে।
ঘোষণার অনুষ্ঠানে বৈষম্যের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র ঘোষণার প্রক্রিয়াকেও প্রশ্নবিদ্ধ বলে দাবি করেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “ঘোষণাপত্রের খসড়া কয়েকটি দলকে আগে সরবরাহ করা হলেও আমাদের মতো অনেক দলকে দেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানের দিন দুপুর ১২টায় আমাদের দলীয় অফিসে শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদকের নামে একটি কার্ড পাঠানো হয়। এটাও বৈষম্যমূলক আচরণ।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের আশা ছিল, জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু ঘোষণাপত্রে সরকার এক ধরনের গোপনীয়তা বজায় রেখে আগ্রহী দলগুলোকেও উপেক্ষা করেছে।”
অসাংবিধানিক শাসনের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, “বিগত সময়ে যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিলেন, তারা সংবিধান উপেক্ষা করে অসাংবিধানিক পথে চলেছে। দেশে জবাবদিহিতা, আইনের শাসন ও সুশাসনের অভাব ছিল। বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু ছিল, যার দায় এড়ানো যায় না।”
তিনি বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার দায় সংবিধানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক। বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেই তাদের দায় স্বীকার করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, শাহ নুরুজ্জামান, লতিফুল বারী হামিম, গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, টি এইচ এম জাহাঙ্গীর এবং গবেষণা ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
---
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
সদ্যঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-কে ‘একতরফা ও পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
তার অভিযোগ, ঘোষণাপত্রে ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা করা হয়েছে, এবং ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনো সুস্পষ্ট রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
মিজানুর রহমান বলেন, “বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের দাবিতে যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ সংঘটিত হয়েছিল, তার চেতনার পরিপন্থী এই ঘোষণাপত্র। এতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ১০ এপ্রিলের প্রোক্লেমেশন অব ইনডিপেন্ডেন্টের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। এরপর ১৯৭২ সালের সংবিধান রচিত হয়। দীর্ঘ ৫৩ বছরে কখনোই এই সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তোলেনি। অথচ জুলাই ঘোষণাপত্রে সেই পদ্ধতিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধাচরণ।”
গণফোরামের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সংবিধানে সময়োপযোগী সংযোজন-পরিমার্জন করা যেতে পারে, তবে সংবিধান প্রণয়নের পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে তা মুক্তিযুদ্ধকেই বিতর্কিত করে তোলে। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিই বরাবর এ ধরনের প্রশ্ন তোলে।
ঘোষণার অনুষ্ঠানে বৈষম্যের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র ঘোষণার প্রক্রিয়াকেও প্রশ্নবিদ্ধ বলে দাবি করেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “ঘোষণাপত্রের খসড়া কয়েকটি দলকে আগে সরবরাহ করা হলেও আমাদের মতো অনেক দলকে দেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানের দিন দুপুর ১২টায় আমাদের দলীয় অফিসে শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদকের নামে একটি কার্ড পাঠানো হয়। এটাও বৈষম্যমূলক আচরণ।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের আশা ছিল, জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু ঘোষণাপত্রে সরকার এক ধরনের গোপনীয়তা বজায় রেখে আগ্রহী দলগুলোকেও উপেক্ষা করেছে।”
অসাংবিধানিক শাসনের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, “বিগত সময়ে যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিলেন, তারা সংবিধান উপেক্ষা করে অসাংবিধানিক পথে চলেছে। দেশে জবাবদিহিতা, আইনের শাসন ও সুশাসনের অভাব ছিল। বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু ছিল, যার দায় এড়ানো যায় না।”
তিনি বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার দায় সংবিধানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক। বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেই তাদের দায় স্বীকার করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, শাহ নুরুজ্জামান, লতিফুল বারী হামিম, গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, টি এইচ এম জাহাঙ্গীর এবং গবেষণা ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
---