বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের স্মরণশক্তি দুর্বল ভাবার ভুল করছে জামায়াতে ইসলামি। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ—দু’ক্ষেত্রেই বিরোধিতা করেছিল জামায়াত, অথচ আজ তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে নতুন ব্যাখ্যা হাজির করছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভাটির আয়োজন করে অগ্নিসেনা সোশাল ফাউন্ডেশন ও আমাদের নতুন বাংলাদেশ।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জামায়াত নেতা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হাফিজ বলেন,
> “তাহের সাহেব বলেছেন, ১৯৪৭ সালের ‘আজাদি’কে উপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু সত্যি হলো, সেই সময় জামায়াত পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিল, আবার একাত্তরেও স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। এখন তারা নতুন নতুন বাণী প্রচার করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত এখন ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য ‘হুমকিস্বরূপ’।
ভোট বানচালের আশঙ্কা, ভারতের দিকে ইঙ্গিত
আলোচনায় হাফিজ উদ্দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আগামী সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে। তার অভিযোগ,
> “ভারতে আশ্রয় নিয়ে মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে লন্ডভন্ড করার চেষ্টা করবেন, সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করতে চাইবেন।”
তিনি দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
> “আমরা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে এই মাফিয়াদের প্রতিহত করব—এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”
পুলিশ ও র্যাব সংস্কারে হতাশা
সরকার পতনের এক বছর পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
তিনি বলেন,
> “পুলিশ বাহিনী এখনো পেটুয়া বাহিনী থেকে বের হতে পারেনি। র্যাবকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করলেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন,
> “র্যাব যখন এত অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু, তখন কেনো এখনো নির্বাচনী দায়িত্বে রাখা হবে তাদের?”
‘তারা কৃতি, তবে রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে হাফিজ বলেন,
> “প্রফেসর ইউনূস ও তার সহকর্মীরা নিঃসন্দেহে কৃতি মানুষ। কিন্তু রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ। তবুও তাদের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি।”
তিনি জানান, তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে আলোচনায় ইউনূস ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থার বিরোধিতা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ‘সংখ্যানুপাতিক ভোট’ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে হাফিজ বলেন,
> “মানুষ চায় একজনকে ভোট দিতে, তার সমস্যার সমাধান করার জন্য। প্রার্থী নয়, কেবল প্রতীকে ভোট দেওয়ার রাজনৈতিক পরিপক্বতা এখনো আসেনি।”
তিনি দাবি করেন, কিছু দল নির্বাচনে জিততে পারবে না জেনেই নির্বাচন বিলম্বিত করতে ‘পিআর পদ্ধতি’র কথা বলছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অগ্নিসেনা সোশাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তালুকদার জহিরুল হক তুহিন। উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি, বিএনপির রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের গোলাম মো. চৌধুরী আলালসহ আরও অনেকে।
---
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের স্মরণশক্তি দুর্বল ভাবার ভুল করছে জামায়াতে ইসলামি। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ—দু’ক্ষেত্রেই বিরোধিতা করেছিল জামায়াত, অথচ আজ তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে নতুন ব্যাখ্যা হাজির করছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভাটির আয়োজন করে অগ্নিসেনা সোশাল ফাউন্ডেশন ও আমাদের নতুন বাংলাদেশ।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জামায়াত নেতা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হাফিজ বলেন,
> “তাহের সাহেব বলেছেন, ১৯৪৭ সালের ‘আজাদি’কে উপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু সত্যি হলো, সেই সময় জামায়াত পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিল, আবার একাত্তরেও স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। এখন তারা নতুন নতুন বাণী প্রচার করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত এখন ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে, যা জাতির জন্য ‘হুমকিস্বরূপ’।
ভোট বানচালের আশঙ্কা, ভারতের দিকে ইঙ্গিত
আলোচনায় হাফিজ উদ্দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আগামী সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে। তার অভিযোগ,
> “ভারতে আশ্রয় নিয়ে মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে লন্ডভন্ড করার চেষ্টা করবেন, সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করতে চাইবেন।”
তিনি দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
> “আমরা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে এই মাফিয়াদের প্রতিহত করব—এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”
পুলিশ ও র্যাব সংস্কারে হতাশা
সরকার পতনের এক বছর পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
তিনি বলেন,
> “পুলিশ বাহিনী এখনো পেটুয়া বাহিনী থেকে বের হতে পারেনি। র্যাবকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করলেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন,
> “র্যাব যখন এত অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু, তখন কেনো এখনো নির্বাচনী দায়িত্বে রাখা হবে তাদের?”
‘তারা কৃতি, তবে রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে হাফিজ বলেন,
> “প্রফেসর ইউনূস ও তার সহকর্মীরা নিঃসন্দেহে কৃতি মানুষ। কিন্তু রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ। তবুও তাদের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি।”
তিনি জানান, তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে আলোচনায় ইউনূস ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থার বিরোধিতা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ‘সংখ্যানুপাতিক ভোট’ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে হাফিজ বলেন,
> “মানুষ চায় একজনকে ভোট দিতে, তার সমস্যার সমাধান করার জন্য। প্রার্থী নয়, কেবল প্রতীকে ভোট দেওয়ার রাজনৈতিক পরিপক্বতা এখনো আসেনি।”
তিনি দাবি করেন, কিছু দল নির্বাচনে জিততে পারবে না জেনেই নির্বাচন বিলম্বিত করতে ‘পিআর পদ্ধতি’র কথা বলছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অগ্নিসেনা সোশাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তালুকদার জহিরুল হক তুহিন। উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি, বিএনপির রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের গোলাম মো. চৌধুরী আলালসহ আরও অনেকে।
---