জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘অসম্পূর্ণ’ দাবি করে তা সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, “বিচারক হত্যা, পিলখানা ট্র্যাজেডি, শাপলা চত্বরের ঘটনা ও শিক্ষকদের অবদান—কোনোটিই ঘোষণাপত্রে স্থান পায়নি। এই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি।”
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে ‘ছাত্র-শিক্ষক-জনতার অবদান ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ২৮ দফার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসের মূল অনুষ্ঠানে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা পরওয়ার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ঘোষণাপত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হলেও পরওয়ার বলেন, “ইসলামপন্থিদের অবদান সেভাবে মূল্যায়িত হয়নি। এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ, তবে এর যথাযথ প্রতিফলন ঘটেনি।”
তিনি আরও বলেন, “জাতি জুলাই বিপ্লবের অপেক্ষায় ছিল। এটি ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। কিন্তু শত শত মানুষের রক্ত ও জীবন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে।”
নির্বাচন ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরওয়ার বলেন, “বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।” তিনি ‘জুলাই সনদের’ আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি এম কোরবান আলী। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম।
এছাড়াও বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদের সিরাজুল ইসলাম, এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের জিএম আলাউদ্দিন, প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের সাখাওয়াত হোসাইন, মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদের মুনজুরুল হক, কলেজ শিক্ষক পরিষদের নূর নবী মানিক, মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের শাহজাহান মাদানী এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের অধ্যাপক উমার আলী।
---
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘অসম্পূর্ণ’ দাবি করে তা সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, “বিচারক হত্যা, পিলখানা ট্র্যাজেডি, শাপলা চত্বরের ঘটনা ও শিক্ষকদের অবদান—কোনোটিই ঘোষণাপত্রে স্থান পায়নি। এই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি।”
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে ‘ছাত্র-শিক্ষক-জনতার অবদান ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ২৮ দফার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসের মূল অনুষ্ঠানে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা পরওয়ার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ঘোষণাপত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হলেও পরওয়ার বলেন, “ইসলামপন্থিদের অবদান সেভাবে মূল্যায়িত হয়নি। এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ, তবে এর যথাযথ প্রতিফলন ঘটেনি।”
তিনি আরও বলেন, “জাতি জুলাই বিপ্লবের অপেক্ষায় ছিল। এটি ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। কিন্তু শত শত মানুষের রক্ত ও জীবন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে।”
নির্বাচন ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরওয়ার বলেন, “বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।” তিনি ‘জুলাই সনদের’ আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি এম কোরবান আলী। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম।
এছাড়াও বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদের সিরাজুল ইসলাম, এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের জিএম আলাউদ্দিন, প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের সাখাওয়াত হোসাইন, মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদের মুনজুরুল হক, কলেজ শিক্ষক পরিষদের নূর নবী মানিক, মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের শাহজাহান মাদানী এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের অধ্যাপক উমার আলী।
---