জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি জনগণকে এই দাবিগুলো আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবিগুলোর কথা জানানো হয়।
জামায়াত বলছে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন, যা দলটির কাছে ‘বিস্ময়কর’। তবে জাতীয় স্বার্থে তারা এই ঘোষণাকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে নিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে দলটি।
জামায়াতের ৭ দফা দাবি
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্টসহ বিভিন্ন সময় সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার।
২. রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার।
৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন।
৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন।
৫. পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, যাতে জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত হয়।
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ এবং
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড
নিশ্চিত করা।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করে। বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই ঘোষণায় একাত্মতা প্রকাশ করে। এরপর রাতেই প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
জামায়াত মনে করে, ঘোষণাপত্রটি এখনও ‘অসম্পূর্ণ’ এবং তা সংশোধন করে পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়নের দাবিও তারা তুলেছে।
---
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি জনগণকে এই দাবিগুলো আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবিগুলোর কথা জানানো হয়।
জামায়াত বলছে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন, যা দলটির কাছে ‘বিস্ময়কর’। তবে জাতীয় স্বার্থে তারা এই ঘোষণাকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে নিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে দলটি।
জামায়াতের ৭ দফা দাবি
১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্টসহ বিভিন্ন সময় সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার।
২. রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার।
৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন।
৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন।
৫. পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, যাতে জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত হয়।
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ এবং
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড
নিশ্চিত করা।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করে। বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই ঘোষণায় একাত্মতা প্রকাশ করে। এরপর রাতেই প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
জামায়াত মনে করে, ঘোষণাপত্রটি এখনও ‘অসম্পূর্ণ’ এবং তা সংশোধন করে পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়নের দাবিও তারা তুলেছে।
---