জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির রাষ্ট্রীয় আয়োজনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। তাঁর ভাষায়, “এটি ছিল অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি এক নীরব প্রতিবাদ।”
অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়ে এনসিপি শীর্ষ নেতৃত্বের পাঁচ সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। শোকজের জবাবে দলীয় ফোরামে ও নিজের ফেইসবুক প্রোফাইলে হাসনাত বলেন, “এই ঘোষণাপত্রে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন কিংবা নেতৃত্ব দিয়েছেন—তাঁদের মতামত, অভিজ্ঞতা ও অবদান বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এটি রাজনৈতিক দূরদর্শিতা নয়, নৈতিক বিচ্যুতি।”
শুধু দলীয় নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবেও আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান চলাকালে হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, তার স্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী অবস্থান করেন কক্সবাজারের একটি রিসোর্টে। এ সময় গুঞ্জন ওঠে—তাঁরা বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে গোপন বৈঠক করছেন। যদিও পরে জানা যায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তখন দেশে ছিলেনই না।
এই ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্তে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে হাসনাত লিখেছেন, “ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাঁদের মতামত আমলে নেওয়া হয়নি। এমন আয়োজনে আমার অংশগ্রহণ মানে তাঁদের অবদানকে অস্বীকার করা।”
নিজের অবকাশ যাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি পার্টির নিয়ম ভাঙিনি। বরং বিষয়টি আগে থেকেই দলীয় সমন্বয়কের মাধ্যমে নেতৃত্বকে অবহিত করেছি। অনুমোদনের ভিত্তিতেই আমি কক্সবাজারে গিয়েছিলাম।”
গোয়েন্দা সংস্থা ও একটি বিশেষ শ্রেণির গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। “আমার ব্যক্তিগত চলাফেরা নজরদারি করে তথ্য ও ছবি মিডিয়ায় সরবরাহ করা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে,” বলেন হাসনাত।
নারী সদস্য তাসনিম জারাকে ঘিরে ‘স্লাট শেইমিং’ ও কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা নিয়েও প্রতিবাদ জানান এই নেতা। তাঁর মতে, “রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করতেই এমন অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
সবশেষে তিনি বলেন, “আমি এনসিপির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্রের চর্চা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখেই দলকে এগিয়ে নিতে চাই।”
---
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির রাষ্ট্রীয় আয়োজনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। তাঁর ভাষায়, “এটি ছিল অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি এক নীরব প্রতিবাদ।”
অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়ে এনসিপি শীর্ষ নেতৃত্বের পাঁচ সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। শোকজের জবাবে দলীয় ফোরামে ও নিজের ফেইসবুক প্রোফাইলে হাসনাত বলেন, “এই ঘোষণাপত্রে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন কিংবা নেতৃত্ব দিয়েছেন—তাঁদের মতামত, অভিজ্ঞতা ও অবদান বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এটি রাজনৈতিক দূরদর্শিতা নয়, নৈতিক বিচ্যুতি।”
শুধু দলীয় নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবেও আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান চলাকালে হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, তার স্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী অবস্থান করেন কক্সবাজারের একটি রিসোর্টে। এ সময় গুঞ্জন ওঠে—তাঁরা বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে গোপন বৈঠক করছেন। যদিও পরে জানা যায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তখন দেশে ছিলেনই না।
এই ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্তে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে হাসনাত লিখেছেন, “ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাঁদের মতামত আমলে নেওয়া হয়নি। এমন আয়োজনে আমার অংশগ্রহণ মানে তাঁদের অবদানকে অস্বীকার করা।”
নিজের অবকাশ যাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি পার্টির নিয়ম ভাঙিনি। বরং বিষয়টি আগে থেকেই দলীয় সমন্বয়কের মাধ্যমে নেতৃত্বকে অবহিত করেছি। অনুমোদনের ভিত্তিতেই আমি কক্সবাজারে গিয়েছিলাম।”
গোয়েন্দা সংস্থা ও একটি বিশেষ শ্রেণির গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। “আমার ব্যক্তিগত চলাফেরা নজরদারি করে তথ্য ও ছবি মিডিয়ায় সরবরাহ করা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে,” বলেন হাসনাত।
নারী সদস্য তাসনিম জারাকে ঘিরে ‘স্লাট শেইমিং’ ও কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা নিয়েও প্রতিবাদ জানান এই নেতা। তাঁর মতে, “রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করতেই এমন অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
সবশেষে তিনি বলেন, “আমি এনসিপির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্রের চর্চা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখেই দলকে এগিয়ে নিতে চাই।”
---